আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের প্রথম পর্ব।।

কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি টপিকের পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি গত মাসের ২১ শে ফেব্রুয়ারির দিন ঢাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী একটি জায়গা আহসান মঞ্জিল ঘুরতে গিয়েছিলাম। আজ থেকে পর্ব আকারে আমি সেই আহসান মঞ্জিল ভ্রমন করার অভিজ্ঞতা ও ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আহসান মঞ্জিলের পরিচিতি:-

আহসান মঞ্জিল পুরান ঢাকার ইসলামপুরের কুমারটুলী এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি পূর্বে ছিল ঢাকার নবাবদের আবাসিক প্রাসাদ ও জমিদারীর সদর কাচারি অফিস। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব আবদুল গনি। তিনি তার পুত্র খাজা আহসানুল্লাহ এর নামানুসারে এর নামকরণ করেন। ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে সমাপ্ত হয়। ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে এখানে এক অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়। আহসান মঞ্জিল কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ সংস্কার করা হয়েছে অতি সম্প্রতি। এখন এটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক পরিচালিত একটি জাদুঘর।

ঢাকায় আসা হয়েছে অনেক বছর হয়ে গেছে কিন্তুু আহসান মঞ্জিল যাবো যাবো করে যাওয়া হয়নি। তাই ঐদিন ছুটি পেয়ে চলে গেলাম আহসান মঞ্জিল ঘুরতে। আমি যাওয়ার আগে সব তথ্য নিয়েই গিয়েছিলাম। আপনারদের সুবিধার্থে কিছু তথ্য দিয়ে দিতেছি। শনিবার থেকে বুধবার এই পাচঁ দিন সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৫.৩০ মিনিট পর্যন্ত আহসান মঞ্জিল দর্শনাথীদের জন্য খোলা থাকে। শুক্রবার বিকেল ৩.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৮.০০ টা পর্যন্ত আহসান মঞ্জিল পরির্দশন করা যায়। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন আহসান মঞ্জিল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে।

আমরা দুপুর ১ টার সময় বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। যাত্রাবাড়ি থেকে বাহাদুর্শাহ গাড়ি দিয়ে সোজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে নামলাম। সেখান থেকে রিকশা নিয়ে সোজা আহসান মঞ্জিলের গেইটে যাওয়ার জন্য রিকশায় উঠে বসলাম। তখন মনে হয় আড়াইটা বাজবে। রোদের পাওয়ার ছিল মারাত্বক। যার জন্য এক লিটার পানিও সাথে নিয়ে নিলাম।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-2.30pm

আহসান মঞ্জিল যাওয়ার পথে বাংলা বাজার আর সদঘাটে যাওয়ার মোড়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি দেখলাম। তাই মোবাইলটা বের করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-2.30pm

আহসান মঞ্জিলে প্রবেশ করার মেইন গেইটের হাতের ডান পাশে টিকেট কাউন্টার আছে। সেখানে টিকেট সংগ্রহ করার জন্য লম্বা লাইনে দাড়ালাম। সরকরি ছুটির দিন থাকায় আমার মত অরো অনেক মানুষ আহসান মঞ্জিলে প্রবেশের টিকেট সংগ্রহ করার জন্য লাইনে দাড়িয়েছে।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-3.00pm

অবশেষে অপেক্ষার অবসান হয়েছে। অনেক কষ্ট করে হাতে টিকেট পেয়েছি। টিকেটের মূল্য ২০ টাকা লেখা থাকলেও ৪০ টাকা করে রাখছে। বাংলাদেশের দুর্নীতির কথা বলার আর ইচ্ছা নাই।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-3.00pm

আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে প্রবেশ করার সময় মেইন গেইটের একটি ফটোগ্রাফি নিলাম। আহসান মঞ্জিলের মূল ভবন অনুযায়ী মেইন গেইটে কারুকার্য কম। আরেকটু ডিজাইন করার দরকার ছিল।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-3.00pm

আহসান মঞ্জিলের কিছু তথ্য এখানে সাইনবোর্ডে বাংলাতে এবং ইংরেজিতে দেওয়া আছে। আর সামনে যেই ছোট ভবনটি দেখা যায় এখানে দর্শনার্থীরা তাদের ব্যাগ বা প্রয়োজনীয় মাল পত্র গচ্ছিত রাখতে পারে। আমাদের সাথে যেহেতু তেমন কোট ব্যাগ ছিল না তাই সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। আহসান মঞ্জিলের ভিতরে কি কি দেখলাম সেটা আমি পরের পর্বে শেয়ার করবো। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। প্রতি পর্বে দশ বারোটা করে ফটো শেয়ার করবো। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা নতুন কোন বিষয়ের আপডেট নিয়ে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।