হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন,আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি অনুভূতি মূলক ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি পড়লে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমরা সবাই জানি যে ঘড়ি,সানগ্লাস,আংটি এগুলো মানুষের আলাদা সুন্দর্য বৃদ্ধি করে। কোথাও গেলে ঘড়ি, সানগ্লাস, আংটি এগুলো ছাড়াও কিন্তুু যাওয়া যায়। এগুলো যে খুব বেশি দরকারি জিনিষ তা কিন্তুু না। তবে যারা সব কিছু টাইম মেইনটিন করে চলে তাদের ঘড়ি খুবই জরুরী। যদিও বর্তমানে সবার হাতে মোবাইল রয়েছে,আর মোবাইলে টাইম বা সময় অটো সেটিং করা থাকে। সে ক্ষেত্রে ঘড়ি না হলেও চলে। তারপরও হাতের সুন্দর্যের জন্য মানুষ ঘড়ি ব্যবহার করে থাকে।
আর সানগ্লাস কারো কাছে ফ্যাশন আবার কারো কাছে জরুরী। যেমন যারা বাইক চালায় অথবা বাইকে ভ্রমন করে তাদের জন্য সানগ্লাস খুবই জরুরী। যারা বাইক চালায় বা বাইকে চড়ে তারা সানগ্লাসের গুরুত্ব সঠিক ভাবে অনুধাবন করতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশের রাস্তার যা অবস্থা শুধু ধুলাবালি উড়ে। আর সেটা যদি ঢাকা শহরের রাস্তা হয় সেটা তো সবাই ভালো করেই অনুমান করতে পারেন। কি পরিমান ধুলাবালি বাস্তার মধ্যে উড়ে। প্রতিবছর বিভিন্ন রিপোর্টে বিষাক্ত আবহাওয়ার মধ্যে ঢাকা শহর এক বা দুই নাম্বারে থাকে। কারন ঢাকা শহরের রাস্তায় প্রচুর ধুলাবালি, এগুলো বাতাসের সাথে মিশে আবহাওয়া বিষাক্ত করে ফেলে। ঢাকায় যারা বসবাস করে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
আমার একটি শারীরিক সমস্যা রয়েছে,আর সেটা হলো ডাষ্ট এলার্জি। আমার দেখা মতে বাংলাদেশের ৮০% মানুষের এই রোগটি রয়েছে। সে জন্য আমি সবসময় মুখে মাক্স ব্যবহার করি। আর কোথাও গেলে চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করি। সানগ্লাসটা মূলত দুই কারনে ব্যবহার করা হয়। একটি হলো রোদ থেকে বাঁচা,আর দ্বিতীয়টি হলো চোখ কে ধুলাবালি থেকে মুক্ত রাখা। কারন আমি যখনই গাড়িতে জার্নি করে বাসায় ফিরি তখন পরের দিন চোখে ধুলাবলি আটকে চোখ লাল হয়ে যায়। অনেকবার পানির জাপটা দিয়ে চোখের লাল অংশ গুলো স্বাভাবিক করতে হয়। সানগ্লাস যে চোখকে শত ভাগ ধুলাবালি থেকে রক্ষা করে তা নয়। মোটামুটি ধরনের একটি পটেকশন পাওয়া যায়। আর ফ্যাশনটা হলো বোনাস।
আমি ২০১২ সালে মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই সানগ্লাস ব্যবহার করি। আমার চোখে কোন সমস্যা নেই। তাই সাদা বা নরমাল পাওয়ারের সানগ্লাস, যে গুলো সাধারনত সবাই সময় ব্যবহার করে থাকে, সে গুলো আমি ব্যবহার করতে পারি না। সে গুলো পড়লে আমার চোখ ব্যথা করে। তাই আমি বাধ্য হয়ে ফ্যাশনাবল সানগ্লাসই ব্যবহার করে থাকি। তাই দশ বারো বছর জীবনে অনেকবার সানগ্লাস কিনেছি। আমার সানগ্লাস গুলোতে কোন পাওয়ার না থাকার কারনে বন্ধ বান্ধব বা আত্নীয়স্বজন কারো পছন্দ হলে তারা নিয়ে যায়। আর কেউ যদি একটি সানগ্লাস পছন্দ করে আবদার করে,তখন তো আর না করা যায় না। অনেক সময় মেয়ে ফ্রেন্ডরাও আমার সানগ্লাস নিয়ে গেছে। একটি সানগ্লাস আর কয় টাকা। তাই কারো পছন্দ হলে মানা করি না।
সর্বশেষ সানগ্লাস কিনেছিলাম ঢাকার গুলিস্তানের একটি মাকের্ট থেকে। সানগ্লাস কিন্তুু বাহিরেও বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। দেখতে এক রকম হলেও একটি জায়গায় ভিন্নতা আছে। অনেকেই সেটা না বুঝে ভুল করে। অরিজিনাল সানগ্লাস গুলো থাকে কাঁচের,আর দুই নাম্বার গুলো হলো চাঁচের। দুইটির মধ্যে মূল্যের একটু পার্থক্য আছে। আমি প্রথম থেকেই সেই অরিজিনাল কাচেঁর সানগ্লাসটা ব্যবহার করে আসতেছি। কিছুদিন আগে সিএনজি দিয়ে এক জাগায় যাওয়ার সময় ভুলে সিটের উপর সানগ্লাস রেখেছিলাম। একজন এসে সেই সানগ্লাসের উপর বসে গেছে। ৬০/৭০ কেজি উজনের একজন মানুষ যদি একটা নরমাল সানগ্লাসের উপর বসে তাহলে সেটার কি অবস্থা হবে, একবার চিন্তা করেন। তাই নতুন সানগ্লাস কেনার প্রয়োজন হলো।
কিছুদিন আগে সেই সানগ্লাস কিনতেই গেলাম নারায়নগঞ্জ শহরের সমবায় মাকের্টের নিচ তলায়। সেখান থেকে এর আগেও আমি একটি সানগ্লাস কিনেছিলাম। তাই সে দোকানে আবার গেলাম। নরমাল ভাবে বললে তারা চাঁচের সানগ্লাস ধরিয়ে দিবে। তাই তাদের কাছে অরিজিনাল কাঁচের সানগ্লাস চাইতে হয়। তারপর দেখে শুনে একটি সানগ্লাস পছন্দ করে নিয়ে আসলাম। ১০/১২ বছর ধরে একই মডেলের সানগ্লাস ব্যবহার করছি, সাইজে কিছুটা পরিবর্তন হলেও ডিজাইনের দিক দিয়ে কোন পরিবর্তন নাই। নতুন কোন ডিজাইন পছন্দ না হলে এই ডিজাইনের সানগ্লাসই চলতে থাকবে।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াতে চাচ্ছি না। এখানেই ইতি টানতে চাইছি। আশা করি ব্লগটি পড়লে অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে পারবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | হঠাৎ সানগ্লাস কিনতে যাওয়া।। |
স্থান | সমবায় মার্কেট, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা। |
তারিখ | ০৫ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্লগটি পড়তে ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনি এতো সুন্দর ভাবে আপনার একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু,আপনিও দারুন কমেন্ট করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার মনে হয় বেশিরভাগ মানুষের সানগ্লাস ব্যবহার করে ভাব নেয়ার জন্য। সেক্ষেত্রে আপনি একটু আলাদা। আপনি নিজের সেফটির জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া,আগে নিজের সেফটির প্রয়োজন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit