জিহ্বে জল চলে আসার মত কিছু আচারের ফটোগ্রাফি।।

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে জিহ্বে জল চলে আসার মত কিছু আচারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। দেখি কে নিজের জিহ্বের জল আটকিয়ে রাখতে পারেন।

আপনারা সবাই অনুভব করতেছেন, আমাদের দেশে কিন্তুু শীত শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের দিকে আরো বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শীত শুরু হয়েছে। শহরের দিকে এখনো শীত ভালোভাবে পড়েনি। তবে শীতের আবাস পাওয়া যাচ্ছে। যদিও ঘুমানোর সময় ফ্যান ছেড়ে ঘুমাতে হয়,আবার শরীরে কম্বলও দিতে হয়। চিন্তা করেন বিষয়টা, ফ্যান না ছাড়লে গরম লাগে আর ফ্যান ছাড়লে শীত লাগে। তাই ফ্যান ছেড়ে গায়ে কম্বল দিয়ে ঘুমায়,আর তখন নবাব সিরাজ উদ দৌলার বংশধর অনুভব হয়,হে হে হে। যায়হোক যেটা বলতে ছিলাম। আমাদের দেশ মুসলিম দেশ। আমাদের দেশে সারা বছরই বড় বড় আলেমরা বিভিন্ন জাগায় ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে দ্বীন-ইসলামের বয়ান করে থাকেন। তবে শীতের মৌসুম আসলে ওয়াজ মাহফিল কিছুটা বেড়ে যায়।

গত শুরুবারে আমাদের এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত একটি মাহফিল হয়েছে। সেখানে কুমিল্লা,চট্রগ্রাম থেকে বড় বড় ওলামায়ে কেরামগন বয়ান পেশ করতে এসেছিলেন। আমাদের বাসা থেকে মাহফিলে হেটে যেতে দুই মিনিট সময় লাগে। বাসা থেকেও ওয়াজ শুনা যায়। তারপরও বউ সন্ধার পরে বললো বাহিরে যাবে। মাহফিলে কি কি জিনিষ উঠেছে দেখতে যাবে। পছন্দ হলে কিনবে। অনিচ্ছা সত্বেও নিয়ে গেলাম। কারন না নিয়ে গেলে বাসার মধ্যে আবার কোন হরতাল-অবরোধ শুরু করে দেয় কি না,হে হে হে। মাহফিলের বিভিন্ন খাবারের দোকান ঘুরে কোন খাবার পছন্দ হলো না। তারপর রেস্টুরেন্টে গিয়ে হালিম-আর নান রুটি খেলাম। আসার সময় হঠাৎ আচার চোখে পড়লো। রাস্তার পাশের খোলা আচার দেখতে সুন্দর তবে ভেজাল আছে। কারন রাস্তা দিয়ে মানুষ, গাড়ি আসা যাওয়া করছে,ধোলাবালি তো পড়ছেই। তাছাড়া নিজের হাতের আচার ছাড়া আমি খায় না। কারন মনের মাঝে শঙ্কা বাঁধে,ভেজাল আছে কি না,হে হে হে।

এই আচারটা দেখে অনেকেই চিনতে পারবেনা। আমি নিজেও চিনতে পারি নাই। এটার নাম হলো কদবেলের আচার। কদবেলেও নাকি আচার হয়। আচার বিক্রেতারা এমন ভাবে আচার গুলো সাজায় দেখেই জিহ্বে জল চলে আসে। আমার মন চাইলে বাজার থেকে কদবেল কিনে নিয়ে নিজে আচার বানিয়ে খায়। তারপরও এসব আচার খায় না। রাস্তায় আচার দেখলে নিজেকে বলি কন্ট্রোল....।

এখানে উপরে যে আচারটা দেখছেন এটা হলো সবার পরিচিত আচার। নাম হলো জলপাইয়ের আচার। সাধারনত সবার ঘরের মহিলারা এই আচারটা বানিয়ে থাকে। এই মৌসুমের প্রথম যখন জলপায় বাজারে আসে তখনই ৮০ টাকা কেজি ধরে এক কেজি নিয়ে আচার খাওয়া হয়েছে। তাই এটা প্রতি তেমন ইন্টারেষ্ট নেই। কমন আচার।

আর এখানে যেটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো বরিশালের আমড়ার আচার। আমড়ার মৌসুমে বাজার থেকে কিনে নিয়ে কত আমাড়ার খেয়েছি। তবে কোন সময় আমড়ার আচার খেতে সাহস হয়নি। কারন বাসায় আমড়া কিনে নিলে কাঁচাই সব খাওযা হয়ে যায়। আচার বানিয়ে খাওয়ার মত ধৈয আমার নেই,হে হে হে। কাঁচা খেলে যা হবে আচার বানিয়ে খেলে তাই হবে। বরং আচার বানাতে গেলে অনেক জামেলা।

আমি যদি মার্কেট বা বাজার থেকে কোন আচার কিনে খায় সেটা হলো এই বরই আচার। আমি জানি এই বড়ই গুলো সব গুলো ভালো না। দশটা বরইয়ের মাঝে পাঁচটা বরইয়ে পোকা থাকে। বরই শুকিয়ে ঠিক ভাবে সংরক্ষন করে না। তবে সেটা যখন সিদ্ধ করে তেল এবং মিষ্টি সিরায় ছেড়ে দেয়, তখন পোকাও মিষ্টি হয়ে যায়। এই বরইয়ের সাথে মানুষ কত পোকা যে খেয়েছে তার কোন হিসাব নেই। তারপরও লোভকে সামলাতে না পেরে খেতে হয়। আমি নিজেও বরইয়ের সাথে কত পোকা খেয়েছি,হি হি হি।

এখানে যে আচারটা দেখছেন সেটা খুবই ভালো একটি জিনিষ। আর সেটা হলো আমলকির আচার। আমলকি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এটা খাওয়া যেতে পারে। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশ থেকে কাচাঁ আমলকি কিনে খায়। তবে রাস্তার পাশ থেকে আমলকির আচার কিনে খাওয়ার সাহস হয় না। ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন কত আকর্ষনীয় লাগছে।

সর্বশেষ বউকে আমলকির আচার কিনে দিলাম। আর আসার সময় এই মিষ্টি কিনে আনলাম। বাহিরে বের হলেই শুধু খরচ আর খরচ। তবে যেমন খরচ হয় তেমন তো ইনকাম হয় না। যেটাই কিনতে যায় দাম শুনলে আকাশ থেকে পড়তে মন চাই। দেশের মধ্যে কি যে এক অবস্থা চলতেছে। বলে বুঝনো সম্ভব না। ভালো ভাবে বাঁচতেও পারছি না আবার মরতেও পারছি না।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিবো। আবার দেখা হবে অন্য কিছু নিয়ে। ততক্ষন সবাই পরিবারের সাথে,আপনজনের সাথে ভালো থাকেন,সুস্থ থাকেন। আল্লাহ হাফেজ।।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।