বাংলা ভাষা ছড়িয়ে দাও সবার মাঝে-
ডিম আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। শুধু আমার নয় সবার কাছেই ডিম প্রিয়। প্রত্যেক মানুষের ঘরে সবসময় ডিম থাকে। ফ্রিজ খুললেই সবার আগে ডিমকে খাওয়ার জন্য আমাদেরকে স্বাগতম জানায়। বাসায় কোন তরকারি না থাকলেও ডিম থাকেই। আর ডিম খুব সহজেই ভাজি বা রান্না করা যায়। প্রত্যেকটা মানুষ ডিম ভাজি দিয়েই প্রথম রান্না শিখে। আমারও রান্নার হাতেখড়ি হয়েছিল ডিম ভাজি দিয়েই। একটি ডিম দিয়েই এক প্লেট ভাত খাওয়া যায়। মেস লাইফে সব থেকে বেশি খাওয়ার খাদ্য হলো এই ডিম। ডিম দিয়ে এমন কোন রেসিপি বাকি নাই, যেটা আমরা মেস লাইফে খায়নি। প্রায় আট বছর আমার ব্যাচলর লাইফ। এই আট বছরে এত ডিম খেয়েছি না জানি কখন পেটের ভেতর ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটে ক কক করে উঠে,হা হা হা।
আমার ফেমিলি গ্রামের বাড়িতে রেখে এসেছি দুই সাপ্তাহ গত হয়েছে। এই দুই সাপ্তাহে আমি ডিম আর ডাউল ছাড়া আর কিছু রান্না করি নাই। রান্না করা অনেক জামেলার কাজ। কত কিছু কাটাকাটি করতে হয়,হাড়ি পাতিল ধুতে হয়, বাহিরের গরম, চুলার আগুনের গরম, দুই গরমের মাঝে কিচেন রুমে দাড়িয়ে থাকতে হয়। নরমাল খাবার ডাউল রান্না করতেও এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগে। আর অন্য তরকারি রান্না করলে দুই ঘন্টার উপরে সময় লাগে। আর কি পরিমান গরম যাচ্ছে সেটা তো আপনারা সবাই জানেন। এই গরমে অফিস থেকে বাসায় গিয়ে চুলার পাড়ে দুই আড়াই ঘন্টা সময় দাড়িয়ে থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব। দরকার পড়ে দোকানের পাউরুটি, কলা, কেক, বিস্কিট,মুড়ি চানাচুর খাবো তারপরেও রান্নার জামেলায় যেতে রাজি না। অনেকে বলতে পারেন রান্না না করতে পারলে হোটেলের খাবার খেতে পারেন। সেই ভাই বোনদেরকে বলতে চাই, একদিন দুইদিন হলে হোটেলে খাওয়া যায়। মাস শেষে যে সেলারি পায়, প্রতিদিন তিনবেলা হোটেলের খাবার খেলে পনের দিন পরে হাতে থালা নিয়ে তিন রাস্তার মোড়ে বসতে হবে,হে হে হে😛। আর সেই সাথে শরীরে গ্যাস্টিক, আলসার, আইবিএস সহ নানা ধরনের রোগ ফ্রী পাবো। আমি স্বাস্থ নিয়ে খুবই সচেতন মানুষ। বিপদে না পড়লে বাহিরের খাবার খেতে রাজি না।
আমরা বাঙ্গালি মানুষেরা ভাতের মত গ্যাস্টিকের বড়ি আর এন্টিবাইয়োটিক ট্যাবলেট খায়। বাংলাদেশের জনগনের উপরে ফোর্থ জেনারেশনের এন্টিবাইয়োটিক ট্যাবলেট চলতেছে। WHO তথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশের এই বিষয়টা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাই শখ করে বাহিরের খাবার খাওয়া, গ্যাস্টিক ট্যাবলেট আর এন্টিবাইয়োটিক ট্যাবলেট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিভিন্ন হোটেল রেস্টটুরেন্ট যেভাবে খাবার পরিবেশন করে, সে ভাবে খাবার তৈরী করে না। আপনারা যদি তাদের রান্না করার জায়গা ও সিস্টেম দেখেন তাহলে হোটেলের খাবার খাওয়া ছেড়ে দিবেন। আপনারা এটা কখনো মনে করবেন না যে, ফেমিলিতে যেভাবে খাবার তৈরী করা হয়,হোটেল রেস্টুরেন্টেও সেভাবে খাবার তৈরী করা হয়। সুস্থ লাইফ চাইলে বাহিরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদেরকে একটি বিষয় জানায় যে, আমার জানা মতে বাংলাদেশে চার ধরনের সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এক নাম্বার তেলটা বোতল জাত করে বিক্রিয় করে। আর বাকি তিন প্রকার তেল খোলা বিক্রয় করে। এখন চিন্তা করেন হোটেল রেস্টুরেন্টে কয় নাম্বার তেলটা ব্যবহার করে। যায়হোক বিষয়টা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। মূল বিষয়ের দিকে যাওয়া যাক।
আমি গত পনের দিনে সব মিলিয়ে সাত আট বেলা ভাত খেয়েছি। আর এই সাত আট বেলা হোটেলেই খেয়েছি। বিপদে পড়ে হোটেলে গেছি। আমি প্রতিদিনই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হাতে রুটি তৈরী করার চেষ্টা করি। রুটি আমার খুবই ফেভারিট। আর রুটির সাথে সবজি ভাজি, ডিম ভাজি, ডাউল ভুনা, হাঁস মুরগির কলিজা ভুনা খেতে পছন্দ করি। আর গরু, খাঁসির কলিজা ভুনা হলে দশটা রুটি খেতে পারবো,হে হে হে। তবে আমি পাচঁটা রুটির বেশি খেতে পারি না। সর্বউচ্চ চেষ্টা করলে ছয়টা খেতে পারবো। এই পনের দিনে ডিম ভুনা আর রুটিই বেশি খেয়েছি। টমেটোর সাথে ডিম ভুনা করলে খেতে বেশি স্বাদ লাগে। উপরের যে ডিম ভুনাটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা গত কালকে সকালে করেছিলাম। এমনও দিন অতিবাহিত হয়েছে, তিন বেলাই রুটি খাওয়ার চেষ্টা করেছি।
এই পনের দিনে আমার টার্গেট ছিল চার কেজি উজন কমাবো। তবে আমি আড়াই কেজি উজন কমাতে সক্ষম হয়েছি। পনের দিন আগে আমার শরীরের উজন ছিল ৬৫ কেজি। গতকাল আসরের নামাজ পড়ে ওজন দিয়েছি, তখন উজন ছিল ৬২.৫ কেজি। আমার উচ্চতা হলো ৫’৬ ইন্চি। আমার শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী স্বাভাবিক উজন হলো ৫৩-৬৫ কেজি। তারমানে বুঝতেই পারছেন শরীরের উজন সর্বউচ্চ মাত্রায় চলে গেছে। যার ফলে পনের দিনে চার কেজি উজন কমানোর টার্গেট নিয়ে আড়াই কেজি কমাতে পেরেছি। তিন বেলা রুটি খেয়েও স্বাভাবিক উজনটা ধরে রাখতে পারছি না। তবে চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। মাঝে মাঝে সকাল বেলা সিদ্ধ ডিম খেয়েছি। আগামীকাল গ্রামে যাবো,ইনশাআল্লাহ। এখন দেখা যাক গ্রামে ওজনটা কতটুকু নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | সকালের নাস্তায় রুটির সাথে ডিম ভূনা আমার খুবই প্রিয়।। |
স্থান | শিবুমার্কেট,নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৪/০৬ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
একটু সাবধানে থাকবেন আবার যেন পেটের ভিতর মুরগির বাচ্চা ক কক না করে। তাহলে আপনার বিপদ। যদি এমন হয় তাহলে বাচ্চাও পাবে না বউও পাবেন না। যাক সত্যি ব্যাচেলর লাইফে ডিম ভুনা বেশ বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। কারণ শর্টকাট রেসিপি তাই বেশি খাওয়া হয়। এই সকালের রুটির সাথে ডিম ভুনা খাওয়া নিয়ে আপনি অনেক কথাই বলে ফেললেন বেশ ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু, এত পরিমাণে ডিম খাচ্ছি কখন জানি পেটের ভিতর মুরগির বাচ্চা ককক করে উঠে, হা হা হা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রুটির সাথে ডিম ভুনা রেসিপি খেলে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সকালের নাস্তায় রুটির সাথে ডিম ভূনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে সকাল বেলা যে কোন নাস্তার সাথে ডিম ভুনা খেলে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর ডিম ভুনা আপনার অনেক প্রিয় জেনে বেশ ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া, আমি সাধারণত সকালবেলা রুটির সাথে ডিম ভুনা করে খেয়ে থাকি। অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি তো দেখতেছি ডিম ভুনা রেসিপি করেছেন। তবে ভাই আপনার ফ্যামিলি গ্রামে থাকার কারণে আপনি ভালই ঝামেলায় পড়েছেন। তবে রান্না করতে হলে বাসার পাতিল এবং পেলেট সাফাই করতে হবে। তবে এই ধরনের নাস্তাগুলো অল্প সময়ের মধ্যে বানানো যায়। আর হোটেলের খাবারের চেয়ে নিজেই তৈরি করে খেলে ভালো হয়। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেহেতু বেশ কিছুদিন আগেই ভাবীকে গ্রামের বাসায় রেখে এসেছেন তাইতো খওয়াদাওয়ার অনেক সমস্যা হচ্ছে। হোটেলে খাবার খেতে যেমন অনেক টাকা খরচ হয়ে যায় তেমনি অনেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক বেড়ে যায়। ডিম আমাদের সবারই অনেক পছন্দের। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু, ফ্যামিলি গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়ার কারণে একটু ঝামেলায় পড়েছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রুটি অনেক দিন খাওয়া হয় না আমার। প্রায় প্রতি বেলা ভাত খাওয়া হয়। রুটি আমার পছন্দের। তবে ডিম যে আমার খুব পছন্দ সেটা বলব না। আমি মোটামুটি ডিম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। বেশ লাগল আপনার পোস্ট টা পড়ে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছে ডিম আর রুটি খুবই ভালো লাগে। আমি প্রায় প্রতিদিনই এ রেসিপিটা খেয়ে থাকি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রত্যেকটা মানুষ বললে ভুল হবে, আমি কিন্তু অন্য কিছু দিয়ে শিখেছি।যাইহোক ছবিটি দেখে ডিম ভুনা বলে মনে হচ্ছে না ডিম ভাজি মনে হচ্ছে।আর আপনি তো অনেক ওজন কমিয়ে ফেলেছেন দেখছি।আসলেই গরমে রান্না করা বেশ কষ্টকর।ভাইয়া আপনার ছোট ছোট অনেক বানান ভুল রয়েছে,যেমন--উজন,ইন্চি ইত্যাদি।এগুলো ওজন এবং ইঞ্চি হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবাই তো আর এক না, সাধারণত এই রেসিপিটা মানুষ বেশি করে থাকে। সেটাই বলার চেষ্টা করলাম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডিম ভুনা আর রুটি দিয়ে সকালের নাস্তা সেরকমই মজা লাগে। আমার প্রায় সময় সকালের নাস্তার মধ্যে এই রেসিপিই থাকে। আজকে আপনি আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া ডিম আর রুটি খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই ডিম হচ্ছে সকলেরই জাতীয় খাবার আর কি! অলমোস্ট সকলের ই রান্নার হাতেখড়ি হয়েছিল বোধ হয় ডিম দিয়েই! তবে আপনি যে রুটি বানিয়ে খান, সেটা আমায় বেশ অবাক করেছে। মানে আমি আগে কোন ছেলেকে রুটি বানানোর কথা শুনি নি, তাই। আপনি তো বেশ এক্সপার্ট এক্ষেত্রে। হোটেলে খাওয়া নিয়ে আমিও আপনার সাথে একমত। প্রয়োজন এ বাসার ডাল ভাত ই খাওয়া ভালো বাইরের হোটেলে প্রতিদিন মজার মজার খাবার খাওয়ার থেকে! ডিমের রেসিপির ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ মজার হয়েছিলো খেতে! আপনার জন্য শুভকামনা রইলো, যেন গ্রামে গিয়েও খুব বেশি ওয়েট বেড়ে না যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু গ্রামেও অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit