আস্সালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে জুম্মার নামাজ পড়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। আশা করি আমার আজকের ব্লগটিও আপনাদের কাছে ভাল লাগবে।
আমাদের কমিউনিটিতে বাংলাদেশি যেসব মেম্বার রয়েছে সবাই জানে যে আমাদের জাতীয় মসজিদ হলো বাইতুল মুকাররম। মসজিদটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টনে অবস্থিত। ১৯৬৮ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি ও তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। প্রথম দিকে মসজিদটিতে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতো। পরে বাংলাদেশ সরকার সেই মসজিদের ধারন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৪০ হাজারে উন্নিত করেছে। যার ফলে বর্তমানে মানুষ ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে এটি বিশ্বের ১০ম বৃহত্তম মসজিদ। সৌদিআরবে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্র কাবা শরীফের আদলে নির্মিত বাইতুল মুকাররাম মসজিদটি আট তলা বিশিষ্ট। এখানে ঈদের নামাজ,জানাযার নামাজ,জুম্মার নামাজ সহ প্রতিদিন পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়।
আমি গত শুক্রবারে একটি বিশেষ কাজে গুলিস্তানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাইতুল মুকাররাম মসজিদে গিয়েছিলাম জুম্মার নামাজ আদায় করতে। সেখানে সকাল ১১টার পর থেকে নামাজের জন্য মানুষ জমায়েত হতে থাকে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন প্রায় একটার উপরে বেজে গিয়েছিল। আমরা গিয়ে দেখি এক থেকে পাচঁ তলা পর্যন্ত মানুষ বসে গেছে। আমরা অনেক কষ্টে ছয়তলাতে জায়গা পেলাম। এক আর দুই তলা এসি করা। আর বাকি তলা গুলোতে সিলিং ফ্যান লাগানো। মসজিদের ভিতরের একটি বৈশিষ্ট হলো নিচ তলা থেকে গোল করে আট তলা পর্যন্ত ফাকা রয়েছে। আট তলা থেকে নিচ তলা দেখা যায়। নিচের ছবি গুলো খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন।
এটি মসজিদে প্রবেশ করার একটি গেইট। এটি কত নাম্বার গেইট সেটি খেয়াল করি নাই তবে এটি দক্ষিণ দিকের গেইট। এই গেইটটিই সব থেকে বড় এবং প্রথম গেইট। হাজার হাজার মানুষ প্রবেশ করছে আবার বের হচ্ছে। বাংলাদেশে কত ধরনের যে ব্যবসা আছে সেটা এই মসজিদের সামনে গেলে দেখা যায়।
সবাই ওযু করে পাক পবিত্র হয়ে সৃষ্টিকর্তার কুদরতি পায়ে সেজদা করার জন্য বিশাল বড় মসজিদের আঙ্গিনা পেরিয়ে মূল মসজিদে প্রবেশ করছে। সম্পূর্ণ মসজিদ টাইলস করা যেখানে ছাদ নেই সেই টাইলস করা জায়গা গুলো অনেক গরম। পা রাখা যায় না। ঐদিন রোদ ছিল প্রচুর। ছবিতে রোদের পরিমান কিছুটা বুঝা যাচ্ছে।
আমরা ধীরে ধীরে মসজিদের ষষ্ট তলায় প্রবেশ করেছি। মসজিদ অষ্টম তলা হলেও লিফটের ব্যবস্থা নেই। সেটা এক দিক দিয়ে ভাল হয়েছে। লিফট থাকলে দেখা যেত সবাই ভিআপি পারসন হয়ে যেত। লিফট ছাড়া আবার কেউ উপরে যেত না। সবাই দুই দিকের সিড়ি ব্যবহার করে সুন্দর ভাবে উপরে চলেগেছে। উপরের পরিবেশটা দারুন।
প্রথম ছবিটা হলো একেবারে মসজিদের উপরের ছাদের ডিজাইন। খুব সুন্দর কারুকার্য করে ডিজাইন করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ছবিটা ছয়তলা থেকে নিচের অংশের ছবি। কত সুন্দর ডিজাইন করা হয়েছে। দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায়। নিচের মানুষ গুলোকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
নামাজ শেষ করে আমরা ধীরে ধীরে নিচে চলে আসলাম। কারন নিচে দোয়া করার পরে খেজুর দিবে এমন এলান করেছে। তবে দুঃখের বিষয় হলো এত মানুষের মাঝে আমাদের স্থান পর্যন্ত আসতে আসতে খেজুর শেষ হয়ে গেছে,হি হি হি। আমরা আর খেজুর পায়নি। যে খেজুর বন্টন করেছে সে কিছু রেখে দিয়েছে না হয় আমরা পেতাম।
প্রথম ছবিটা হলো মসজিদের মিম্বরের দৃশ্য। খতিব সাহেব নামাজ পড়িয়ে চলে গেছে। ঘড়িতে তখন দুইটা পনের মিনিট বাজে। আর দ্বিতীয় ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন খেজুরের আশায় বসে আছি। কিন্তুু খেজুর পায়নি। খেজুর পেলে অবশ্যই ফটোগ্রাফি করতাম।
এটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সম্প্রসারিত মসজিদের অবশিষ্ট অংশ। সম্পূর্ণ মসজিদ দামি মোটা টাইলস দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই জায়গাটা খুবই শীতল। বিশাল বড় এরিয়া মানুষ নামাজ শেষ করে শুয়ে শুয়ে আরাম করছে। আমরা নামাজ শেষ করে অন্য একটি গেইট দিয়ে বের হয়ে গেলাম। পেটে অনেক খিদা পেয়েছে খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্ট খুজতে লাগলাম। দেখি আজকে ভাগ্যে কি খাবার আছে।
বন্ধুরা আজকে এখানেই সমাপ্ত ঘোষনা করলাম। আগামীকাল আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে হাজির হবো। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-10 |
শিরোনাম | জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররামে জুম্মার নামাজ পড়ার অনুভূতি। |
স্থান | বাইতুল মুকাররাম,পল্টন,ঢাকা। |
তারিখ | ২১-০৭-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি আজ খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়ার পাশাপাশি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এর ভিতরের এত সুন্দর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এছাড়া বায়তুল মোকাররম সম্পর্কে অনেক কিছু আপনার পোস্টে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু যথা সম্ভব চেষ্টা করেছি সকল তথ্য উপস্থাপন করতে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাশাল্লাহ দেখে অনেক খুশি হলাম। বায়তুল মোকাররম মসজিদ জাতীয় মসজিদ সেটা জানে এবং বিভিন্ন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিংবা টেলিভিশনে দেখেছি। তবে কোনদিন সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আপনার মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। তাছাড়া মসজিদের ডিজাইনটি অনেক সুন্দর ছিল উপর থেকে একদম নিচ তলাতে দেখা যায় অনেক সুন্দর একটি ডিজাইন। বেশ ভালো লেগেছে আপনি খুব সুন্দরভাবে বিস্তারিত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন এবং আপনি নামাজ পড়লেন জেনে অনেক খুশি হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু মসজিদের ডিজাইনটি সত্যিই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit