হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি অনুভূতিমূলক ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি মনযোগ সহকারে সবাই পড়বেন।
আমার এক কাজিন ঢাকার উত্তরা থাকে। সে একটি সেলুনে কারীগর হিসাবে কাজ করতো। সেখান থেকে সে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ইনকাম করে। গত কয়েকদিন যাবৎ সে আমাকে ফোন করে বলতেছে একটি জরুরী কাজ আছে উত্তরা যেতে। জরুরী কাজটা কি জানতে চাইলে সে বলে, সে একটি নতুন দোকান ভাড়া নিবে, সেটা দেখার জন্য। দোকানের ভাড়া প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা হলেও সিকিউরিটি হিসাবে এডভান্স দিতে হবে পাঁচ লাখ টাকা। দোকানে এসি বাদ ছাড়াই আড়াই লাখ টাকার কাজ করেছে। অর্থাৎ দোকানটা নিতে তার সাড়ে সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিস্তিতে নতুন এসিও লাগিয়েছে, ভিআইপি এলাকায় ভিআইপি সেলুন। তাই আমি গতকাল ছয়টার পরে অফিস থেকে বের হয়ে উত্তরার উদ্যেশ্যে রওয়ানা হয়।
সাইনবোর্ড থেকে দুইটি গাড়িতে গাজীপুর,টঙ্গী,উত্তরা যাওয়া যায়। একটি হলো অনাবিল গাড়ি,আরেকটি হলো ইকবাল বাড়ি। অনাবিল লোকাল গাড়ি,উত্তরা যেতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে। যেখানে যাত্রী পায় সেখান থেকেই গাড়িতে যাত্রী তুলে। বাস স্টোপ ছাড়াও যে যেখানে হাত তুলে সেখানেই দাড়ায়। তাই অনাবিলে গেলে রাত দশটার আগে উত্তরা যাওয়া সম্ভব হবে না। তবে ইকবাল এসি গাড়ি, বাস স্টোপ ছাড়া অন্য কোথাও দাড়ায় না। তাই আমি ইকবাল গাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো সাইনবোর্ড গিয়ে জানতে পারি ইকবাল গাড়ি সাময়িক ভাবে তাদের সার্ভিস বন্ধ রেখেছে। সুতরাং বাসে যেতে হলে অনবালি গাড়ি ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
অবশেষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলাম। লাব্বাইক গাড়ি দিয়ে কমলাপুর গেলাম। সেখান থেকে খুলনাগামি চিত্রা ট্রেনে চড়ে বিমানবন্দর গেলাম। যার ফলে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটে আমি বিমানবন্দর পৌছে গেলাম। তবে ট্রেনের ভিতরে একটি জামেলা হয়েছিল। কমলাপুর থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য চিত্রা ট্রেনের কোন টিকেট দেয় না। যার ফলে আমি তিতাস ট্রেনের টিকেট নিয়ে চিত্রা ট্রেনে উঠে গেলাম। কিন্তুু ট্রেনের ভিতরে টিকেট মাস্টার এসে টিকেট চেক করে বলে আপনি যে টিকেট নিয়ে এসেছেন,সেটা তো এই ট্রেনের টিকেট না। একশত টাকা জরিমানা দেন। বিশ টাকার জন্য একশত টাকা জরিমানা চায়। আমি বলি কমলাপুর থেকে বিমানবন্দরের ভাড়া তো বিশ টাকা আপনি বিশ টাকা নেন। বিশ টাকা দেওয়ার পরে কিছু বলে নাই। বিশটাকা নিয়ে চলে গেছে।
বিমানবন্দর নেমে গেটে দিয়ে বের হওয়ার পথে আবার আটকিয়ে দিলো। তারা বলে এটা তো তিতাস ট্রেনের টিকেট কিন্তুু আপনি এসেছেন চিত্রা ট্রেন দিয়ে। আমি বলেছি টিকেট মাস্টারকে টাকা দিয়ে এসেছি। তারপর আর কিছু না বলে তারা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমি সেখান থেকে অভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হয়ে রাইদা গাড়িতে উঠলাম। ঢাকা শহরে বাসে চড়বো আর জ্যামে পড়বো না, এটা তো কিয়ামতের আগে সম্ভব না। বাসে উঠেই জ্যামে পড়ে গেলাম। বিমানবন্দর থেকে উত্তরা খালপার যেতে এক ঘন্টা সময় লেগেছে। ঢাকা শহরে এত মোটা মোটা রাস্তা, ফ্লাইওভার, অভার ব্রিজ তারপরও জ্যাম শেষ হয় না। আর আমারও মনে হয় না ঢাকা শহরের জ্যাম কোনদিন শেষ হবে।
উত্তরা পৌছে কাজিনের দোকান দেখে,মালিকের সাথে কথাবার্তা বলে সব কিছু ফাইনাল করতে করতে রাত দশটা বেজে যায়। তারপর হালকা নাস্তা করে নারায়নগঞ্জের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দিলাম। খালপার থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত রাইদা বাস আসে। আমি সেই বাসে উঠলাম বিমানবন্দরে নামার উদ্যেশ্যে। উত্তরা থেকে অল্প সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরে চলে আসলাম। তখন মনে মনে চিন্তা করলাম রাতে হয়তো রাস্তায় জ্যাম পড়বে না। তাই বিমানবন্দরে না নেমে সেই রাইদা বাস দিয়েই আসতে লাগলাম। কিন্তুু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বিমানবন্দর পার হয়ে বনানী এসেই জ্যামে পড়ে গেলাম। অনেক কষ্টে বাড্ডা পর্যন্ত এসে এমন জ্যামে পড়লাম,বাস নড়েই না।
মাঝে মাঝে একটু একটু থেমে থেমে বাস চলে। যখন জ্যাম ছাড়ে তখন আবার ড্রাইভার স্পিডে গাড়ি চালায় না। রাস্তায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করে। যার ফলে ড্রাইভারের সাথে বিরক্ত হয়ে মালিবাগ এসে বাস থেকে নেমে গেলাম। সেখান থেকে লাভলি বাসে চড়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত আসলাম। অনাবিল আর রাইদা বাস থেকে লাব্বাইক, লাভলি বাস গুলোর সার্ভিস ভালো। তারা খুব স্পিডে গাড়ি টানে। অবশেষে সাড়ে বারোটার দিকে বাসায় এসে পৌছালাম। আসার সময় যদি বিমানবন্দরে নেমে ট্রেনে কমলাপুর চলে আসতাম তাহলে হয়তো একঘন্টা সময় সেইব হতো।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখানেই আপানাদের কাছ থেকে বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল অন্য কোন বিষয় নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | কাজিনের সাথে দেখা করতে হঠাৎ উত্তরা যাওয়া।। |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৭ / ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit