আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অফিসে কাজের ব্যস্ততার কারণে আজকে পোস্ট করতে একটু দেরি হয়ে গেছে। তাছাড়া আমাদের কমিউনিটির তিনদিন ব্যাপী হ্যাংআউটের অনুষ্ঠান ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি হ্যাংআউটের প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানে থাকার চেষ্টা করেছি। এই বিষয়ে পরে একটি বিস্তারিত পোষ্ট শেয়ার করবো। আজকের মূল আলোচনায় ফিরে যায়।
গত পর্বে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম আমরা কোথায় থেকে কিভাবে সিলেটে গিয়েছি এবং হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর কিছু ঘটনাও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তিনি এখানে আসার কারণ এবং এখানে আস্তানা গড়ার কারণও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। বন্ধুরা আমি এই প্রথম হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারত করছে করতে গিয়েছিলাম। আমি মাজারে সামনে গিয়ে অবাক হয়ে গেছি দরগাহ-এ শরীফকে কেন্দ্র করে আশে পাশে অনেক হোটেল রেস্টুরেন্ট,দোকান পাটও মার্কেট গড়ে উঠেছে। মাজার শরীফটি অবশ্য শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে।
ঐ দিন পবিত্র জায়গাটিতে গিয়ে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। অনেক দিনের আশা ছিল সেখানে যাবো। অবশেষে নিজের চোখে হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর মাজার শরীফ দেখতে পেলাম। মাজার জিয়ারতর করলাম। এখানে প্রতিদিন আমার মত হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। আল্লাহর ওলীর মাজার জিয়ারত করে তিনির ওসিলায় সৃষ্টিকর্তার নিকট সাহায্য চায়। ঐখানে একটি জিনিষ ভাল লাগলো মাজার শরীফটি অনেকটা উপরে রয়েছে। কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ সিড়িঁ পার হয়ে তারপর মাজারের দেখা পাওয়া যায়। মহিলাদের জন্য আলাদা ভাবে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঐখানে বাংলাদেশের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের কবরও দেখলাম। সালমান শাহের অনেক ভক্তবৃদ্ধরা এখানে আসে।
দরগাহ শরীফের ভিতরে প্রবেশ করেই হাতের ডান পাশে হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এর জালালী কবুতর দেখা যায়। এই কবুতর নিয়ে অনেক মানুষের কাছে অনেক ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়। এখানে অনেক মানুষ কবুতর মান্নত করে ছেড়ে দিয়ে যায়। হযতর শাহ জালাল (রহঃ) মক্কা থেকে আসার সময় দিল্লিতে এসে তৎকালিন বাদশাহের রাজদরবারে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। সেখান থেকে আসার সময় দিল্লির বাদশাহ এক জোড়া জালালী কবুতর হযরত শাহ জালাল (রহঃ) কে উপহার দিয়ে ছিলেন। এই হলো সেই কবুতরের বংশধর।
আমি কবুতর গুলার সামনে দাড়িয়ে একটি সেলফি নিয়েছিলাম। এই কবুতর গুলোকে হাত দিয়ে ধরা যায়। তবে কেউ কবুতর নিয়ে রাখতে পারে না বা জবাই করে খেতেও পারে না। এটাই আল্লাহর তায়ালার একটি খেলা। কবুতর গুলোর আশে পাশে যে ভবন গুলো রয়েছে সব গুলোর ছাদে, দরজা,জানালায় এই কবুতর গুলো বসে থাকে। এই কবুতর নিয়ে একটি গান রয়েছে, “ঝাঁকে উড়ে আকাশ জুড়ে দেখতে কি সুন্দর জালালী কইতর, শাহ জালালের জালালী কইতর।”
এই সেই পিতলের ডেগসি। যেটাতে মানুষ দান সদগাহ করে থাকে। যখন বাৎসরিক উরস হয় তখন টাকা পয়সা দিয়ে এই ডেগসি ভরে যায়। ডেগের চার পাশে মানুষ বসে বসে এই ডেগসিরক পাহারা দিচ্ছে। পাশে আবার খাঁচাও রয়েছে কেউ যদি হাঁস মুরুগ,পশু পাখি নিয়ে আসে সে গুলো এখানে রাখা হয়।
এইটা হলো সেই জায়গা যেখানে উরস বা আন্যান্য সময় রান্না বান্না করা হয়। এখানে বেশি সময় খিচুড়ি রান্না করা হয়। অনেক গুলো ডেগ পাতিল দেখা যাচ্ছে। চুলার মধ্যে দুইটি ডেগ বসানো আছে। সম্ভবত প্রতিদিনই কমপক্ষে একবার খিচুড়ি রান্না করা হয়। কারন প্রদিতিন মাঠে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ঠ
এই হলো হযরত শাহ জালার (রহঃ) এর মাজারের মূল চিত্র। বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে গড়ে উঠেছে দরগাহ শরীফ। হযরত শাহ জালাল (রহঃ)এর নামে রয়েছে বিশল বড় মসজিদ,মাদ্ররাসা। সামনে রয়েছি বিশাল বড় মাঠ। মাঠের মধ্যে রয়েছে বিশাল বড় বড় খেজুর গাছ। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সারা মাঠের মধ্যেই মানুষ হাটাহাটি করছে। এখানে সব সময় হাজার হাজার মানুষ থাকে।
বন্ধুরা অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে, আজ এ পর্যন্তই,আবার দেখা হবে তৃতীয় পর্ব নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। বেশি করে পানি খাবেন,চার পাশ পরিষ্কার রাখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | হযরত শাহ জালাল (রঃ) এর মাজার জিয়ারতের দ্বিতীয় পর্ব। |
স্থান | সিলেট |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০৯-০৫-২০২৩ |
সময় | বিকাল .৫.00 টা |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মাজার শরীফ জিয়ারতের যাওয়ার অনেক ইচ্ছা আছে আমার। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি সেখানে যাওয়ার জন্য কিন্তু ব্যস্ততার কারণে হয়ে উঠে না। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে । আসলে আপনি ঠিক বলেছেন আল্লার ওলিদের উসিলায় দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়। আল্লাহর অলিরা আমাদের দেশে যদি না আসতো তাহলে আজ আমরা ভিন্ন ধর্মের থাকতাম। খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন মাজার শরীফে গিয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া এক সময় সুযোগ করে চলে যাবেন। ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit