হ্যালো বন্ধুরা,সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবারো আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমাদের মৌলিক অধিকার নিয়ে কিছু কথা বলবো। আশা করি আপনাদের সাড়া পাবো।
আমাদের দেশের সরকারের কিছু কর্মকর্তা এমনকি মন্ত্রী পর্যন্ত বলেন, দেশে কোনো ভিক্ষুক পাওয়া যায় না। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও সমস্যা নেই। সবার আয় বেড়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো তারা কোন দিক দিয়ে দেখে যে মানুষের আয় বেড়েছে। আর তারা চোখে কোন চশমা পড়ে চলে যে,তারা ভিক্ষুক দেখে না। তারা তো জনগনের টেক্সের টাকায় কালো গ্লাস লাগানো গাড়ি দিয়ে যাতায়ত করে,গাড়ির ভিতরে বসে থাকলে ভিক্ষুক দেখবে কিভাবে। তাদের কথা শুনলে গা জ্বলে।
আমাদের দেশের হাজার হাজার চা শ্রমিক আছে, লক্ষ লক্ষ গার্মেন্টস শ্রমিক আছে। তারা মাসে কত টাকা ইনকাম করে,তাদের সেলারি কত। একজন চা শ্রমিক সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ করলে মাসে ৪০০০ টাকা পায়। আর একজন গার্মেন্টস শ্রমিক সকাল আটটা থেকে সন্ধা পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করে মাসে ৮০০০ হাজার টাকা পায়। আর অন্যান্য সেক্টরের শ্রমিকগনও এমনই পায় সর্বউচ্চ দশ হাজার টাকার ইনকাম করতে পারে। বর্তমানে চার হাজার আর আট দশ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে চলে। শহরের দিকে যারা থাকে তাদের বাসা ভাড়া কত দিতে হয়। নাকি তারা কোন মানুষ না। যারা গাড়ি দিয়ে চলে শুধু তারাই মানুষ। দেশের ৭০% নিন্ম আয়ের মানুষ। ২০% মধ্যবিত্ত আর ১০% মানুষ হলো উচ্চবিত্ত। দেশের সব মন্ত্রী,এমপি,আমলারা তো উচ্চবিত্তের মানুষ। তারা যখন হিসাব করে তখন তাদের লেভেল ধরেই হিসাব করে। নিচের দিকে কেউ তাকায় না।
আমরা যখন কোথাও যায় তখন পাঁচ মিনিট হাটলে তিনজন ভিক্ষুক দেখি। আর তারা ভিক্ষুক দেখে না। দেশ অনেক উন্নত হয়েছে বুলি দিয়ে বেড়ায়। মানুষ ঠিক ভাবে অন্ন বস্ত্র পাচ্ছে কিনা সেটা দেখার কেউ নেই। সরকারি দল,বিরোধী দল সবাই নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে ব্যস্ত। সাধারন মানুষকে নিয়ে চিন্তা করার সময় তাদের নেয়। তারা গড় হিসাব করে দেখে মানুষের আয়ে বেড়েছে। দেশের ৯০% মানুষের টাকা ১০% মানুষ ভোগ করছে সেটা বুঝতেছে না। যদিও বুঝে সে বিষয়ে কিছু বলে না। কারন যে বলবে সেও একজন রক্ষক হয়ে ভক্ষক।
আরেকটি বিষয় হলো শিক্ষা। বাংলাদেশের শিক্ষা দিনকে দিন কি অধপতের দিকে যাচ্ছে সেটা এমনি বুঝা যায়। কয়েকটি রিপোর্ট দেখলাম গত মাসে বিশ্বের আটশো এবং এশিয়ার পাঁচশো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটি নেয়। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক জটিলা প্রবেশ করে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। দুই বছর অটো পাশ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মনযোগ নষ্ট করে ফেলছে। আবার বলছে বিভিন্ন পরিক্ষা উঠে যাবে। তখন কি যে হয় আল্লাহই ভালো জানেন।
তারপর আসা যাক চিকিৎসা ব্যবস্থায়। জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতাল গুলোতে গেলে দেখা যায় চিকিৎসার কি মান। ডাক্তার তো ঠিক ভাবে আসেই না। যারা আসে তারা টেষ্ট ছাড়া কোন ঔষুধ লেখে না। তাদের আবার কিছু নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের টেষ্ট লাগবে। কি অবস্থা চিন্তা করেন। ডাক্তাররা রোগির থেকে ঔষুধ কোম্পানির চিন্তা বেশি করে। পরিষ্কার পরিছন্নতার কথা বলে লাভ নেই। হাসপাতালের ওয়াশরুমের অবস্থা দেখলে ভালো ভালো মানুষও অসুস্থ হয় যায়। দেশের উপর লেভেলের সবাই বিদেশে চলে যায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। জনগনের টেক্সের টাকা খরচ করে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চলে যায়। আর দেশের জনগন চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালের বারান্দায় মারায় যায়।
এবার আসা যাক বাসস্থানের বিষয় নিয়ে। এই বিষয়ে আর কি বলবো যাদের ঘর বা গৃহ নেই তাদেরকে কিছু ঘর বাড়ি উপহার দিয়েছিল। কিন্তু সেই জাগায় এমন দুর্নীতি হয়েছে যে উদ্বোধনের আগেই ঘর ভেঙ্গে পড়ে যায়। যেখানে ব্রিজের মধ্যে রটের জাগায় বাশঁ দিয়ে দেয় সে জাগায় ঘর নির্মানে কি দিবে সেটা একবার ভেবে দেখেন। যায়হোক বাংলাদেশে অনেক গৃহহীন মানুষ রয়েছে। যারা বিভিন্ন জাগায় খোলা জাগায় রাত্রি যাপন করছে। আর কিছু মানুষ বাসা ভাড়া করে থাকে। বাসা ভাড়াও প্রচুর,যাহা পরিশোধ করতে মানুষের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপরিউক্ত সব কিছু বিবেচনা করলে আমরা অন্যান্য দেশ থেকে অনেক পিছনে রয়েছি। ক্ষমতায় বসে যারা অন্ধকারে ঢিল ছুরে তাদের এই বিষয় গুলো মাথায় রাখা দরকার। কথা বলে হাসিঁর পাত্র হওয়ার চেয়ে চুপ থাকা ভালো। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গাড়ির ভেতরে থেকে তো আর ভিক্ষুক দেখা যায় না। আর উচুঁ দালান কোঠায় থেকে তো আর মানুষের কষ্ট বোঝা যায় না। আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। দারুন লিখেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু তাদের চোখে রঙ্গিন চশমা। তাই তারা সাদা কালো দেখে না। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একেবারে সঠিক বলেছেন। আসলে তারা সব জেনেও চুপ থাকে। আর ভিক্ষুক দেখবে কী করে মানুষের দুঃখ দেখবে কী করে। দেখার জন্য চোখটা যে তাদের আর নেই। যাদের কথা বললেন এরা সত্যি অনেক সমস্যায় আছে। কিন্তু এদের সমস্যা দূর করার পরবর্তে এরা আরও উল্টা কথা বলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া কিছু কিছু নেতার কথা শুনলে মন চাই কান ধরে এনে মানুষের অবস্থা দেখায়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit