সুপার ওভারে গিয়ে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কার।।

হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। সবার সুস্বাস্থ কামনা করে আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে খেলাধুলা বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করবো। গতকাল দারুন উত্তেজনাপূর্ণ একটি খেলা উপভোগ করেছি। চলুন তাহলে রিভিউটা শেয়ার করা যাক।

টিকেট বিশ্বের পরাশক্তি ইন্ডিয়া শ্রীলঙ্কার সাথে টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করে নিয়েছেল আগের ম্যাচেই। গতকাল ছিল শ্রীলঙ্কা বনাম ইন্ডিয়ার তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ। যদিও ভারতের জোয়ানরা সিরিজ জয় করে নিয়েছে, তারপরও তৃতীয় ম্যাচে জয় পাওয়ার ইচ্ছা ছিল শতভাগ। অন্যদিকে হোয়াইট ওয়াশ থেকে বাঁচার জন্য মরিয়া ছিল দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা। দুই দলই ভালো খেলেছে। যার ফলে লাষ্ট পর্যন্ত খেলাটি ড্র হয়। সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কা এত বাজে খেলবে সেটা কেউ চিন্তা করতে পারে নাই। সুপার অভারে মাত্র দুই রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। অন্য দিকে তিন রানের টার্গেট নিয়ে নেমে প্রথম বলেই চার মেরে দলকে জয় এনে দেন সূর্যকুমার। যার ফলে জিততে গিয়েও ম্যাচটি হাত ছাড়া হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার।

গত কাল স্থানীয় সময় সন্ধা সাড়ে সাতটায় শ্রীলঙ্কা পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা টস জিতলেও ব্যাটিং করার জন্য আমন্ত্রন জানায় ভারতকে। আর ভারতের পক্ষে প্রথম দিকে প্রতিনিধিত্ব করে যশস্বী জয়সওয়াল ও সহ-অধিনায়ক শুভমন গিল। প্রথম দিকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রন পেলেও বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ভারতের প্রতিনিধিরা। গতকাল যশস্বী জয়সওয়াল ৯ বলে ১০ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পরে। অন্য দিকে সঞ্জু স্যামসন ৪ বলে শূন্য, রিঙ্কু ২ বলে ১ রান, সূর্যকুমার ৯ বলে ৮ রান করে পর পর আউট হয়ে যান। শিবম দুবেও তেমন ভাবে মাঠে থাকতে পারেনি, ১৪ বলে মাত্র ১৩ রান করে মাঠ ছাড়ে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। তবে ২২ গজ পিচের এক পাশ দখল করে দাড়িয়ে ছিল নতুন উদীয়মান খেলোয়ার ও সহ অধিনায়ক শুভমন গিল। সে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ধরে রাখে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। যার মধ্যে তিনটি চারের বাউন্ডারী ছিল।

দলের বিপদের সময় আশা জাগায় সপ্তম ও অষ্টম উইকেটে আসা রিয়ান পরাগ এবং ওয়াশিংট সুন্দর। তাদের জুটিতে আসে ৫১ রান। এর মধ্যে রিয়ান পরাগ ১৮ বলে ২৬ রান ও ওয়াশিংটন সুন্দর করে ১৮ বলে ২৫। তাদের জুটি দলকে কিছুটা হলেও লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। সব মিলিয়ে তারা ২০ ওভার খেলে নয় উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করতে সক্ষম হয়।

দ্বিতীয় পর্বে জয়ের জন্য ১৩৮ রানের লক্ষ্যে নিয়ে নেমে লঙ্কানরা ভালোই শুরু করেছিলো। নিজেদের ঘরের মাঠে বুঝে শুনেই ব্যাট চালিয়ে ছিল লঙ্কান বাহিনী। নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিস দুইজন ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। এর মধ্যে নিশাঙ্কা ২৭ বলে ২৬ রান ও মেন্ডিসের অবদান ছিল ৪১ বলে ৪৩। দুই জনের ব্যাট থেকে কোন ছয় না আসলেও আটটি চার এসেছিল। দলীয় রান যখন ৫৮ ছিল তখন নিশাঙ্কা আউট হয়ে যায়। সেখানে দলের হাল ধরে কুশল পেরেরা। সেই দারুন ব্যাটিং করেছে। ৩৪ বলে ৪৬ রানের দারুন একটি ইনিংস খেলেছে। এই তিনজন মিলে ১১৫ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পরে আর কেউ দুই সংখ্যার ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। তবে অন্য দিকে ভারতের হয়ে খলিল আহমেদ এক ওভারে পাঁচটি হোয়াইট দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের কাছাকাছি পৌছে দেয়। তবে তাদের ভাগ্য খারাপ ছিল, ২০ ওভার শেষ হয়ে গেলেও তারা ১৩৭ এর ঘর অতিক্রম করতে পারেনি। ফলে খেলা ড্র হয়ে সুপার ওভারে গড়ায়। সুপার ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের কাছে পাত্তাই পায়নি শ্রীলঙ্কার ব্যাটার কুশল পেরেরা এবং পাথুম নিশাঙ্কা। মাত্র দুই রান করে সুপার ওভারে। সূর্যকুমার নেমে প্রথম বলেই চার মেরে খেলার সমাপ্ত ঘটায়। লঙ্কান বাহিনী খুব কাছ থেকেও জয়ের স্বাদ গ্রহন করতে পারেনি।

লঙ্কানদের পক্ষে থেকশান খুব ভালো বল করেছে। সে চার অভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেয়। এছাড়া হাসরাঙ্গাও দুটি উইকেট পায়। ভারতের বোলাররা প্রথম দিকে সুবিধা করতে না পারলে ও শেষ দিকে ভালো ভাবেই চেপে ধরেছিল লঙ্কানদের। ভারতের হয়ে রবি বিষ্ণোই , ওয়াশিংটন সুন্দর, সূর্যকুমার যাদব, রিঙ্কু সিং সবাই দুইটি করে উইকেট পায়। তবে সূর্যকুমার যাদব ও রিঙ্কু সিং জাদু দেখিয়েছে। তারা মাত্র এক ওভার করে দুইটি করে ‍উইকেট পায়। সব মিলিয়ে ভারতের ব্যাটিং থেকে বোলিং ভালো হয়েছে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।