হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি লাইফ স্টাইল ব্লগ শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমাদের অফিস রুমে আমাদের ম্যানাজার সহ মোট পাঁচজন মানুষ কাজ করি। আমাদের সেকশনের আরো চারটি অফিস রুম আছে। তবে সে গুলোতে ম্যানাজার স্যার তেমন বসে না। আমাদের রুমে বসেই ইন্টারকম টেলিফোনের মাধ্যমেই সব কাজ সমাধান করেন। ম্যানাজার স্যারের পরেই রয়েছে আরেকজন অফিসার। তিনির পরে আমি। তবে আমাদের অফিসের পাচঁজনের মধ্যে অনলাইন ভিত্তিক কাজটা আমিই বেশি বুঝি এবং করি। যে কোন সমস্যা হলেই ম্যানাজার স্যার আমাকে ডাকে। আমিও কাজ করতে করতে মোটামুটি বুঝে গেছি যে আমাদের কাজের ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হতে পারে। আমি আবার কোন প্রবলেমে পড়লে আইটি সেকশনে যোগাযোগ করে সমাধান চাই। তারা খুব দ্রুতই সাড়া দেয়।
প্রাইভেট তথা বেসরকারি সেকটর গুলোতে যে ভাবে খুব দ্রুত সচ্চ ও নিরাপ্তার সাথে কাজের সমাধান হয় সেটা যদি আমাদের দেশের সরকারি সেকটর গুলোতে হতো, তাহলে আমাদের দেশ আরো ২০ বছর আগেই ইউরোপ কান্ট্রি হয়ে যেতো। আমাদের দেশের প্রাইভেট সেকটরে যেমন সময় মেইন্টিন করে দায়িত্ব পালন করা হয়,অন্যান্য দেশে সরকারি বেসরকারি সব সেকটরে তেমন সময়ের গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করা হয়। যার ফলে অন্যান্য দেশের মানুষ আমাদের থেকে ২০ বছর এগিয়ে। যায়হোক মূল কথায় আসি।
আমার সিনিয়র যে কলিগ আছে,আমি প্রায় সময় উনার অনলাইন ভিত্তিক কাজ গুলোতে হেল্প করে থাকি। গত কাল আমাদের অফিসের সেলারি দিয়েছে। তো কি জানি কি মনে করে হঠাৎ ছয়টার পরে সিনিয়র কলিগ বলতেছে চলো আজকে তোমাদেরকে কিছু খাওয়াবো। পাশ থেকে আরেক কলিগ বলতেছে হঠাৎ কি মনে করে। সিনিয়র ভাই বলতেছে এমনি খাওয়াবো চলো। আরেকজন বললো কি খাওয়াবেন,বাজেট কত...? সিনিয়র ভাই বললেন পকেট ভর্তি টাকা যা খাবে তাই খাওয়াবো।
চারজন মিলে ধীরে ধীরে অফিস থেকে বের হতে লাগলাম। আর ম্যানাজার স্যারকে আবার কে যেন ফোন করে ডেকে নিয়ে গেছে। কোন সেকশনে হয়তো বড় লেভেলের খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা অফিস থেকে বের হয়ে অফিসের পাশেরই মিজান রেস্টুরেন্টে গেলাম। কে কি খাবে অর্ডার করতে বললো। আমরা তিনজন আবার আসরের পরে অফিসের ক্যান্টন থেকে মোগলাই,বোট,পুরি এগুলো খেয়েছিলাম। আমাদের পেটে তেমন খিদা নেয়। তাই হালকা নাস্তা করার চিন্তা করে দুইটি চিকেন চাপ আর চারটি ছোট ছোট নান রুটির অর্ডার দিলাম।
অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষন বসে গল্প করলাম। গল্পের বিষয় সেই একই, নির্বাচন। আমি মাঝখানে বললাম ভোট ৪% আর ৪০% যেমনই হোক,এসব আলোচনা বাদ। আমাদের পরবর্তি টার্গেট হলো কক্সবাজার ভ্রমন। সবাই আমার সাথে একমত পোষন করলো। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে আমরা আগামী মাসে অফিস ট্রুরে কক্সবাজার যাচ্ছি,ইনশাআল্লাহ। এর মধ্যেই আমাদের খাবার সামনে চলে আসলো। মাত্র চিকেন গুলো ভেজে আমাদের সামনে এনে রাখলো। চিকেনের উপর দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে,আহ কি ঘ্রান।
সবাই খাওয়া শুরু করলো। সিনিয়র ভাইয়া বলতেছে আজকের চিকেনটা তো অনেক মজা। সত্যিই গত কালকে চিকেন চাপ খেয়ে অন্যরকম একটি স্বাদ পেয়েছি। খুবই ভালো লেগেছিলো গত কালকের খাবারটি। ভাইয়া আরো কিছু খেতে অফার করেছিলো। তবে আমরা বারন করেছি। একদিনে এত তৈলাক্ত জিনিষ খেলে পেটের বারোটা ভেজে যাবে। তাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল মিটিয়ে বের হয়ে গেলাম। আমার আবার বাসায় গিয়ে ড্রেস চেন্জ করে ফার্মিসিতে যেতে হবে।
ভাইয়া আবার তার বাসার জন্য দুইটি পার্সেল নিলেন। ভাইয়ার ফেমিলি এখানেই থাকে। আমাকেও বাসায় পার্সেল নিতে বলেছিল। তবে আমার ওয়াইফ তো বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আছে। তাই আমি মানা করে দিয়েছি। এটাই রিজিক। বাসায় বউ নেই,রাতে কি রান্না করবো,কি খাবো চিন্তা করতেছিলাম। কিন্তুু সৃষ্টিকর্তা খাবারের ব্যবস্থা করে দিলো। সব মিলিয়ে গতকালকের দিনটা ভালোই কেটেছে। সবাইকে ধন্যবাদ। আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে দেখা হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | মিজান রেস্টুরেন্টে একদিন।। |
স্থান | শিবুমার্কেট,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯ /০১ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মিজান রেস্টুরেন্টে আপনি দেখছি দারুন একটি মুহূর্ত উদযাপন করেছেন এবং এই নান রুটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। মজাদার একদম মুখে লেগে থাকার মতো এবং আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া মুহূর্ত গুলো স্মৃতি করে রাখলাম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গতকাল বেশ সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। মিজান রেস্টুরেন্টে অফিস কলিগদের সাথে খাওয়া দাওয়া করার মহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। আবারো নতুন খবর জানতে পারলাম। কক্সবাজার গেলে আশাকরি সবাই মিলে চমৎকার মহূর্ত উপভোগ করবেন। শুভ কামনা রইল ❣️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া যদি যেতে পারি,অবশ্যই আপডেট পাবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আইটি সেক্টর নিয়ে বেশ ভালোই বর্ণনা দিলেন আপনি ভালো লাগলো শুনে। আসলে অফিসের কলিগরা মিলে যদি এভাবে নাস্তা খাওয়া যায় তাহলে সময়টা বেশ ভালো হয়ে যায়। খাবার অর্ডার তো বেশ ভালোই দিলেন। চিকেন চাপ দিয়ে নান খেতে তো খুবই ভালো লাগে। আপনি ঠিক বলছেন আসলে রিজিক কখন কোথায় সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু কলিগরা মিলে হালকা,নাস্তা খাওয়া আর কি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ! রেস্টুরেন্টের পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করতে যেয়ে অনেক সুন্দর তথ্য শেয়ার করেছেন ভাই। যেগুলো আমার মোটেও জানা ছিল না। যাই হোক খুবই ভালো লাগলো, পাশাপাশি চারজন কলিক একসাথে মিজান রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হয়েছেন, কিছুটা সময়ের জন্য খাওয়া দাওয়া। সব মিলিয়ে অনেক কিছু দেখতে ও জানতে পারলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া চার জনের সময়টা ভালোই কেটেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit