আপনি কীভাবে প্রেমে পড়েছিলেন ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমাদের ছোট এই জীবনে ইচ্ছা অথবা অনিচ্ছা সত্বেও এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা আমাদের সারা জীবন মনে থাকে। মাঝে মাঝে এসব ঘটনা মনে হলে নিজে নিজেই হাসি পায়। চলুন পচিঁশ বছর জীবনের তিন মাসের একটি গল্প বলি।

Source

আপনাদের কি করোনার কথা মনে আছে। কত কিছু দেখালো আর শিখালো সেই করোনা। মানুষ বাচাঁর জন্য ঘরে বন্দী হয়ে গিয়েছিল। সন্ধা হওয়ার আগেই দোকান পাট রাস্তা ঘাট সব ফাঁকা হয়ে যেতো। তখন আমরা সবাই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছিলাম। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে জনপ্রিয় একটি ডিভাইস হলো মোবাইল। আগের দিনে একজন মানুষের সাথে আরেকজন যোগাযোগ করতে কত কষ্ট করতে হতো। আর এখন মূর্হতের মধ্যে যোগাযোগ হয়ে যায়। এই মোবাইলই যত সমস্যার মূল, হি হি হি।

আমি আমার দুই বছর সিনিয়র এক আপুর প্রেমে পড়েছিলাম ২০২০ সালে। যেহেতু সালটা ডিজিটাল প্রজন্মের। প্রেমটাও ডিজিটাল ভাবেই হয়েছিলো। মেয়েটি আমার দূর সম্পর্কের আন্টি। অন্য আরেকটি সম্পর্ক আছে যেটাতে আমার আপু হতো, হি হি হি। আমি অবশ্য দ্বিতীয় সম্পর্কটাকেই প্রায়োরিটি বেশি দিতাম।

যাই হোক এবার মূল ঘটনায় আসি

২০২০ সালের মার্চ মাসের ১৮ তারিখ বাংলাদেশের সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষনা করলেও লকডাউন দেওয়া হয় ২৮শে মার্চ থেকে । লকডাউন দেওয়ার সাথে সাথে আমি বাড়িতে যায়নি। আমি কিছুদিন অপেক্ষা করে বাড়িতে গিয়েছিলাম। লকডাউনে বাড়িতে যাওয়ার অনেক বড় ইতিহাস আছে সেটা অন্য একদিন বলবো। খুব সকালে বাড়িতে পৌছে গিয়েছিলাম যেটা দেখে সবাই একটু অভাক হয়েছিল। আমি বাড়িতে যাওয়ার সময় সাথে করে ল্যাপটপটা নিয়ে গেছিলাম। কিন্তুু বাড়িতে ওয়াইফাই না থাকায় ল্যাপটপের পরিবর্ততে মোবাইলেই সময় বেশি দিতাম। আর ঘটনার সূত্র এখান থেকেই শুরু।

বাড়িতে যাওয়ার কিছুদিন পরে রাতের বেলা ফেসবুকিং করতেছিলাম। হঠাৎ করে একটি ফেইক আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট আসলো। আমি রিকুয়েষ্টে একসেপ্ট করলাম। সাথে সাথে ম্যাসেঞ্জারে হাই লিখা ম্যাসেজ আসলো। শুরু হয়ে গেলো কথা বলা। একদিন দুইদিন হয়ে গেল সে তার পরিচয় দিতেছে না। অপরিচিত থেকেই কথা চালিয়ে যেতে লাগলো। আমি অনেক রিকুষ্টে করার পরও পরিচয় দিতো না তবে সে কথায় কথায় রোম্যান্টিক ইমুজি দিয়ে রিপ্লাই দিতো। প্রতিদিন কথা বলতে বলতে অনেক কথা হয়ে যেতো। কোন দিক থেকে কোন দিকে চলে যেতাম নিজেও বুঝতাম না। তবে আমি তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দাজ করে নিলাম সেই হবে। সে তখন বলেছিলো মাস্টার্সে পড়ে আমিও তখন তাকে বলেছিলাম যে আমিও মাস্টার্সে পড়ি একই কলেজে। কয়েকদিন কথা বলেই প্রেমে পড়ে গেলাম।

তাকে বললাম তোমাকে পছন্দ করি। সে বললো দুইদিন কথা বলেই প্রেম। আমি বললাম হুম করবা কি না বলো। সে বললো আগামীকাল জানাবো। আমি বলরাম ঠিক আছে। পরের দিন সে বললো আপাতত প্রেম টেম করবো না, পরে দেখা যাবে। আমি তাকে তার মেইন আইডি টি দিয়ে বললাম, তাহলে এই আইডির মেয়েটির সাথে আমার প্রেম করিয়ে দাও। তাকে আমার খুব ভাল্লাগছে। সে বললো আমি পারবো না। আমি বললাম তাহলে তোমার সাথে আর কথা বলবো না। আমাকে আর ম্যসেজ দিবা না। সে বললো একটি মেয়ের জন্য আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিলা। আমি বললাম হুম তাকে আমার অনেক ভাল লাগছে। তাকে আমি ভালবেসে ফেলেছি। তার সাথে আমার প্রেম করাইয়া দেও। সে বললো আচ্ছা ঠিক আছে দেখতেছি। তখনও আমি ১০০% সিউর না যে সে ই এই মেয়েটি। তারপর ধীরে ধীরে জানতে পারলাম। ঐটা তার মেইন আইডি আর এটা তার ফেইক আইডি। মানে এই মেয়েটিই সেই মেয়েটি।

আমি তাকে বললাম তুমিই যখন সেই মেয়ে তাহলে আমি তোমাকেই ভালবাসি। সে বললো আমার মাস্টার্স শেষ আর তুমি মাত্র অনার্স শেষ করছো। এদিক দিয়ে আমি তোমার থেকে দুই বছর সিনিয়র আবার অন্য দিক দিয়ে আমি তোমার আন্টি হয়। তাহলে কেমনে কি। । আমি বললাম তাতে কি হয়েছে। সিনিয়র জুনিয়রের হাজার হাজার প্রেমের উদাহরন আছে। ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ তার স্কুল টিচার কে বিয়ে করেছে। আলোচিত কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা তার থেকে দশ বছর ছোট ছেলেকে বিয়ে করেছে। শাকিরার জন্ম ১৯৭৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আর পিকের জন্ম ১৯৮৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে। এখন তাদের সংসারে দুইজন ছেলে সন্তানও রয়েছে। সিনিয়র জুনিয়র বিয়ে করা নিষেধ এমন কোন নিয়ম নীতি কোন সংবিধানে লেখা আছে না কি । না কি সিনিয়র জুনিয়র বিয়ে করলে পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাবে। আমার এসব কথা শুনে আপুুটি হাসঁতে হাসঁতে সত্যিই আমার প্রেমে পড়ে গেল।

কিন্তুু শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রেমটা অসমাপ্তই থেকে গেল।

আল্লাহ হাফেজ
ধন্যবাদ।।

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

Click Here For Join Heroism Discord Server