হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমাদের অফিসের বনভোজনের স্থান পরিবর্তন করে নতুন স্থান নির্ধারন নিয়ে একটি ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি স্থানটি আপনাদের সবার পছন্দ হবে, সেই সাথে অনেকেরই পরিচিত হবে।
ডিজিটাল প্রিন্টারের মাধ্যমে ব্যানার তৈরী করা হয়েছে।
মানুষের মন কখন পরিবর্তন হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। আর দশজন মানুষের মন কখনো এক হয় না। আমাদের সেকশনেও মোটামুটি অনেক মানুষ আছে। তো সবার মতামত এক জাগায় স্থীর থাকে না। বনভোজনের জন্য যে জায়গাই নির্ধারন করা হয়, দুই চার জন অনিহা প্রকাশ করে। তবে সবার মতামত নিয়ে তো কোন কাজ করা যাবে না। সবার মতামত নিতে গেলে কোন কাজ হবে না, কোথাও যাওয়াও হবে না। ঐদিন মিনিংয়ের মধ্যে ম্যানাজার স্যারের চিড়িয়াখানার কথা বলার পরে, তিনির কথার উপরে আর কেউ কথা বলে নাই। তবে পরের দিন আমাদের কিছু ছেলে পেলে সিনিয়র ভাইদের বললো চিড়িয়াখানার স্থানটা পরিবর্তন করে অন্য কোন জাগায় যেতে ম্যানাজার স্যারকে রিকুয়েষ্ট করতে। তখন সিনিয়র ভাইয়েরা বললো আগে জায়গা নির্ধারন করো তারপর স্যারকে বলা যাবে।
তারপর অধিকাংশ মানুষ মাওয়ার দিকে যেতে চাইলো। পদ্মা নদীতে যাবে,গোসল করবে, নৌকা করে ঘুরবে। তখন আবার পদ্মা পাড়ের বিভিন্ন রিসোর্ট দেখা শুরু করলাম। অনেক জাগায় ফোন করে জানলাম শুক্রবারে কোন রিসোর্ট খালি নেই। তবে পদ্মার কোন চরে যাওয়া যেতে পারে। সেখানে গেলে অপেন জায়গা পাওয়া যাবে, দৌড়াদৌড়ি করা যাবে,আনন্দ হবে । তারপর চিন্তা ভাবনা ও খোঁজাখুঁজির পরে মৈনট ঘাট নামক স্থানটি নির্ধারন করা হলো। মৈনট ঘাটের লোকেশন হলো, ঢাকা জেলার দোহারে,পদ্মা নদীর পাড়। নির্বাচনী এলাকে হিসাবে ধরলে ঢাকার এক নাম্বার আসনে পড়ে।
এখানে আমি ২০১৮ সালে একবার গিয়েছিলাম। জায়গাটি খুবই সুন্দর। বাসে চড়ে নদীর পাড়ে গিয়ে টলারে করে নদীর মাঝখানে চরে যেতে হয়। সেখানে পদ্মা নদীর মাঝখানে বিশাল বড় বড় অনেক চর রয়েছে। যে কোন একটিতে গেলেই হবে। পদ্মার পানি খুবই পরিষ্কার। স্রোত আর ঢেউ কম থাকে। জায়গাটা আমারা ছেলেরা পছন্দ করলাম। তবে এখানে আমার ভূমিকায় বেশি ছিল। তারপর আমি আর দুইজন বড় ভাই মিলে ম্যানাজার স্যারের কাছে জায়গা পরিবর্তের প্রস্তাব দিলাম। তিনি বললেন তোমরা যদি ম্যানেজ করতে পারো,তাহলে যাও। স্যার থেকে সম্মতি পেয়ে আমরা অনেক খুশি হলাম।
শুরু হলো বনভোজনের আয়োজন। বিআরটিসির দুইটি গাড়ি ভাড়া করা হলো। গত কাল রাতে সকালের নাস্তার অর্ডার দেওয়া হলো। সকালের নাস্তায় কি খাবো সেটা নিয়ে কত অভিমত। কেউ ডিম বা চিকেন খিচুড়ি খাবে,কেউ শুকনো খাবার খাবে। নানা জনের নানা মত। অবশেষে সকালের নাস্তার মেনু ঠিক করা হলো, অলটাইম কেক,ডিম,কলা,পানি। যেহেতো গাড়িতে বসে খাবে তাই শুকনো খাবারই দেওয়া হবে। তবে এই মেনুটা অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেছে। মৈনট ঘাটের একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবারে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
উপরের ব্যানারটি গত কাল অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছে। সকাল বেলা অফিসের গেইটে লাগিয়ে দিয়েছি। শুক্রবার সকাল সাতটার সময় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গাড়ি ছেড়ে যাবে। আমাদের সাথে অফিস স্টাফ ছাড়া বাহিরের কেউ যেতে পারবে না। তবে অফিস স্টাফের পরিবারের যে কোন সদস্য যেতে পারবে। বিশেষ আকর্ষন হিসাবে সবাইকে লটারির আওতায় আনা হয়েছে। সবাই লটারির মাধ্যমে কিছু গিফট পাবে। আশা করি আমাদের বনভোজনটা অনেক আনন্দের হবে। বনভোজন নিয়ে একটু ব্যস্ত সময় পার করছি,কারন সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমি ও আমার একজন কলিগের উপর দেওয়া হয়েছে। পরে আবার আপডেট জানাবো।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit