আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব।।

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো @amrbanglablog পরিবার
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।

01.jpg

হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,

কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করবো। আজকে জাদুঘরের ভিতরে কি কি দেখলাম সে গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি।

আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে মোটামুটি অনেক কিছু দেখেছি। তখনকার আমলের নবাবদের ব্যবহৃত অনেক জিনিষ পত্র রয়েছে জাদুঘরে। তাদের সৈন্যদের ব্যবহৃত জিনিষ পত্র, পোষাক,যুদ্ধের সরঞ্জাম গুলো খুব সুন্দর ভাবেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আহসান মঞ্জিলের সব থেকে সুন্দর হলো ভবনটা। ভবনটা দেখার মত। ভবনের ডিজাইন,কারুকার্য খুবই সুন্দর। আর একটি বিষয় হলো পিংক কালার আমার খুব প্রিয়।

সব দর্শনার্থীদেরই আহসান মঞ্জিলের পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে সমস্ত জাদুঘর ঘুরে তারপর সামনের দরজা দিয়ে বের হতে হয়। ভিতরে অনেক সিকিউরিটি রয়েছে, সি সি ক্যামেরা রয়েছে। একটা জিনিষ একবার দেখে চলে গেলে দ্বিতীয় বার আর আসা যায় না। আর ফটো তুলাও নিষেধ। তারপরও আমি সিকিউরিটিদের চোখ ফাকিঁ দিয়ে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছি। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।

02.jpg

03.jpg

05.jpg

এই তিনটা ফটোগ্রাফি মূল ভবনের তিন পাশের দৃশ্য। এরিয়াটা অনেক বড়। উত্তর দক্ষিণ আর পূর্ব তিন পাশের দৃশ্য। আমরা এখন পূর্ব পাশের পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবো।

04.jpg

06.jpg

07.jpg

এখানে প্রথম দুইটা ফটোগ্রাফি হলো আহসান মঞ্জিলের মূল ভবনের চিত্র। প্রথম ভবনটা তৈরী করে ফটোগ্রাফি করে দেয়ালে লাগিয়েছিলো। আর দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন মূল ভবনের নকশাটা। এই নকশাটা পিতল দিয়ে করা হয়েছে। অনেক বছরের পুরনো। আর তৃতীয় ফটোগ্রাফিটা হলো সীমানা পিলার। আহসান মঞ্জিলের চতুর পাশে এই পিলার গুলো দিয়ে সীমানা নির্ধারন করা হয়েছে।

13.jpg

14.jpg

তখনকার আমলে সৈন্যদের লোহার তৈরী পোষাক। এগুলো পড়ে সৈন্যরা যুদ্ধ করতো। সমস্ত বডি লোহার পোষাক দিয়ে ডেকে তারপর যুদ্ধে অংশগ্রহন করতো। যেন তীর,তলোয়ারের আঘাত তাদের শরীরে না লাগে।

11.jpg

12.jpg

এখানে দেওয়া আছে সৈন্যদের লোহার অর্ধ পোষাক। এগুলো পড়েও সৈন্যরা যুদ্ধ করতো। কত বছরের পুরনো এখন অক্ষত অবস্থায় আছে। জাদুঘরে গেলে অনেক অজানা জিনিষ দেখা যায়। অনেক অজানা ইতিহাস জানা যায়।

08.jpg

09.jpg

10.jpg

এগুলোর হলো লোহার তৈরী তলোয়ার,বল্লম,ঢাল। এই তলোয়ার,বল্লম,ঢাল গুলোও যুদ্ধের সময় এবং নবাবদের নিরাপত্তার সময় ব্যবহৃত হতো। সব কিছু সুন্দর ভাবেই জাদুঘরে সংরক্ষন করা হয়েছে।

15.jpg

16.jpg

01.jpg

এখানে প্রথমটি লোহার ঢাল, দ্বিতীয়টি মহিষের মাথা এবং শিং। আর সর্বশেষটি হলো নবাবদের পালিত হাতির মাথা ও শিং। এগুলো যুগ যুগ ধরে এখানে সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এগুলো দেখবে। ইতিহাস জানবে পড়বে।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। আহসান মঞ্জিলের ভিতরে যা কিছু দেখলাম আজকে সেগুলোর অল্প কিছু শেয়ার করলাম কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা নতুন কোন বিষয়ের আপডেট নিয়ে।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলরেডমি নোট-৮
জাদুঘরের নামআহসান মঞ্জিল জাদুঘর
স্থানআহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা ।
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@joniprins
তারিখ২১-০২-২০২৩

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFaFYLUUkHV6dSwLV7zz7zNE5rVJ5qtN3Zm6SdmcqGFekXXVnJVmd6y7N12FUdQdbdzipDFEFaWmdmFe1K9CCqMuRmX9o7cDLXe7oZxUwNZXbSxanRUefX7PYzUbi2zovtPsG5QcGuGgiyhkJur9LnLhaBtL31haW2181Ss.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আহসান মঞ্জিল জাদুঘর এ কখনো যাওয়া হয়নি। তবে আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখে মনে হচ্ছে একটি ভীষণ সুন্দর। অনেক পুরনো ঐতিহ্যবাহী জিনিস রয়েছে। নিশ্চয় আপনি সেখানে খুব ভালো সময় উপভোগ করেছেন। পুরনো এসব জিনিস ঘুরে ঘুরে দেখতে খুবই ভালো লাগে। মহিষের মাথা এবং শিং দেখতে বেশ ভয় ভয় লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জী আপু জায়গাটা অনেক সুন্দর। ঘুরে দেখলে অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ আপু।

ফটোগ্রাফি করা নিষেধ হওয়া সত্ত্বেও আপনি সিকিউরিটির চোখে ফাঁকি দিয়ে এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে ফটোগ্রাফি করতে গেলে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আহসান মঞ্জিলের জাদুঘরের প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন ছিল ভাইয়া। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে।

জী আপু সিকিউরিটি ডাক দিতে দিতে আমার পিক তুলা শেষ হয়ে যায়,হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।

এভাবে ভ্রমণ করতে কার কাছেই না ভালো লাগবে। আর যদি হয় জাদুঘরে তাহলে তো কোন কথাই নেই। আপনি দেখছি আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। প্রাচীন যুগের অনেক কিছুই রয়েছে জাদুঘরে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে জাদুঘরের ভেতরের অংশে যে জিনিসগুলো ছিল সেগুলোর ফটোগ্রাফি করেছেন। ভীষণ ভালো লাগলো সম্পূর্ণ টা দেখে।

জী ভাইয়া প্রাচীন যুগের অনেক কিছুই রয়েছে জাদুঘরে। দেখলে অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।