বাংলা ভাষা ছড়িয়ে দাও সবার মাঝে-
আপনারা সবাই জানেন যে খেলাধুলা শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। খেলাধুলা করতে পারলে শরীর সুস্থ থাকে। ঈদের ছুটিতে বর্তমানে আমি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করতেছি। আমার মত শত শত মানুষ বর্তমানে ঈদের ছুটিতে আপনজনদের সাথে ঈদ করতে গ্রামে এসেছে। অনেকদিন পরে ছোট বড় সবার সাথে সবার সাক্ষাৎ হচ্ছে, মুলাকাত হচ্ছে। আমাদের গ্রামটা মোটামুটি অনেক বড় একটি গ্রাম। কুমিল্লা সিলেট হাইওয়ে রাস্তার পাশে আমাদের গ্রামটি অবস্থিত। তিন লাখ পীর বাস স্ট্যান্ড, সৈদাবাদ বাস স্ট্যান্ড, মনকশাইর বাসস্ট্যান্ড, এই তিনটি বাস স্ট্যান্ড আমাদের গ্রামের মধ্যে পড়েছে। সেই সুবাদ আপনারা ধারণা করতে পারছেন আমাদের গ্রামটি কত বড় হবে। আমাদের গ্রামের মধ্যে প্রায় ৮ হাজারের মতো মানুষের বসবাস। আমাদের গ্রামের মধ্যে রয়েছে তিনটি প্রাইমারি স্কুল, টাইটেল পর্যন্ত একটি কওমি মাদ্রাসা, চারটি মহিলা মাদ্রাসা, পাঁচটি কিন্ডারগার্টেন, একটি হাই স্কুল,২৮ টি মসজিদ সহ একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সে হিসেবে আমাদের গ্রামে কোন প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। আমরা প্রতিবছর মাদ্রাসার বিশাল বড় ময়দানে ঈদের জামাত পড়ে থাকি।
আমাদের সরকারি কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে বিশাল বড় একটি খেলার মাঠ। এই খেলার মাঠে সারা বছরই ক্রিকেট ফুটবল সহ বিভিন্ন ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে ঈদের পরের দিন থেকে বিভিন্ন পাড়ার বিবাহিত বনাম অবিবাহিত ভাইয়েরা খেলার আয়োজন করতেছে। গতকাল আমি বিকাল বেলা পুকুরের ঘাটলার মধ্যে বসে আছি, এমন সময় আমার এক চাচাতো ভাই আমাকে বললো, চলেন কলেজ মাঠে খেলা দেখে আসি। যেহেতু ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি, বাড়িতে তেমন কাজ নেই। যার ফলে তার সাথে কলেজ মাঠে খেলা দেখতে গেলাম।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে এভাবে সিএনজিতে মাইক লাগিয়ে সারা গ্রাম ঘুরে ঘুরে এলান করে বেড়াই আগামীকাল কোন কোন পাড়ার কোন কোন দল খেলায় অংশগ্রহণ করবে। ঈদের ছুটিতে সবাই বাড়িতে আসার কারণে সবাই খুব আনন্দের সাথে খেলায় অংশগ্রহণ করতেছে। উপরের ছবিতে যে খেলার মাঠটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হলো আমাদের গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সেই কলেজ মাঠ। ১৯৬৯ সালে এই খেলার মাঠটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। খেলার মাঠের পশ্চিমপাশে রয়েছে বিশাল বড় কলেজের মূল ভবন। আপনার ছবির মধ্যে কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি ভবন দেখতে পাচ্ছেন। এ ভবনটি নতুন করা হয়েছে। এই খেলার মাঠেই প্রতিদিন আমাদের গ্রামের এক এক পাড়ার ছেলেপেলেরা ফুটবল খেলে থাকে।
গতকাল মাদ্রাসা পাড়ার বিবাহিত বনাম অবিবাহিত দলের খেলা ছিল। আমাদের এই খেলার মাঠটিতে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় তারকা মানের খেলোয়াড়রা এসে খেলে গেছে। আমাদের এই মাঠটি আরো অনেক বড় ছিল। পাশে ছোট একটি পুকুর রয়েছে। প্রতিবছর অল্প অল্প করে ভেঙ্গে মাঠটি ছোট হয়ে যাচ্ছে। আবার দেখতে পাচ্ছেন মাঠের দক্ষিণ কর্নারে সরকারের পক্ষ থেকে একটি ভবন করার কারণে মাটির পরিধি আরো কমে গেছে। ঈদের পর থেকে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে, বৃষ্টির পানি কিছুটা মাঠের মধ্যে জমে আছে। যার ফলে ফুটবল খেলায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতেছে। তারপরেও খেলোয়াররা যথা সম্ভব তাদের খেলা দেখাচ্ছে।
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার মত আরো অনেক মানুষ খেলা দেখার জন্য সেখানে জমায়েত হয়েছে। প্রতিদিন বিকালবেলা এই খেলার মাঠের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। যার ফলে সবাই চেষ্টা করে বিকালের দিকে কলেজ মাঠের দিকে যাওয়ার জন্য। আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন আমি প্রতিদিন খেলার মাঠে যেতাম। আমি নিজেও মাঝে মাঝে এখানে খেলতাম। ঈদের পরের দিন আমি কিছুক্ষণ ফুটবল খেলেছিলাম। হঠাৎ করে বেশ কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথা হয়ে গেছে। যারা প্রতিদিন খেলে তাদের কোন সমস্যা হয় না। তবে হঠাৎ করে খেলতে গেলে একটু ব্যাথা অনুভব হয়। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে সেই ব্যথা চলে যাবে।
গতকাল আমরা যে খেলাটি উপভোগ করেছি সেটার মধ্যে অবিবাহিতরা জিতেছিল। কারণ যারা বিবাহিত ছিল তাদের সবারই বয়স বেশি ছিল, তাদের বুড়ি বড় ছিল, মাঠের মধ্যে তারা তেমন দৌড়াদৌড়ি করতে পারে নাই। তাছাড়া প্রতিদিন বিকেল বেলা বৃষ্টি হওয়ার কারণে মাঠেও কাদা পানি ছিল। যার ফলে কাদা পানির মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করতে খুবই কষ্ট হয়। যাই হোক তারপরও আমরা খুব সুন্দর ভাবে খেলাটি উপভোগ করেছি। আজকেও সে মাঠের মধ্যে খেলা রয়েছে। আজকে খেলবে কলেজপাড়ার বিবাহিত বনাম অবিবাহিত টিম। যাই হোক আজকের খেলা আর দেখা সম্ভব হবে না, কারণ আজকে বিশেষ এক দাওয়াতে নানু বাড়ি যেতে হবে।
তো বন্ধুরা আজকে এখানেই আমার ব্লগের ইতি টানলাম। আবার আগামীকাল নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | গ্রামের কলেজ মাঠে ফুটবল খেলা দেখার অনুভূতি।। |
স্থান | সৈয়েদাবাদ কলেজ মাঠ ,কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া , বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৯/০৬ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
তিনটা বাসস্ট্যান্ড পড়েছে শুধুমাত্র আপনাদের গ্রামের মধ্যেই ভাবা যায়। ৮ হাজার লোকের বসবাস। সত্যি অনেক বড় গ্রাম আপনাদের। এলাকায় গিয়ে সবার সাথে দেখা হলে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আর মাঠে এইরকম ফুটবল সত্যি অন্যরকম একটা মূহূর্ত। দেখেও ভালো লাগছে। ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে অনেক মানুষের সাথে দেখা হলো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit