হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,
আশা করি সবাই পরিবারকে সাথে নিয়ে ভালো আছেন। সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আর আমরাও সব সময় আপনাদের সুস্বাস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি জায়গার পরিচয় করিয়ে দিবো।
৩০৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ঢাকা শহরে ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী ৪ কোটি ৫৬ লাখ মানুষ বসবাস করছে। বর্তমানে পাচঁ কোটির উপরে জনসংখ্যা হবে। জনসংখ্যার বিচারে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর। জন সংখ্যার ঘনত্বের বিচারে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এই শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৩ হাজার মানুষ বসবাস করে।
ছোট এই শহরে এত মানুষের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন। বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকা শহরে খোলা জায়গা বা পার্ক খুবই কম। তারপরও যতটুকু আছে সে গুলো আবার ঠিক ভাবে রক্ষনাবেক্ষন হয় না। কোন পার্কের উন্নয়নের জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা বাজেট হলে সেখানে দেখা যায় দশ লাখ টাকারও কাজ হয় না। এত দূর্নীতি হয় ছোট্ট এই বাংলাদেশে। ঢাকা শহরের পার্ক গুলোর মধ্যে খুবই বিখ্যাত একটি পার্ক হলো রমনা পার্ক। ৬৮.৫ একর জমিতে ঘরে উঠা পার্কটির অবস্থান ঢাকা ভার্সিটির এলাকায় । ঢাকার অন্যান্য পার্ক থেকে এই পার্কটি খুবই সুন্দর এবং পরিষ্কার। পার্কের চার পাশে বাউন্ডারী দিয়ে প্রতি গেইটে সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে। পার্কের ভিতরে খুবই সুন্দর একটি লেক রয়েছে। অনেক সুন্দর রাস্তা ঘাট। পার্কের ভিতরে অসংখ্য ছোট বড় গাছ রয়েছে।
আপনারা সবাই জানেন যে রমনার বটমূল খুবই বিখ্যাত একটি জায়গা। তবে সময়ের অভাবে আমি বটমূলে যেতে পারি নাই। পহেলা বৈশাখ সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় বটমূলের ছায়ানটে। লেকের পার দিয়ে পার্কটিতে ঘুরলে খুবই ভাল লাগে। পার্কটি সবার জন্য সারা বছর উন্মুক্ত। সকাল নয়টার সময় শুরু হয়ে দুপুর একটার সময় বন্ধ হয়। আবার তিনটা থেকে সন্ধা ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকে। হঠাৎ করে গত মাসের ২১ তারিখ রমনা পার্কে আমার যাওয়া হয়। পার্কের পরিবেশ দেখে আমি মুগ্ধ। সেখান থেকে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। এখন সেই ফটোগ্রাফি গুলোই শেয়ার করতে যাচ্ছি।
পার্কের ভিতরে রয়েছে অনেক জায়গা ও রাস্তা। আর রাস্তা গুলোও খুবই পরিষ্কার। ফুল এবং ফলের গাছ সহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে পার্কটিতে। কিছু গাছ রয়েছে ছোট ছোট আর কিছু গাছ অনেক বড়। বড় বড় গাছ গুলো নব্বই দশকের। গাছ থাকার কারনে পার্কটি সব সময় ঠান্ডা থাকে।
লেকের পাশ দিয়ে হাটার জন্য খুবই সুন্দর ভাবে ব্রিজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্রিজ গুলোতে দাড়িয়ে লেকের সুন্দর্য উপভোগ করতে খুবই ভাল লাগে। লেকের পানিও খুবই পরিষ্কার এবং সবসময় বাতাস থাকে। পার্কের ভিতরে খোলা জাগায় কোন খাবারের ব্যবস্থা না থাকলেও প্রিয় মানুষকে গিফট দেওয়ার জন্য ফুলের মালার ব্যবস্থা রয়েছে।
লেকের পাশের ব্রিজ গুলোতে সাধারনত সবাই ফটোশুট নিয়ে ব্যস্ত থাকে। হাজবেন্ড ওয়াইফ,বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড, ফেমিলি বা পরিবার নিয়ে যখন খুশি তখনই চলে আসতে পারেন রমনা পার্কে। সকালের দিকে মানুষ একটু কম থাকে বিকালের দিকে বেশি থাকে। সিকুউরিটি সহ নিরাপ্তাকর্মী ও রয়েছে।
সেখানে খালি জাগায় সবুজ ঘাসের উপর বসার অনূভুতি পাবেন। তাছাড়া রোদ বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাবার জন্য কিছু জায়গা রয়েছে। সর্বপরি পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই সুন্দর। পরিবেশ দেখে আমার আবার যেতে ইচ্ছা করছে। আমি কিছুদিন পরে আবার যাবো।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। ঐদিনিটা আমার জন্য খুব ভাল গেছে। একদিনে অনেক জাগায় ঘুরেছিলাম। ধীরে ধীরে সব গুলো জায়গার ফটো এবং বর্ণনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো,ইনশাআল্লাহ। বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থা থাকবেন। আমার নিজের জন্য আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থী।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-10 |
শিরোনাম | রমনা পার্কে একদিন।। |
স্থান | রমনা,ঢাকা। |
তারিখ | ২১-০৭-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে আমি তো মনে করেছিলাম আপনি রমনা পার্কে প্রতিদিনই যান। কারন একসময়ে এটা তে ছিল প্রেমনগরী। অনেক দিন যাওয়া হয় না। তাই এখন কার কথা জানিনা। তবে আপনার পোস্ট পড়ে আর ফটোগ্রাফি দেখে তো মনে হচ্ছে আগের সেই রমনা পার্ক আর সেই। খুব সুন্দর করে রমনা পার্কে গুছিয়ে সাজানো হয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। বাসার কাছে যেহেতু তাই ভাবছি একদিন নয় মাঝে মাঝেই যাবো এই জায়গাটিতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
না আপু প্রতিদিন যায় না। এটা এখনো প্রেম নগরী । ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকা শহরে খোলামেলা জায়গা অনেকটা কম। আর যেই খোলামেলা জায়গাগুলো রয়েছে সেগুলো আয়তনে খুব একটা বড় নয়। সেই সুন্দর জায়গা গুলোতেই সবাই ঘুরতে যেতে পছন্দ করে। ভাইয়া আপনিও ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু মানুষের তুলনায় খালি জায়গা অনেক কম। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি যখন ঢাকায় ছিলাম তখন আমিও রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। পার্টি আসলেই অনেক সুন্দর। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রমনা পার্কে আপনার অতিবাহিত সময় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া জায়গাটা খুবই সুন্দর। আবার যাবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit