বাংলা ভাষার নাম্বার ওয়ান কমিউনিটি-
গতকাল শুক্রবারে আমার অফিস বন্ধ ছিল। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কুচিং শেষ করে বাসায় এসে যাবতীয় কাজ শেষ করে লাঞ্চ করে আড়াইটার দিকে খাটের উপর বিছানায় শুতে গেছিলাম। বিছানায় পিঠ লাগার সাথে সাথে গরম তেলে মাছ ছাড়লে যেমন ছেৎ করে উঠে, ঠিক তেমনি আমিও অমন করে উঠলাম। বুঝতে পারলাম খাটের মধ্যে ঘুমালে আমিও মাছের মত ফ্রাই হয়ে যাবো। তাই বিছনায় না শুয়ে একটি বালিশ নিয়ে ফ্লোরেই শুয়ে গেলাম। মাথার উপরে ফ্যান চললেও আগুনের বাতাস উপভোগ করলাম। কিছু করার নাই আগুনের বাতাসের মধ্যেই ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। অনেক্ষন এপাশ ওপাশ করে অবশেষে ঘুম আসলো। মাগরিবের আজান শুনে ঘুম ভাগলো। ঘুম থেকে উঠে শরীরের মধ্যে দেড় বালতি ঠান্ডা পানি দিলাম। তারপর শরীর মুছে মোবাইল আর একটা চেয়ার নিয়ে বাসার ছাদে গেলাম। আগেই জানতাম শুক্রবারে হায়দ্রাবাদ আর রাজস্থান রয়্যালসের দ্বিতীয় কোয়ালিফাই খেলা আছে। ছাদেও তেমন বাতাস নেই তবুও রুমের মধ্যে থেকে গরম কম। তাই ছাদেই বসে রইলাম।
গত কাল খেলাটি হয়েছিল চেন্নাইয়ের বিখ্যাত এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে। হাদ্রাবাদ আর রাজস্থান রয়্যালস দুই দলই খুব ভালো খেলে থাকে। এবারের আসরে বড় বড় স্কোর কারীর তালিকায় দুই দলই রয়েছে। গত ২২শে মে বুধবার রাজস্থান রয়্যালস ব্যাঙ্গালুরকে হারিয়েছে। সেই খেলাটিও আমি দেখেছিলাম। সেই হিসাবে রাজস্থান ফর্মেই আছে। তবে হায়দ্রাবাদ কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথে হেরে দ্বিতীয় সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফাইনালে যেতে তারা মরিয়া হয়ে রয়েছে। সুতরাং কোন দলকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। খেলাটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে,সে জন্যই দেখতে বসলাম।
যথা সময়ে খেলা শুরু হলো রাজস্থান রয়্যালস টস জিতলেও তারা বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে হায়দ্রাবাদকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রন জানায়। হায়দ্রাবাদের পক্ষে অপেনিং করে হেড আর অভিষেক শর্মা। দুইজনই হার্ডহিটার ব্যাটার,তাদের ব্যাট বুলেটের মত চলে। তবে গতকাল দুই জনের কেউ তেমন ভাবে জ্বলে উঠতে পারে নাই। হেড ৩৪ রান করে সন্ডিপ শর্মার বলে আশিউনের হাতে ক্যাচে ধরা পরে আউট হয়ে যায়। আর অভিষেক শর্মা পাঁচ বলে বারো রান করে ফেরত যায়। অর্থাৎ অপেনার ব্যাটার কেউ বেশিক্ষন ক্রিজে থাকতে পারে নাই। তারপর মার্করাম,নীতীশ রেড্ডি,আব্দুল সামাদ তারা কেউ দুই সংখ্যার ঘরও ছঁতে পারে নাই। তাই প্রথম দিকে হায়দ্রাবাদের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তখন ধারনা করেছিলাম ১২০/৩০ রান হবে। তবে ক্লাসেন ৩৪ বলে ৫০ রানের একটি দুর্দান্ত ম্যাচ উপহার দেয়। বাউন্ডারীর মধ্যে তার চারটি ছয় রয়েছে। তাকে সঙ্গ দিয়েছে শাহবাজ আহমেদ। ১৮ বলে ১৮ রান করে ক্লাসেনের সাথে ছিল। সম্পূর্ণ ম্যাচের মধ্যে শুধু ক্লাসেন কিছু রান করলো। যার ফলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৭৫ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে। এই অল্প রানের পুঁজি নিয়ে ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখে। যেমন ভেবেছিলাম তেমন হয়নি।
দ্বিতীয় পর্বে ১৭৬ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে সামসন বাহিনী। অপেনিং ব্যাটিং করে যশস্বী জয়সওয়াল ও টম কোহলার-ক্যাডমোর। যশস্বী জয়সওয়াল মোটামুটি ভালোই শুরু করেছিল। অল্পের জন্য সে ফিফটি করতে না পারলেও ২১ বলে ৪২ রানের দারুন একটি ইনিংস খেলেছে। অপর পাশে টম কোহলার-ক্যাডমোর ও ক্যাপটেন সঞ্জু স্যামসন ও রিয়ান পরাগ তারা জ্বলে উঠতে পারে নাই। তিনজন মিলে মাত্র ২৬ রান যোগ করে। দলের পক্ষে একাই লড়াই করেছে ধ্রুব জুরেল। সে অপরাজিত থেকে ৩৫ বলে ৫৬ রান করে। তবে তাকে কেউ সাপোর্ট দিতে পারে নাই। শেষের দিকে শিমরন হেটমায়ার,রোভম্যান পাওয়েলের মত ব্যাটসম্যানও কিছু করতে পারে নাই। ধ্রুব জুরেলকে রেখে সবাই আউট হয়ে যায়। দেখতে দেখতে কিভাবে যেন ২০ অভার শেষ হয়ে গেছে। কিন্তুু রান হয়েছে মাত্র ১৩৯ রান। যার ফলে ৩৬ রানে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ জিতে ফাইনালে চলে যায়। মানে দ্বিতীয় ইনিংসটা চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়। ধ্রুব জুরেলকে যদি কেউ সাপোর্ট দিতে পারতো তাহলে হয়তো খেলাটা রাজস্থান জিততে পারতো।
তবে দুই ইনিংসের মধ্যেই বোলার গন তাদের কারিশমা দেখিয়েছে। রাজস্থানের পক্ষে বোল্ট ও আবেশ খান দুই জনই তিনটি করে উইকেট পায়। আবেশ খান চার অভারে রানও কম দিয়েছে,মাত্র ২৭ রান। হায়দ্রাবাদের পক্ষে শাহবাজ খাঁন দুই ফর্মেটেই ভালো করেছে। ব্যাট হাতে আঠারো রান করেছে আবার চার অভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে তিনটি উইকেট পেয়েছে। আর ভালো ভালো উইকেট গুলো শিকার করেছিল। যার ফলে সব দিক দিয়ে বিবেচনা করে শাহবাজ আহমেদকে ম্যান অফদা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়েছে। মোটামুটি খেলাটি ভালোই লেগেছে। এখন দেখা যায় ফাইনালে শেষ হাঁসিটা কে হাঁসে।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগে আমার এমন একটা নেশা ছিল আমিও ক্রিকেট খেলা দেখতাম। তবে আপনার যেন দেখায় হয় না। তবে মাঝেমধ্যে এই খেলা বিষয়ে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করি। আজকে খেলা না দেখা হলেও আপনার এই রিভিউ এর মধ্য দিয়ে কিছুটা জানতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া আজকের এই নিউজ জেনে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
২০১০ সাল থেকেই আমি খেলা দেখি। ভালোই লাগে খেলা দেখতে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কথাটা শুনে হাসি আসছিল কিন্তু এই পরিস্থিতির স্বীকার যে আমি নিজেও কয়েকবার হয়নি সেটা বলা যাবে না হা হা। ভাইরে মাঝে মাঝে মনে হয় আমি মনে হয় মাছ হা হা। ম্যাচের পরে রাজস্থান ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামশন এর কান্না দেখে খুবই খারাপ লাগছিল। এছাড়া ম্যাচটা বেশ জমজমাট হয়েছে। মোটামুটি যোগ্য দল হিসেবেই হায়দ্রাবাদ ফাইনালে উঠে গিয়েছে। তবে এখানে হায়দ্রাবাদের বোলারদের প্রশংসা কিন্তু করতেই হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া হায়দ্রাবাদ খেলাটি জিততে বোলারদের অবদান বেশি ছিল। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit