বাংলা ভাষায় প্রকাশ করো তোমার মনের অনুভূতি-
গত কয়েক মাস আগে আমি সন্ধার সময় অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় একটি গাড়িতে একশত টাকায় বিভিন্ন জিনিষপত্র বিক্রয় করতে দেখতে পায়। অনেক মানুষ সেই গাড়িকে ঘিরে দাড়িয়ে আছে। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন জিনিষ পত্র কিনতেছে। তারা একশত টাকা দিয়ে তিন প্যাকেট নুডুলস আর দুই প্যাকেট সেমাই বিক্রয় করছে। প্যাকেট গুলো তেমন বড় সাইজের না আবার এত ছোটও না। মোটামুটি ধরনের। তবে যায় হোক এই পাঁচ প্যাকেট জিনিষ এক সাথে ১০০ টাকায় পাওয়া যাবে না, এটা আমি শত ভাগ সিউর। তো অনেক চিন্তা ভাবনা করে সবার দেখাদেখি আমিও একটি প্যাকেজ নিলাম। চিন্তা করলাম একশত টাকাই তো, নিয়ে যায়। সবার যে গতি হবে আমারও সেই গতি হবে।
বাসায় নিয়ে প্রথমদিন সেমাই বা নুডুলস কিছুই রান্না করা হয়নি। পরের দিন সন্ধার পরে দুই প্যাকেট নুডুলস রান্না করা হয়েছে। তবে নুডুলস গুলো থেকে কেমন যেন একটা ভাপসা ঘ্রান আসে। একেবারে যে খাওয়া যাবে না, তা কিন্তুু না। তবে সমস্যা হলো বেশি খাওয়া যায় না। প্রাণ টমেটো স্স দিয়েও দুই জন দুই প্যাকেট নুডুলস খেতে পারি নাই। তবে সেমাই গুলো ভালো ছিল। পরে এক প্যাকেট নুডুলস আর রান্না করা হয়নি। সেই নুডুলসের প্যাকেট এখনো বাসায় আছে।
এভাবে আরেকদিন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে রাস্তার পাশে এক জাগায় বিস্কিট বিক্রয় করতে দেখলাম। সেখানেও মানুষের অনেক জমায়েত। প্লাস্টিকের বড় সাইজের এক বয়াম বিস্কিট মাত্র ১৫০ টাকা। বিস্কিট গুলো দেখে ভালোই মনে হলো। চিন্তা করলাম এত বড় এক বয়াম বিস্কিট মাত্র একশত পঞ্চাশ টাকা....। সবার দেখাদেখি আমিও একটি নিলাম। বাসায় গিয়ে বিস্কিট খেয়ে দেখলাম বিস্কিটের স্বাদ ও গুনগত মান সব কিছুই ঠিক আছে। তখন মনে মনে চিন্তা করলাম এবার নুডুলসের মত ঠকে যায় নাই, জিতেছি। কিন্তুু দুই তিনদিন পরে বিস্কিট যখন শেষ হয়ে আসলো তখন সেই বড় বয়ামের আসল রহস্য বের হয়ে আসলো। দেখলাম বয়ামের নিচে চিকন চিকন অনেক গুলো রঙ বেরঙের কাগজ দেওয়া। আবার মাঝখানেও বিস্কিট কোম্পানির নাম, সিল যুক্ত কাগজ লাগানো। মানে সব কিছু এমন ভাবে সাজিয়েছে যে, ভিতের যে বিস্কিট খুবই কম সেটা দেখার বা বুঝার কোন উপায় নেই। মানে পুরাই ধান্ধাভাজি। তখন চিন্তা করলাম বাংলাদেশের সবাই মনে হয় চালাক, শুধু আমি একাই বোকা রয়ে গেলাম। তাই তো জিনিষ পত্র কিনে বার বার ঠকতেছি।
গত পরশুদিন বাসায় যাওয়ার পথে অফিস থেকে বের হয়ে ১০০ গজ যাওয়ার পরে একটি গাড়িকে ঘিরে অনেক মানুষের জমায়েত দেখলাম। যার ফলে গাড়িটির নিকট এগিয়ে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি তাদের কাছে যে যে পণ্য আছে সে গুলোর কি কি উপকারিতা সেটা একটি মনিটরে ভিডিও দেখাচ্ছে। তবে তাদের পণ্য গুলো দেখে আমার পছন্দ হয়েছে। সেখানে দাড়ানোর পরেই তারা সবাইকে কয়েক ফুটা করে পানি খাওয়ালো। আর বললো এটা পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা দুর করে। পানিটা খেয়ে দেখলাম অনেক ঝাঁজ আছে। তাদের কাছে যে পণ্য দেখলাম সে গুলো হলো গ্যাাস্টিকের মহা ঔষুধ, মধু, খেজুর, ইসুবগুল ভুসি, তোকমা দানা, চিয়াবীজ, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম সহ দেশি বিদেশি অনেক ধরনের ফল। যে গুলো খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
গত কাল তাদের পণ্য গুলো পছন্দ হলেও গত দুইবারের অভিজ্ঞতার কারনে রাস্তার পাশ থেকে আর কোন কিছু কেনার আগ্রহ হারিয়ে গেছে। তাদের পণ্য গুলো উপর দিয়ে দেখতে ভালোই বুঝা যায়। কিন্তুু ভিতরে কেমন সেটা তো আর জানি না। আর যে পণ্য গুলো নিয়ে এসেছে, সে গুলো শরীর স্বাস্থের জ্য খুবই উপকারী। কিন্তুু ঐযে প্রবাদ আছে, “এক জাগায় চুন খেয়ে মুখ পুড়ে এখন দই দেখলেও ভয় পায়” এমন অবস্থা হয়েছে। কিছু কিছু মানুষের কর্মের ফল সবাইকেই ভোগ করতে হয়।
তো বন্ধুরা, আপনাদের মধ্যে যারা বাহির থেকে বিভিন্ন জিনিষ পত্র কেনাকাটা করেন তারা অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। কারন বাঙালীদেরকে বিশ্বাস নেই। বাঙ্গালীদের বেশি অংশই খুবই বাটপার প্রকৃতির মানুষ। তারা মানুষকে ঠকিয়ে টাকা আত্নসাৎ করতে চাই। জীবন অনেক কঠিন, বাঁচতে হলে বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা রাখতে হবে। কখন কোন অভিজ্ঞতা কাজে লাগে বলা যায় না। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | জিনিষ পত্র কেনার সময় যাছাই বাছাই করে কিনুন।। |
স্থান | শিবুমার্কেট, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৬/০৮/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বর্তমান সময়ে যে কোন জিনিস কিনতে হলে যাচাই বাছাই করে কিনতে হয়। আমাদের এইদিকেও এরকম করে ১০০ টাকায় নুডুলস সেমাই বিক্রি করে। তবে অনেকে বলে এগুলো ভালো আবার অনেকে বলে এগুলো খারাপ। তবে আপনার মত অনেকে মনে করে ১০০ টাকা কি আর হবে। বিস্কুটের ক্ষেত্র একই অবস্থা। যাইহোক সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নুডুলস গুলো তেমন বেশি ভালো না ভাই। আর কোনদিন কিনবো না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে সচেতন মূলক একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে অনেক সময় আমরা জিনিসগুলো যাচাই-বাছাই না করেই কিনে ফেলি। কিন্তু এই সুযোগে অনেকেই ডেট পার হয়ে যাওয়া পণ্য গুলো সুলভ মূল্যে বিক্রি করে। এতে করে কম টাকায় জিনিস পাওয়া গেলেও সে জিনিস কিন্তু খুব একটা ভালো নয়। আপনি অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পূর্বে লুডুসহ আরও যাবতীয় জিনিসপত্র কিনেছিলেন। সেই নুডুলস আপনি রান্না করে দেখতে পেলেন সেই নুডুলস থেকে কেমন একটা ঘ্রাণ আসছে। যেটা ভালো লুডুস থেকে আসে না। তাই আমাদের যাচাই-বাছাই করে জিনিসপত্র কেনা প্রয়োজন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া কোন কিছু কেনার ক্ষেত্র সবাই যেন সতর্ক থাকে। সেই জন্যই পোষ্ট করা। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit