এশিয়া কাপ থেকে সান্ত্বনা মূলক জয় নিয়ে বাংলাদেশের বিদায়।

হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি @joniprins আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কিছু কথা বলবো। যদিও ভেবেছিলাম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে আর কোন কথা বলবো না তারপরও ভিতরে কিছু কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। সে কথা গুলো বের করতে না পারলে অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কথা গুলো বের করলে হয়তো কিছুটা শান্তি পাবো। তাহলে চলুন শুরু করছি।

যে কোন খেলার মধ্যে কোন এক দেশের দল সব খেলায় জয় লাভ করবে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আবার সেটা কোনদিন সম্ভবও না। কারন সবাই যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর চেষ্টা করলে সব কিছুই সম্ভব। যে কোন সময় যে কোন জায়গায় খেলায় ভালো খেলাটা নির্ভর করে প্রেক্টিস আর নিজের মনমানুষিকতার উপর। বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি বাজে ইতিহাস হলো নারী কেলেংকারি। বাংলাদেশ টিমের প্রত্যেকটা খেলোয়ার প্রথম দিকে ভালো পার্ফমেন্স নিয়ে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়। তারপর কয়েকটি ম্যাচ খুব ভালো খেলে কিছু অর্থ সম্পদ হয়ে যায়। তখন তাদের মনমানুষিকতা খেলা থেকে সরে অন্য দিকে চলে যায়। বিশেষ করে তাদের নজরটা তখন মেয়েদের দিকে চলে যায়। তাদের যে এক চ্যাটিয়া দোষ তা কিন্তুু না। বাংলাদেশের মেয়েরাও তাদের প্রতি আসক্ত হতে থাকে। আর সেই ফাঁদে খেলোয়াররা পা দিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ধ্বংস করে ফেলে।

আমার দেখা ভালো ভালো মানের অনেক খেলোয়ার এসব চক্রের মধ্যে পড়ে খেলা থেকে মনযোগি সরিয়ে ফেলেছে। যার ফলে ভালো কোন পার্ফমেন্স করতে না পারায় দল থেকে বাদ পড়ে যায়। এভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দায়িত্ব নিয়ে খেলার মত তেমন কোন উল্লেখ যোগ্য খেলোয়ার পাওয়া যাচ্ছে না। দিন দিন বাংলাদেশ দলের র‍্যাঙ্কিং ডাউন হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের খেলার প্রতি মানুষের আস্তা হারিয়ে গেছে। আগের মত উত্তেজনা আর দেখা যায় না। এই খেলা ডাউন হওয়ার পিছনে কিছুটা রাজনৈতিক কারনও আছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দলের জন্য বর্তমান সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে।

আপনারা সবাই জানেন যে বর্তমানে এশিয়া কাপ চলতেছে। গত মাসের ৩১ তারিখ স্বাগতিক শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ৫০ অভারের ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু হয়েছিল টাইগার বাহিনীর। ঐদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিকেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। টাইগার বাহিনীর ব্যাটসম্যানরা তাদের নিজেদেরকে তেমন ভাবে মেলে ধরতে পারেনি। লঙ্কানদের বলিংয়ের তান্ডবে সব গুলো অভার খেলেতে পারেনি টাইগার বাহিনী । মাত্র ৪২.৪ বল খেলে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬৪ রান করে সাকিব মুশফিকরা । জবাবে ১৬৫ রানের ছোট্ট টার্গেট নিয়ে ৬৬ বল হাতে রেখে ৫ ইউকেটে জয় তুলে নেয় শ্রীলংকা।

৩ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পতিপক্ষ হয়ে মাঠে লড়াই করে নতুন উদীয়মান ক্রিকেট দল আফগানিস্তান। এই ম্যাচে টাইগার বাহিনী প্রথম দিকে ধাক্কা খেলেও শেষের দিকে ধাক্কা সামাল দিতে সক্ষম হয়। এই ম্যাচে বাংলাদেশের দুইজন ম্যান শতরানের ঘর পার করে দলীয় রানকে ৩৩৪ এর ঘরে দাড় করায়। পাঁচটি উইকেট হারিয়ে পূর্ণ ৫০ অভার বল খেলতে সক্ষম হয়েছে টিম বাংলাদেশ । অপর দিকে লড়াকু আফগানিস্তান ৪৪ অভার বল খেলে সব কয়টি ইউকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করতে সক্ষম হয়। এই ম্যাচে টিম বাংলাদেশ ৮৯ রানের বড় একটি জয় পায়।

৬ সেপ্টেম্বর টাইগার দের সামনে দাড়ায় এশিয়ার পরাক্রমশালী দল পাকিস্তান। ঐদনি বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ অভার চার বল খেলে মাত্র ১৯৩ রান করে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়। জবাবে পাকিস্তান মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে ৩৯.৪ বল খেলে ১৯৩ রান টকপে যায়। ফলাফল ৬৬ বল হাতে রেখে সাত উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান।

৯ই সেপ্টেম্বর টাইগারা আবার দাড়ায় স্বাগতিক লঙ্কানদের বিরুদ্ধে। সেইদিন লঙ্কনরা আগে ব্যাটিং করে ৫০ অভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান তুলতে সক্ষম হয়। জবাবে বাংলাদেশে প্রথম দিকে আশার আালো জাগিয়ে শেষে তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দেয়। জয়ের বন্দরে পৌছার আগেই সব কয়টি ইউকেট হারায় টাইগার বাহিনী। ফলাফল ২১ রানে জয় পায় দ্বীপ রাষ্ট শ্রীলংকা।

গত কাল ১৫ই সেপ্টেম্বর টাইগার বাহিনী নিয়ম রক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি হয় প্রতিবেশি বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সাথে। ভারত টস জিতলেও বাংলাদেশকে ব্যাটিং করতে আমন্ত্রন জানায়। বাংলাদেশ শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেনি। তবে ক্যাপটেন সাকিব আল হাসান দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ম্যাচের রশি টেনে ধরে রাখে। সাকিব আল হাসান ৮৫ বলে ৮০ রানের বড় একটি ইনিংস উপহার দেয় ভক্তদের। তার পথে হেটে তৌহিদ,নাসুম রান তুলার চেষ্টা করে। সব মিলিয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫০ অভার খেলে ২৬৫ রান তুলতে সক্ষম হয় সাকিব বাহিনী। জবাবে ভারত সুন্দর ভাবেই ম্যাচটা শুরু করেছিল। কিন্তুু দলের ক্যাপটেন রোহিত শর্মা রান শূন্য থেকে যায়। তবে অপর পাশের অপেনার সাবমান গীল নিজের শতক তুলতে ভুল করেনি। তারপর আক্সার পেটেল বাদে আর কেউ তেমন ভাবে দাড়াতে পারেনি। ফলে ২৫৯ রান তুলতে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ফেলে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম রাষ্ট্র ভারত। ফলাফল বাংলাদেশ ৬ রানের সান্ত্বনামূলক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।