সামর্থ্যবান সবাই যাকাত ও সদকাতুল ফিতর আদায় করুন।।

Link

হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের ইসলামের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ হুকুম যাকাত ও সদকাতুল ফিতর নিয়ে আলোচনা শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি পড়ে যারা বুঝতে পারেন, যে যার উপর যাকাত ও সদকাতুল ফিতর ফরজ ও ওয়াজিব। তারা সবাই যাকাত ও সদকাতুল ফিতর আদায় করে দিবেন।

“সদকাতুল ফিতর” ইসলামের একটি ওয়াজিব হুকুম। প্রত্যেক ছোটবড় সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ঈদগাহে যাওয়ার আগে “সদকাতুল ফিতর” আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসের যে কোন দিনেও “সদকাতুল ফিতর” আদায় করা যেতে পারে। আর যাকাত হলো একটি ফরজ তথা অত্যবর্শকীয় ইবাদত। এটাও সামর্থ্যবান সব মুসলমানের উপর আদায় করা ফরজ। যারা যাকাতের অর্থ নিতে পারে তারা “সদকাতুল ফিতর” ও নিতে পারে। তাই যাকাত বা সদকাতুল ফিতরের অর্থ দেওয়ার জন্য দুরে কোথাও যেতে হবে না। আপনার আশে পাশেই হাজারো মানুষ রয়েছে। তবে যাকাত ও সদকাতুল ফিতর দেওয়ার মত মন-মানুষিকতা থাকতে হবে।

“সদকাতুল ফিতর” বাক্যটি আরবী যার অর্থ ঈদুল ফিতরের সদকা। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে এটাকে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। আবার কেউ কেউ জাকাতুল ফিতর বলে থাকে। সদকাতুল ফিতর আদায় করা অনেক গুলো কারন রয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য প্রধান কারন হলো হত দরিদ্ররা যেন ঈদের দিন সবার সাথে খুশি মনে ঈদ পালন করতে পারে। আপনারা আমরা সবাই বর্তমান বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত আছি। যাদের সামর্থ আছে তারা ঈদের সময় বিভিন্ন ধরনের খাবার খায়,বিভিন্ন রং বেরঙের পোষাক কিনে,দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে ঈদ পালন করে। ঈদ উপলক্ষে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। অথচ হিসাব করে যাকাত ও সদকাতুল ফিতর আদায় করে না।

অথচ আমাদের আশে পাশে হাজারো হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে,যারা নাম মাত্র কিছু সাধারন খাবার খেয়ে রোজা পালন করে। ঈদের খুশি তাদের মনে ধুলা দেয় না। তারা নতুন নতুন পোষাক কিনতে পারে না। তারা মানুষের ধারে ধারে যাকাত ফিতার জন্য ঘুরে। যাকাত এবং ফিতরার হুকুম এসেছে গরিবদের মাধ্যমে নিজেকে পাপ মুক্ত করার জন্য। যাকাত ফিতরা দিলে সম্পদ কমে না। বরং সম্পদ পবিত্র হয়,সম্পদ আরো বাড়ে।

“সদকাতুল ফিতর” দেওয়ার উল্লেখ যোগ্য আন্যান্য কারনের মধ্যে রয়েছে রোজা ,তারাবীহ ও ইফতারিতে কোন ভুল ত্রুটি হলে সেটা ক্ষমা পাওয়ার সুযোগ। রমজান মাস যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত সেটার শুকরিয়া আদায় করা। দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা,তাদে খোঁজখবর নেওয়া।

যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য স্বর্ণের হিসাব করলে সাড়ে সাতভরি স্বর্ণ বা তার মূল্য আর যদি রুপা ও টাকার হিসাব করা হয় তাহলে বাংলাদেশের ৭৫ হাজার টাকার সমান। তবে যাকাতের জন্য শর্ত হলো উক্ত অর্থ ব্যবহারের অতিরিক্ত হয়ে একবছর অতিক্রম হতে হবে। আর সদকাতুল ফিতরের ক্ষেত্রে যেদিন উক্ত অর্থের মালিক হবে সেদিনই দিতে পারবে।

এবছর বাংলাদেশে ইসলামি ফাউন্ডেশন কৃর্তক সদকাতুল ফিতরের হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যাকাতের হিসাব পবিত্র কোরআনের মধ্যেই নির্ধারন করে দেওয়া হয়েছে। সম্পদদের আড়াই % বা চল্লিশ ভাগের এক ভাগ। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে গুগলে সার্চ করা যেতে পারে অথবা ইসলামি বড় কোন পন্ডিতের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে।

আমার এই ব্লগটি শেয়ার করার এক মাত্র লক্ষ হলো যদি আপনার আমার মাধ্যমে কোন অসহায় এতিম শিশুর মুখে হাঁসি ফুঁটে। যাদের উপর যাকাত ও সদকাতুল ফিতরের হুকুম পতিত হয়,সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে আদায় করে নিবেন। এছাড়াও আপনি আমি দুইটির পরিবর্তে একটি পোষাক কিনি,আপনি আমি একদিনের খরচের টাকা গরিবদের দান করি। তারা যেন কমপক্ষে ঈদের দিন ভালো কিছু খেতে পারে,ভালো কিছু পড়তে পারে সে দিকে খেয়াল রাখি। আমি দুরের কোন মানুষের কথা বলতেছি না। আপনার আমার আশে পাশের মানুষের দিকে তাকায়। আপনার আমার অনেক প্রতিবেশি রয়েছে। তাদের তাদের খোঁজ খবর নেয়। সর্বশেষ একটি কথা বলেই ব্লগটি শেষ করছি।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।