মৈনট ঘাট (মিনি কক্সবাজার) ভ্রমন অন্তিম পর্ব।।

in hive-129948 •  9 months ago 

photo_16_2024-02-28_10-08-13.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে মৈনট ঘাট (মিনি কক্সবাজার) ভ্রমনের অন্তিম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে,সে গুলো শেয়ার করবো।

বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে আমরা যেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা হলো একটি নদীর চর। যেটা পদ্মা নদীর মাঝখানে রয়েছে। বিশাল বড় এই চরটি সম্ভবত ফরিদপুর জেলার আওতাদিন পড়েছে। কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে গোসল না করলে যেমন মজা পাওয়া যায় না ঠিক তেমনি ঐ চরে গিয়েও গোসল না করলে মজা পাওয়া যাবে না। আমাদের মধ্যে যারা সর্ট পেন্ট,টাউজার,থ্রি কোয়াটার নিয়ে গেছি সবাই পানিতে নেমে গোসল করতে লাগলো। সবাই মোটামুটি অনেক আনন্দ করেছে।

আমি নদীর অনেক গভীরে পর্যন্ত সাঁতার কেটে গিয়েছিলাম। মন চাইছিলো সারাদিন যেন পানিতে গোসল করি। তবে সেটা তো আর সম্ভব না। এখানে একটি বিষয় খেয়াল করলাম যে নদীর পানিটা মোটামুটি ঠান্ডা ছিল। আমি আগের বার যখন গিয়েছিলাম তখন পানি এত ঠান্ডা ছিল না। তখন বাতাস ছিল সেই সাথে নদীতে কিছুটা ঢেউ ছিল। আর বালু প্রচন্ড গরম ছিল। তবে এবার পানি ঠান্ডা হওয়ার কারনে কিছু মানুষ পানিতে নামে নাই।

photo_2_2024-02-18_12-23-35.jpg

photo_3_2024-02-18_12-23-35.jpg

আমরা প্রায় দুই আড়াই ঘন্টা গোসল প্লাস খেলা ধুলা করার পরে দুইটার দিকে কাপড় চেন্জ করে নামাজ আদায় করে নিলাম। তারপর শুরু হলো খাওয়া দাওয়ার পালা। আমরা যেহেতো খাবার নৌকা দিয়ে নিয়ে এসেছি তাই আমাদের কোন টেনশন নেই। নৌকার উপরে নিচে সবাই বসলো। আমরা সবাইকে খাবার দিয়ে দিলাম। তারপর আমরা নিজেরা নিচে বসে খাবার খেলাম। খাবারের মধ্যে ছিল পুলাউ,মুরগির রোস্ট,ডিম,সবজি,সালাদ,আর দুই প্রকারের পানি। সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে বসে রইল। কেউ আবার চরে হাটতে চলে গেলো। আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি তিনটার সময় সবাই যেন নৌকাতে চলে আসে। কারন তিনটার সময় নৌকাতে সবার ভাগ্য যাচাই করা হবে। অর্থাৎ লটারি দেওয়া হবে।

photo_35_2024-02-28_10-08-13.jpg

photo_37_2024-02-28_10-08-13.jpg

অবশেষে জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই মূহর্ত চলে আসলো। আমরা লটারি দেওয়ার কথা সবাইকে ঘোষনা করে দিলাম। সবাই স্ব স্ব জাগায় বসে পড়লো। আমরা কয়েক জন সিনিয়র কলিগকে লটারি মঞ্চে ডেকে নিলাম। আমি থাকলাম গিফট হাতে তুলে দেওয়া দায়িত্বে,কারন আমি জানি কোন বক্সে কোন গিফট রয়েছে। আমিই বক্স সাজিয়েছিলাম। তারপর একে একে নাম ঘোষনা করা শুরু হলো। প্রথম বারো নাম্বার থেকে নাম ডাকা শুরু হলো। বারো নাম্বারের গিফট ছিল আরএফএল পানির মগ। সতের জনকে পানির মগ দেওয়া হলো। তারপর ছিল ১০ জন, এভাবে নিচের দিকে পাচঁ নাম্বার পর্যন্ত ১০ জন করে নাম তুলা হয়েছে। পাচঁ থেকে তিন নাম্বার পযর্ন্ত ছিল পাচঁজন করে। তারপর শেষে এক,দুই, তিন নাম্বার হলো একজন করে। সর্বশেষ গিফট ছিল রাইস কুকার। আমরা ১০৫ জন মানুষ গিয়েছি,সবার জন্যই গিফট নিয়েছি। সবাই নিজেদের ভাগ্য অনুযায়ী গিফট পেয়েছে।

photo_18_2024-02-28_10-08-13.jpg

photo_41_2024-02-28_10-08-13.jpg

লটারি করার পরে কেউ আর চরে থাকতে চাইলো না। সবাই নদীর পাড়ে আসতে চাইলো। এখানে বিভিন্ন জিনিষ পত্রের দোকান ছিল। সবাই নিজেদের সাধ্যমত বিভিন্ন জিনিষ কিনলো। আমি তেমন কিছু কিনি নাই। আসরের আজানের সময় আমরা সেখান থেকে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছিলাম। আসার সময় আমরা পদ্মা সেতুর রোড দিয়ে এসেছিলাম। চার লাইনের বিশাল বড় রোড করা হয়েছে। কোথাও কোন যানজট লাগে নাই। তবে যাত্রাবাড়িতে এসে জ্যামে পড়ে গেলাম। সেখানে সারাবছরই যানজট থাকে। প্রায় সাড়ে আটটার দিকে আমরা বাসায় পৌছে গেলাম। আমাদের ভ্রমনটা মোটামুটি দারুন ছিল। যারা আনন্দ করার তারা করেছে। আর যারা পানিতে নামে নাই তাদের তেমন আনন্দ হয় নি।

যায়হোক তারপরও বলবো সব মিলিয়ে ভালোই ছিল। তবে আগের বার বেশি মজা হয়েছিল। এখন চর নষ্ট হয়ে গেছে। নদীর তীরে ব্লক লাগানোর কাজ চলছে। ব্লক লাগানোর পরে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগবে। এই বছর না যাওয়াই ভালো হবে। দুই এক বছর পরে গেলে বেশি মজা পাওয়া যাবে।

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

ফটোগ্রাফির বিবরণ:

2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

ডিভাইসমোবাইল
মডেলrealme-53
শিরোনামমৈনট ঘাট (মিনি কক্সবাজার) ভ্রমন অন্তিম পর্ব।।
স্থানমৈনট ঘাট,দোহার,ঢাকা,বাংলাদেশ।
তারিখ১৬ /০২/২০২৪
কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@joniprins

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG_20190907_175336_618.JPG

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।

FNeY1coMNUL9WkErUPeUKmtGszS37qoEdLJEhh8bj8LkMZg4ZnLbSCPtsqdFwbPFaU6vxamfJRhKsAXwWBZmAwtf2KFjktn9asDsnKpUF6cbBcNYFzwcTbFb5dfFf7N5Lt5j8KUqpB64Bhu5yFCR9Qn5uG4sQo8t4PYbc7VJq37PW7258mLRbFTrsBTtbAnos9AJnU46Lv3HqXsN7s.gif

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqrigHRpcui9esXgmzET2bzsQeMg4RmCSqymiE62YF9FX9CSeYHcZbStqFqiFen18HjyXNbtXG.png

KNoz79cGRt58XHcjM3shjWsSEtKgRtxoVdChppmw4FvW2CQtZxVJGen4yBCeRMj2Y2h9ttHevCs9rtWncvn3FXAHo5MrkNBCbLay5LtH7wgCA27mBRvWM5GDKNQKzJk62Dz8KRvqdiFsZ66guzvyhyBYqJu6KB21dLiPDmtFGR2yvqBCtUPp3Rscm37PwtDEWYMtuKM5v3qhNod24L.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VRjuxKSTKuNvqEk1nfiYiKKnHbcTuABq9Fu2qE77V9BjGsoqkb23ngKUAk2mCBmjpG3wz3go7Vd2YW.png

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WP87ckB6VoL3UD42BtkosJzLXYjuCC4ws3sxuihZ3nhDfd815qMJiiETpWAiutfN7bjurhaBbivMFVTYEDiv.png

download-03.png

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

download-044.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

Click Here For Join Heroism Discord Server

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7J8W9NZEbNsUTLEMkrtgqwUMHmRbAh6UqX4xVw4ivcS7bbpBquT2w2543nYruerj3XBGzuKvCPijibJe6h1hHzcjF.gif

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া আপনারা এতগুলো মানুষ মিলে ঘুরতে গিয়েছেন। তবে অনেক মানুষ থাকলে কিন্তু ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগে। মৈনট ঘাট মিনি কক্সবাজার নামটা প্রথমবার শুনলাম।‌ আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে সেখানে মানুষের আনাগোনা একটু কম। কারণ নদীর পাড় আপনাদের ছাড়া তেমন বেশি মানুষ দেখতে পেলাম না। আপনারা সবশেষে লটারির ব্যবস্থা করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ঘোরাঘুরির মধ্যে লটারি আর প্রাইজ থাকলে আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ঘোরাঘুরির অন্তিম পর্ব শেয়ার করার জন্য।

আপনার কাছ থেকে এই ভ্রমণের অনেকগুলো পর্ব দেখে আসছি৷ আজকে এর শেষ পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আপনি। আপনারা অনেকজন মিলে এখানে ঘুরতে গিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। যদি অনেকজন মিলে কোন জায়গায় ঘোরা হয় তখন একসাথে বিভিন্ন ধরনের মজা করা যায়। সবাই একসাথে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করা যায় । এই মুহূর্তগুলো আজীবন মনে থেকে যায়। অনেক ভালো লাগলো এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আপনার কাছ থেকে দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ।