সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।।

হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। আশা করি সবাই মনযোগ সহকারে পড়বেন।

বাংলাদেশ যেদিন আফগানিস্তানের সাথে প্রথম খেলাটা জয় লাভ করেছিল। সেদিন ভেবেছিলাম হয়তো বাংলাদেশ এই আসরে কিছুটা ভালো অবস্থানে থাকবে। কিন্তুু টিম বাংলাদেশের যে এমন অধপতন হবে সেটা আমি কল্পনাও করি নাই। একবার মনে মনে চিন্তা করেছিলাম বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা নিয়ে আর কোন পোষ্ট করবো না। কারন একটি খেলা জয় পাওয়ার পরে আর কোন খেলা জেতার কোন নাম গন্ধও নেই। খেলা না জিতুক,কমপক্ষে খেলাটা তো ভালো খেলবে। ১৯-২০ হতে পারে তাই বলে কি ১০-২০। বাংলাদেশের খেলা দেখলে শরীরে রাগ চলে আসে। তাদের খেলা দেখতে ইচ্ছেই করে না। এই আসরে একটি বিষয় খুব সুন্দর ভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে,সেটা হলো সব দলই প্রচুর রান তুলছে। ৪০০+ রান হয়ে যায়। বিষয়টা চিন্তা করলে বুঝা যায় খেলোয়াররা কতটা হাত খুলে খেলছে। এখন পর্যন্ত স্বাগতিক দল ইন্ডিয়া অপরাজিত রয়েছে। আটটি ম্যাচের মধ্যে সব গুলো খেলাই তারা জয় পেয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা সমালোনা হচ্ছে। এবারের আসরের মত এত বাজে খেলা টিম বাংলাদেশ কখনো খেলে নাই। দর্শকরা মাঠে গিয়ে দুঃখ কষ্ট নিয়ে ফিরে আসে। এই আসরের মধ্যে সবার আগে বাদের লিষ্টে নাম আসে টিম বাংলাদেশের। যায়হোক আর মাত্র একটি খেলা আছে বাংলাদেশের। সেই খেলাটি শেষ করেই ইন্ডিয়া থেকে বিদায় নিবে সাকিব বাহিনী। গতকাল বাংলাদেশের অষ্টম খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় ইন্ডিয়ার রাজধানী নয়াদিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। স্থানীয় সময় দুপুর দুইটার সময় খেলাটি শুরু হয়। মেইন আম্পায়ার ছিলেন মারাইস ইরাসমাস, রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। আর তৃতীয় আম্পায়ার ছিলেন নিতিন মেনন ও ম্যাচ রেফারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন রিচি রিচার্ডসন।

Screen Short Form cricbuzz.com

বাংলাদেশ ক্যাপটেন প্রথমেই টস জিতে বলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। হয়তো তার এই সিদ্ধান্তটা খেলটা জয় পেতে অনেকটা কার্যকরি ভূমিকা পালন করেছে। কারন যেহেতো শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে সন্ধার পরে কোয়াশা পড়াটা স্বাভাবিক। তখন মাঠে কিছুটা কোয়াশা পড়লে সবসময় ফিল্ডে দাড়িয়ে বল ধরাটা কষ্টকর হয়ে দাড়ায়। যায়হোক শ্রীলঙ্কার পক্ষে অপেনিং করে পথুম নিসাঙ্কা ও কুসল পেরেরা । ব্যাটিং করতে নেমে কুসল পেরেরা তেমন ভালো করতে পারেনি। দলীয় পাঁচ আর ব্যাক্তিগত চার রান করে সে আউট হয়ে যায়। অপর পাশে দাড়িয়ে থাকা পথুম নিসাঙ্কা ৪১ রান করে। গতকাল শ্রীলঙ্কার পক্ষে আসালঙ্কা ১০৮ বলে খেলে ১০৫ রান তুলে। সে বিশাল বড় একটি ইনিংস খেলে। যার ফলে সর্বশেষ তাদের দলীয় রান ২৭৯ এর ঘর পর্যন্ত পৌছে। গত কালকের খেলায় একটি ইতিহাস হয়।। আর সেটা হলো অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউটের শিকার হয়। আর তার নায়ক হলো বাংলাদেশ ক্যাপটেন সাকিব আল হাসান। সেই আউট নিয়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সহ সারা বিশ্ব আলোচনার সৃষ্টি হয়।

Screen Short Form cricbuzz.com

দ্বিতীয় ধাপে ২৮০ রানের টার্গেট নিয়ে প্রথমেই মাঠে নামে তানজিদ হাসান ও লিটন দাশ। তবে দুঃখের বিষয় হলো এই ম্যাচেও তরুন খেলোয়ার তানজিদ নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়। দলীয় ১৭ ও ব্যক্তিগত ৯ রানে সাজ ঘরে ফেরে এই অপেনার। তার পরে দলের হাল ধরে সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসাইন শান্ত। সে সাহসের সাথে ব্যাটিং চালিয়ে যেতে থাকে। অপর পাশে থাকা লিটন দাশও বেশিক্ষন থাকতে পারেনি। নিজের নামের পাশে ২৩ রান যোগ করে চলে যায়। তারপরে আসে ক্যাপটেন সাকিব। তারা দুইজন খুব সুন্দর একটি ইনিংস উপহার দেয়। যার ফলে বাংলাদেশ দল জয়ের বন্দরে পৌছতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। শান্ত ১০১ বল খেলে ৯০ আর ৬৫ বলে ৮২ রানের বড় একটি পার্টনারশীপ গড়ে তুলে তারা। অবশেষে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিবের হাত ধরে জয়ের বন্ধরে পৌছে যায় টাইগার বাহিনী। এই খেলায় সাকিব আল হাসার প্লেয়ার অফদা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।

Screen Short Form cricbuzz.com

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলাটি জয় লাভ করার ফলে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থাকা বাংলাদেশ কিছুটা উপরে চলে আসে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের নিচে রয়েছে ইংলেন্ড,নেদারলেন্ড ও শ্রীলঙ্কা। আর মাত্র একটি খেলা বাকি আছে বাংলাদেশ দলের। সেই খেলাটি শেষ করেই বাড়ির পথে রওয়ানা হবে সাকিব বাহিনী। দেশে আসার পরে তাদের উপরে পচাঁ ডিম মারতে পারলে খুশি হতাম। ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।