বাংলা ভাষার এক নাম্বার কমিউনিটি-
ভারতের সাবেক প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু একটি বাক্য বলেছিলেন, সেটা হলো কোন দেশ কতটুকু ভালো,সেটা দেখার জন্য ঐ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দিকে তাকালেই বুঝা যায়। বর্তমানে আমাদের সোনার বাংলাদেশ কতটা ভালো অবস্থানে রয়েছে সেটা আমাদের বিশ্বাবিদ্যালয় গুলোর দিকে তাকালে স্পষ্ট বুঝা যায়। বর্তমানে কোটাবৈষম্য আন্দোলন , শিক্ষকদের আন্দোলন আর পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কেলেঙ্কারি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে অচল অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আপনারা অনেকেই জানেন যে গত কয়েক মাস আগে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ক্লাস বর্জন করে একযোগে কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ক্লাশ ও পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ, অফিস, লাইব্রেরিসহ প্রশাসনিক ভবন সবখানে তালা ঝুলছে। শিক্ষকরা প্রায় ১৩ দিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ উপর মহল বা সরকারের পক্ষে থেকে সেটা কোন সঠিক সমাধান আসতেছে না।
অন্যদিকে গত ৫ জুন হাইকোর্ট সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষনা করে ৫৬ শতাংশ কোটা নীতি বহালের ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের অন্তরে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠেছে। যার ফলে দেশের সব বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে। এখন সবাই প্রশ্ন তুলছে ছাত্রছাত্রীদের কোটাবৈষম্য আন্দোলন কতটা যক্তিযুক্ত। আমি মনে করি কোটাবৈষম্য বিষয়টা আবেগ নয় বিবেক দিয়ে বিচেনা করা উচিত। যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, দেশকে স্বাধীন করেছে। তাদেরকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। তাদের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন মানচিত্র পেয়েছি, স্বাধীন দেশে পেয়েছি, তাদের আমৃত্যু সম্মান জানাতে হবে। তারা মারা গেলেও তাদের জন্য দোয়া করতে হবে। তাদের অবদানকে আমরা কখনো ভুলতে পারবো না। তাদেরকে সবসময় শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করি।
তবে এখানে কথা আছে। সব কিছুর একটা লিমিট থাকা দরকার। সব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক সেটা সবাই চাই। তাদের ছেলে মেয়েদেরকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়,সেটাও মেনে নেওয়া যায়। তবে তাদের নাতি-নাতিদেরকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে সেটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠির প্রত্যেকটা শিক্ষিত ছেলে মেয়ে একটি সরকারি চাকরির প্রত্যাশা করে। মেধাবী স্টুডেন্টরা দিন রাত গাদার মত খেটে পড়া শোনা করে। অথচ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কোটার মাধ্যমে অন্যরা চাকরি পেয়ে যায়। এর মাধ্যমে মেধাবী স্টুডেন্টদের অকাল মৃত্যু হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার প্রতি স্টুডেন্টের আগ্রহ কমে যাচ্ছে, অকালে মেধাবীরা হারিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ পদ নিয়ে যায় কোটার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। বাকি ৪৪ শতাংশের মধ্যে রয়েছে এমপি, মন্ত্রি, সচিব, চেয়াম্যানদের সুপারিশ আর ঘুষ। শেষ পর্যন্ত মেধাবীরা কিছুই পায় না। ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে রয়েছে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা কোটা ও ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে মোট ৫৬ শতাংশ পদ পুরন করা হয়। স্টুডেন্টরা আন্দোলন করছে মূলত মুক্তিযুদ্ধ কোটা কিছুটা কমিয়ে আনতে। মুক্তিযুদ্ধা কোটা ১০ শতাংশ দিলেও মানা যায়। ৩০ শতাংশ আসলেই বেশি। একটি বিষয়ের ৫৬ শতাংশ যখন ভাগবাটোয়ারা হয়ে যায়,তাহলে বাকিরা কি পাবে,সেটা কিছুটা হলেও বুঝা যাচ্ছে।
আরেকটি বিষয় হলো যেই ৪৪ শতাংশ পদ বাকি থাকে, সেগুলো আবার ধনীর দুলালেরা অর্থের বিনিময়ে দখল করে নেয়। আপনারা হয়তো অলরেডি পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টা জেনেছেন। পিএসসি পরিক্ষার প্রশ্ন যদি ফাঁস হয়ে যায়,তাহলে অন্য পরিক্ষার প্রশ্নের কি অবস্থা, সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। বিভিন্ন পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে,ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, অবৈধ সম্পদের রাজ্য গড়ে আবেদ আলী, বেনজীর, মতিউরের মত লোকেরা। এখন চিন্তা করেন দেশ কার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
আমরা জানি শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ডের যদি হয় এই অবস্থা, তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ কি আল্লাহই জানে। মেরুদন্ডের ৫৬ শতাংশ কোটার দখলে ৪৪ শতাংশ প্রশ্ন ফাঁসকারীদের দখলে। দেশের মেধাবীরা চাকরি না পেয়ে, কিছু মেধা পাচার হচ্ছে বিদেশে, আর কিছু অভিশপ্ত জীবন যাবন করছে সেই সাথে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঘৃনা করছে। দেশের উচ্চাপর্যায়ে বসে আছে কোটা আর ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া লোকেরা। বাপ দাদার কোটা দিয়ে চাকির হবে,তাই তারা তেমন ভাবে পড়াশোনা করে না। কোনরক পাশ করেই কোটার মধ্যে পা রেখে বড় পদে চাকরি নিয়ে যায়। আর কিছু রয়েছে প্রশ্ন ফাঁস করে ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়ে ঘুষের টাকা উঠাতে জনগনের পেঠে লাথি মারে। এই হলো আমাদের সোনার বাংলাদেশ। জানিনা কবে এই দেশে জনবান্দব কোন সরকার আসবে। যে জনগনের কথা চিন্তা করবে,যে দুর্নীতি বন্ধ করবে, যে বৈষম্য দুর করবে,যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবে, যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, মেধার মূল্যায়ন করবে।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর বিষয় নিয়ে আজ আপনি পোস্ট শেয়ার করলেন ভাইয়া।হ্যাঁ ভাইয়া যারা আমাদের জন্য নিঃস্বার্থভাবে শহীদ হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। তাদের প্রতি আমাদের সম্মান আছে ইনশাল্লাহ আজীবন থাকবে।তবে চাকরির কোঠার ক্ষেত্রে এদেশের কয়জন মেধাবী ছেলে মেয়ে অথবা মামা চাচা নেই বা ঘুষ দেয়ার মতো টাকাও নেই সেই মেধাবী ছেলেমেয়েগুলো চাকরি না পেয়ে আকালে ঝরে পড়ছে। আর এদিকে মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় বা যারা প্রভাবশালী একই পরিবারের প্রায় ৪ -৫জন চাকরি পাচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চাকরিতে তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য দশ শতাংশ কোটা রাখলেও হয়। ত্রিশ শতাংশ তারা একাই নিয়ে গেলে আর বাকি থাকে কি। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিছু কিছু ক্ষেত্রে আসলে আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। সবাই যখন জীবনে বাস্তবতাটা বুঝে গেছে তখন রুখে দাঁড়িয়েছে। আর প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। জানিনা শেষ পর্যন্ত কি হবে। আশা করছি ভালো কিছুই হবে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট থেকে আপনি অনেক সুন্দর করে কথাগুলো লিখেছেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু আমি মনে করি আবেগের বশেই ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধাদের ছেলে মেয়ে ও নাতিনাতনিদের দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
সরকারি চাকরিতে কোটাবৈষম্যের জন্য বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বাবিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে। তার কারণ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া শেষ করে চাকরি নেই। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে চলমান প্রতিবাদের সঠিক পদক্ষেপের আশা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখা যাক আন্দোলন কতটুকু সফল হয়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের দেশে স্বাধীন চিন্তা করার মতো মাথা কারো আছে ভাই?? এটা যে বিবেক দিয়ে চিন্তা করবে সেটা তো করছেই না।উল্টা গতকাল এমন একটা মন্তব্য করেছে সেটা শোনার পরে রীতিমতো ছাএসমাজ ক্ষেপে গিয়েছে। আসল মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই এসবের জন্য যুদ্ধ করেনি। এগুলো নিয়ে পড়ে আসে নামধারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি বলবো ভাই,আজকে আবার আন্দোলন কারী নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর সন্ত্রাসী ছাত্রলীগরা হামলা করেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit