স্টিমিট বিশ্বের নাম্বার ওয়ান কমিউনিটি-
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। যারা প্রকৃতি প্রেমী, তাদের মনটা অনেক সুন্দর হয়, অনেক নরম হয়। তার কথা বার্তা আচার আচরণ খুবই মার্জিত হয়। এগুলো প্রকৃতিই মানুষকে শেখায়। আমরা দেখি প্রকৃতি হয়তো কথা বলতে পারে না, নিজের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তুু বাস্তব হলো প্রকৃতি সব কিছু বুঝে। প্রকৃতির ধৈর্য ক্ষমতা বেশি। তাদের রাগ কম। কিন্তুু আমাদের অত্যাচার যখন প্রকৃতির ধৈর্যের সীমা ভেঙ্গে দেয়,তখনই প্রকৃতি আমাদের উপর প্রতিশোধ নেয়। কিন্তুু আমরা সেটা বুঝি না। আমরা প্রকৃতির শাস্তিকে শাস্তি মনে করি না।
ধীরে ধীরে আমাদের মন-মানুষিকতা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। অর্থ সম্পদ, ক্ষমতার লোভ আমাদেরকে এমন ভাবে গ্রাস করে ফেলতেছে যে, আমাদের মনুষ্যত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা পশুর থেকে নিচে নেমে যাচ্ছি। আমাদের ভিতর থেকে দয়া মায়া সব উঠে যাচ্ছে। একজন মানুষ হয়ে অপর মানুষের উপর দয়া দেখাতে পারছি না, সেখানে আমরা প্রকৃতির প্রতি কিভাবে দয়া দেখাবো। আমাদের আচার আচরন দেখে নিজেদেরকে মানুষ দাবি করতে ঘৃন্না লাগছে। গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলনরত সাধারন নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের উপর সন্ত্রাসীরা কি রকম নৃশংস হামলাটা করেছে। সেটা হয়তো আপনারা সবাই জানেন,দেখেছেন। কি হবে এই ক্ষমতা দিয়ে,তাদের এই আচরন মানুষ কিভাবে ভুলবে। যারা আক্রমন করেছে,তারাতো কোন না কোন মায়ের সন্তান। তাদের আচরন দেখে মনে হয়নি তারা কোন ভ্রদ্র মায়ের সন্তান। তাদের হিংস্রতা বন্যপ্রাণীদের থেকে বেশি নৃশংস ছিল। জোর করে ক্ষমতা দেখিয়ে না হয় আরো দশ পনের বছর থাকবে। তারপরে তো ক্ষমতা ছাড়তে হবে। আজরাইলকে তো আর সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আটাতে পারবে না। একদিন তো মরতে হবে। সব কিছুর একটা শেষ আছে। ফেরাউন, নমরুদ, মীর জাফরকেও মানুষ ভুলেনি, তাদেরকেও মানুষ স্বরন করে। দেখা যাক শেষ অধ্যায়টা কার মত হয়।
তো বন্ধুরা বলতেছিলাম,আমরা প্রকৃতিকে যতটুকু দেবো,প্রকৃতিও আমাদেরকে ঠিক ততটুকুই ফিরিয়ে দিবে। মানুষ বেইমান হতে পারে কিন্তুু প্রকৃতি কখনো বেইমানি করে না। সঠিক সময়ে সঠিক জবাব দিয়ে দিবে। এই জন্যই বলি সময় থাকতে সময়ের মূল্য বুঝে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শিখুন।
এখানে একটি ফটোগ্রাফিতে এক সাথে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে, অনেকেই বারান্দাতে ফুল গাছ লাগিয়ে থাকে। এখানে কিছু ঝুলন্ত টব দেখা যাচ্ছে। এগুলো বারান্দার গ্রিলের মধ্যে ঝুলিয়ে রাখলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এরকম আমি অনেক বাসায় দেখেছি। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী নার্সারীর মালিকরা এগুলো তৈরী করেছে। কারন সবাই জানে যে ছোট একটি দেশে মানুষ অনেক বেশি। বাড়িঘর তৈরী করে কেউ গাছ লাগানোর মত জায়গা রাখে না। তাই বারান্দাতেই গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করে।
মানুষের শখের কোন শেষ নেই। অনেক মানুষ দেখা যায় গাছ লাগানোর পাশাপাশি পাখি পালন করে থাকে। এই পাখিকে রাখার জন্য বাবুই পাখির বাসার মত পাখির বাসা বিক্রয় করা হয়। আবার এগুলোতে ছোট ছোট ফুলের টব রেখে গাছ লাগানো যায়। এখানে কিভাবে গাছ লাগানো হয় সেই পদ্ধতিও তারা দেখিয়েছে, যা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। আর বাগানের পরিচর্যা করার জন্য এখানে একটি হাতিয়ারও দেখতে পাচ্ছেন। তবে সেটার নামি কি আমি জানি না।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন রুপন্তী এগ্রো ফার্মের মাধ্যমে অনেক গুলো গাছ নিয়ে তারা মেলাতে হাজির হয়েছে। এখানে প্লাস্টিকের টবের পাশাপাশি সিরামিক্সের টবও রয়েছে। অনেক মানুষ দেখা যায়, অফিসের ডেস্কে, টি টেবিলে, পড়ার টেবিলে ফুল গাছের টব রেখে থাকে। এসব জায়গাতে সিরামিক্সের টব হলে দেখতে বেশি সুন্দর দেখা যায়।
এখানে ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন ক্রেতা না থাকার কারনে একজন কর্মচারি অলস সময় পার করছে। যেহেতো দেড়টার সময় লাঞ্চ টাইম তাই ক্রেতার আনোগোনা কম ছিল। তারা দোকানে গাছ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রাখে। চারপাশে বড় বড় গাছ গুলো রেখে মাঝখানে ছোট ছোট গাছ গুলো দিয়ে সামনে রাখে। এসব দোকানে ফলের গাছ বেশি থাকে। তবে গাছের প্রচুর দাম। গাছের দাম শুনলে হার্ট এ্যাটার্ক হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন ছোট ছোট ফুলের টব রাখা আছে। এগুলোতে সাধারনত ফুলের গাছ বেশি থাকে। কারন টবের মধ্যে ফলের গাছ লাগালে তেমন ফল আসে না। আমার কাছে বড় গাছ থেকে এই ছোট ছোট গাছ গুলো বেশি সুন্দর লাগে। এখানে বিভিন্ন ধনের ফুল গাছ দেখা যায়। এগুলো দাম তুলনামূলক একটু কম। আবার কিছু টবে চায়না বনসাই গাছও আছে।
এখানে ছোট ছোট টবের মধ্যে বেশি অংশ ক্যাকটাস গাছ দেখা যাচ্ছে। ক্যাকটাস গাছে ফুল খুব কমই আসে। এগুলো ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়। এই গাছ গুলো দেখলে মাঝে মাঝে আমার ভয় করে। তবে এগুলো দেখতে কিন্তুু ভীষন সুন্দর লাগে। মেলাতে এ টু জেট সব ধরনের ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে। ছোট থেকে বড় দেশি বিদেশি সব ধরনের গাছই দেখলাম। তবে তুলনামূলক ভাবে আমার কাছে গাছের দামে বেশি মনে হয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন- দ্বিতীয় পর্ব।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃক্ষ মেলায় দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। তবে মানুষ শুধু বৃক্ষরোপনে করে না। পাখি পালন করে বাবুই পাখির বাসা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আর বাবুই পাখির বাসার ফটোগ্রাফি গুলো এত সুন্দর লাগছে বলে বোঝানো যাবেনা। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমানে সবকিছু দামী অনেক বেশি কিন্তু এই মহামূল্যবান গাছের দাম আসলে টাকা দিয়ে নির্ধারণ করা ঠিক নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা টাকার জন্য নিজের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারি না। গতবারও আমাদের এদিকে বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখান থেকে বেশ কিছু গাছ আমরা আমার বাগানে এনে লাগিয়েছি, আপনার এই বৃক্ষ মেলার ভ্রমণটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃক্ষ মেলায় কাটানো মুহূর্তের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। চমৎকার কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন বৃক্ষ মেলায়। সত্যি বৃক্ষমেলায় বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতে খুবই ভালো লাগে। বনসাই এবং ক্যাকটাসের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই ধরনের উদ্ভিদ আমি বেশ পছন্দ করি। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি দেখতেছি বৃক্ষ মেলা ঘুরতে গেলেন। আসলে বৃক্ষ মেলা গেলে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা ও অন্যান্য জিনিস দেখা যায়। এবং এই ধরনের বৃক্ষ মেলায় গেলে নতুন অভিজ্ঞতা হয়। তবে দেখতেছি এইখানে বাবু পাখির বাসার মত বানিয়ে বিক্রি করতেছে। আর এই বৃক্ষ মেলাগুলোতে গেলে নিজের কাছে ভালো লাগে। তবে বর্তমান সময়ে মানুষ চেনা বড় কষ্ট। কারণ কিছু কিছু মানুষ হিংসহ প্রাণীর চেয়েও ভয়ঙ্কর। আল্লাহ সবাইকে ভাল বুঝার তৌফিক দান করুক। তবে খুব সুন্দর করে বৃক্ষ মেলা দ্বিতীয় পর্বটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit