হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিদিনের মত আজকেও একটি নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করবো। আশা করি সবাই মনযোগ সহকারে পড়লে বিষয়টা বুঝতে পারবেন।
আমাদের দেশে সরকার অনেক ধরনের ভাতা প্রদান করে থাকে। সে গুলো মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো দুস্থ, বিধবা,অসহায় বয়স্ক, প্রতিবন্ধী,মুক্তিযুদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত ভাতা ইত্যাদি। এখানে প্রতি মাসেই সরকারি চাকরি জীবিদের মত ভাতা প্রদান করা হয়। তবে দুস্থ, বিধবা,অসহায় বয়স্ক, প্রতিবন্ধীরা বছরে চারবার কার্ডের মাধ্যমে ভাতা পেয়ে থাকে। এখন আমার প্রশ্ন হলো যারা ভাতা পাওয়ার যোগ্য তারা কি ভাতা পাচ্ছে কি না। নাকি এগুলো আত্নসাৎ হয়ে যাচ্ছে।
আমরা মাঝে মাঝে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে মূলত যারা ভাত পাওয়া যোগ্য, বেশি অংশ তারা সেই ভাতা পাচ্ছে না। কিছুদিন আগে একটি নিউজ দেখেছিলাম যে এক মহিলা মেম্বার স্বামী থাকা সত্বেও সে নিজেকে বিধবা দাবী করে আট বছর যাবৎ বিধবা ভাতা উত্তলন করে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা চিন্তা করেন সে একটি ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার অথচ সে নিজেকে বিধবা দাবী করে সরকারি ভাতা আত্নসাৎ করছে। জাষ্ট এতটুুুকু নিউজ করেই দায়িত্ব শেষ। এখন তার ব্যপারে সরকারি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটা কেউ জানে না।
তারপর আরেক দিন একটি নিউজ পড়লাম একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি সবাইকে ভাতার আওতায় নিয়ে আসে। অথচ যারা ভাতা পাওয়াও যোগ্য তারা পাচ্ছে না। এরকম হাজারো নিউস পড়ি প্রতিদিন। কিন্তু তারপরও উপর মহল থেকে এই বিষয়ে তেমন কোন প্রদক্ষেপ নিতে শুনি না বা দেখি না। এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার মূল কারন হলো আমাদের গ্রামে অনেক ভাতা পাওয়ার যোগ্য লোক আছে। কিন্তু তারা সঠিক ভাবে সেই ভাতাটা পাচ্ছে না।
কিছুদিন আগে জানতে পারি আমাদের গ্রামে বিধবা ভাতার জন্য কার্ড করার কাজ করছে। অনেকেই সেই কার্ডের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তুু সেই কার্ড বা বই করতেও তাদের থেকে টাকা নিচ্ছে। যারা টাকা বেশি দিচ্ছে তাদের কার্ড হচ্ছে আর যারা টাকা দিতে পারে না। তাদের কার্ড কমপ্লিট হচ্ছে না। চিন্তা করেন সরকার তাদেরকে দিবেই বা কয় টাকা। সেই কার্ড করতেও নাকি মেম্বাররা টাকা খাচ্ছে। কোন দেশে আমরা বাস করি।
আমার জানা মতে কার্ডধারী প্রত্যেক বিধবা পান প্রতি মাসে ৫০০ টাকা, বয়স্করা ৬০০ টাকা ও প্রতিবন্ধীরা ৮৫০ টাকা। এই অল্প কিছু টাকার জন্য কার্ড করতে গিয়েও ঘুষ দিতে হয়। আমি ছোট থাকতে আমার এক আন্টির সাথে একবার ইউনিয়ন অফিসে গেছিলাম রিলিফের চাউল আনতে। জায়গা বেঁধে শব্দটা অন্য কিছু হতে পারে। তো আন্টির কার্ডে লেখা আঠারো কেজি চাউল অথচে তারা দিচ্ছে ১০ কেজি করে চাউল। সেটা আবার বাসায় এনে মেপে দেখে সেখানে সাড়ে আট কেজি চাউল হয়েছে। মাঝে মাঝে আমি চিন্তা করি বাংলাদেশে এত বাটপার মানুষ কোথায় থেকে আসলো।
রিলিফের চাউল ১৮ কেজির জাগায় ১০ কেজি দেয়, ব্রিজ-কালভার্ট,ড্রেনের মধ্যে রডের জাগায় বাঁশ দেয়,স্বামী বেচে থাকতেও বিধবা ভাতা নেয়,চল্লিশ বছরের লোক বৃদ্ধ ভাতা নেয়। হাত-পা ভালো থাকা সত্বেও প্রতিবন্ধী সেজে ভিক্ষা করে,ক্ষমতার অপবার করে, ১৯৭১ সালে জন্ম গ্রহন করেও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পায়। আবার যারা অরিজিনাল মুক্তি যোদ্ধা তারা মুঁচির কাজ করে। তাদের ছেলে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে। অথচ বুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে নিজে তো ভাতা নেয় আবার তাদের ছেলে মেয়ে সেই কোটা দিয়ে চাকরি নেয়। কি একটা অবস্থা চিন্তা করেন। বলতেছিলাম সরকারি ভাতার কথা।
আমার ব্লগটি যারা পড়বেন তাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ থাকবে। আপনাদের বাড়ির আশে পাশে যত প্রতিবেশি আছে। আপনারা নিজ দায়িত্বে দেখবেন কোথাও কোন বৃদ্ধ লোক,এতিম,প্রতিবন্ধী,বিধবা আছে কি না। তাদেরকে সরকারি ভাতার আওতায় আনা যায় কিনা। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এসব বিষয়ে জানে না, বুঝে না। তাদের খুঁজ নিয়ে মেম্বার চেয়ারম্যানের নিকট বলবেন। বৃদ্ধ বয়সটা অনেক কষ্টের। বৃদ্ধ বয়সে মানুষ বুঝা যায় যায়। বিধবা মহিলাদের সবাই ঘৃনার নজরে দেখে। আপনার আমার মাধ্যমে তারা যদি সরকার থেকে কিছু ভাতা পায় তাহলে তার প্রতিদান আমরা একদিন পাবো। অনেকে হয়তো সমাজের লজ্জায় বলতে পারে না বা প্রকাশ করে না। প্রত্যেক থানায়,উপজেলায়, ইউনিয়নে,গ্রামে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা প্রদান করা হয়। এখন যারা কার্ড করে তারা যদি সঠিক লোক খুজেঁ না পায় তখন তারা নিজেদের মন ইচ্ছামত কারো নাম দিয়ে কোটা ফিলাপ করে ফেলে।
এক্ষেত্রে তাদের দুষও দেওয়া যায় আবার দুষ দেওয়া যায় না। তাদের উচিৎ ছিল বাড়ি বাড়ি হেঁটে হেঁটে খুঁজ খবর নেওয়া কোথায় বিধনা,প্রতিবন্ধী,বয়স্ক মানুষ আছে। কিন্তুু তারা সেটা করে না। এখন তো নির্বাচন করতে জনগনের ভোটের প্রয়োজন হয় না। অটো ভোট হয়ে যায়। যার ফলে এসব সুবিধা বঞ্চিত মানুষের খোঁজ-খবরও কেউ রাখে না। তাই সবার নিকট আমার আবেদন থাকবে। এই বিষয়টা সবাই খেয়াল রাখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি নিজে দেখেছি যে সকল লোকেরা ভাতা দেয় প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন করার সময় তাদের এক বছরের জন্য ওয়েটিং এ রাখা হয় পুর প্রসেসটি, অথচ এই একটি বছর কিন্তু তারা এই আলতায় চলে আসে। তবে তাদেরকে জানানো হয় না। এক বছর পর যখন টাকাটা উত্তোলনের সময় আসে তখন জানানো হয় এবং বলা হয় পুরো টাকাটাই তাদেরকে দিতে হবে, পরবর্তী সময় টাকাগুলো তাদের কোন দাবি থাকবে না। এক দফাতেই প্রত্যেকটা প্রতিবন্ধীদের কাছ থেকে সাত থেকে দশ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। দশজন প্রতিবন্ধী হলেও এক লক্ষ টাকা তাদের সেদিন ইনকাম ছিল, দুর্নীতি দেশটাকে শেষ করে দেবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া ভাতা নিয়ে আমাদের দেশে অনেক দুর্নীতি করা হয়। জানিনা কবে এই সমস্যা গুলো সমাধান হবে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আমাদের দেশটা হচ্ছে নাটকীয় দেশ। এই দেশে নাটক সিনেমার চেয়েও অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে থাকে প্রতিনিয়ত। সরকারি ভাতা এবং রিলিফ মেম্বার, চেয়ারম্যানরা লুটেপুটে খায়। প্রকৃতপক্ষে যারা প্রাপ্য তারা বঞ্চিত হয়। কিন্তু এগুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিউজ প্রকাশিত হলেও, তদারকি করার কেউ নেই। তাইতো দিনের পর দিন এমন অনিয়ম বেড়েই চলেছে। যতো দিন যাচ্ছে আমাদের দেশের অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া তদন্তকর্মকর্তারাও ভুলে যায় কখন কার বিষয়ে তদন্ত করেছিল। সাথে সাথে একটি বিষয় সমাধান হলে তবে সব কিছু ঠিক হতো। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit