হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি মর্মান্তিক ঘটনা শেয়ার করবো। যেটা গতকাল ঘটেছে আমাদের ফার্মেসীর সামনে। চলুন তাহলে বিস্তারিত ঘটনাটা শুনা যাক।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে আমি মেডিকেল বিষয়ে একটি কোর্স করতেছি। আর সেটি হলো মেডিসিন এবং সার্জরীর উপরে একটি কোর্স। আমি সেই কোর্সটা করার পাশা পাশি একটি ফার্মেসীতে সন্ধার পরে সময় দেয়। প্রফেসরগন ক্লাশে যে বিষয় বা রোগটি নিয়ে লেকচার প্রদান করেন সেই রোগের কি কি ঔষুধ দেওয়া হয়, সেটা ফার্মেসীতে গিয়ে একটু যাচাই বাচাই করি। স্বচক্ষে দেখি,হাত দিয়ে ধরি। এর মাধ্যমে উক্ত বিষয়টা সম্পর্কে তারাতারি ধারনা জন্মে। এবং সেটা স্বরন থাকে।
আমি ছয়টার সময় অফিস শেষ করে সেই ফার্মসীতে যায়। অফিস শেষ করে বের হয়ে যেতে যেতে সাড়ে ছয়টা সাতটা বেজে যায়। তো গতকাল অফিস শেষ করে ফার্মেসীর দিকে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিলাম। সেখানে যাওয়ার আগে রেস্টুরেন্ট বা দোকান থেকে হালকা নাস্তা করে যায়। গত কালও ফার্মেসীর কাছে গিয়ে একটি দোকানে বসলাম হালকা নাস্তা করার জন্য। দোকানে বসে যখন নাস্তা করতেছি তখন দোকানে অবস্থানরত কিছু মানুষ একটি লাশের বিষয়ে কথা বলতেছে। আমি তাদের সেই কথার আগাগোড়া কিছু জানি না। তাই তাদের কথার কর্ণপাত করলাম না।
আমি নাস্তা শেষ করে বের হয়ে ফার্মিসীর দিকে যেতে লাগলাম। ফার্মিসী থেকে কিছু দূর থেকে তাকিয়ে দেখি ফার্মিসীর সামনে মানুষ জড়ো হয়ে কি যেন দেখতেছে। আর সবাই মরা লাশ নিয়ে বলাবলি করছে। আমি একটু দ্রুত হেটে সামনের দিকে গেলাম। সেখানে গিয়ে যার দেখলাম সেটা দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। গিয়ে দেখি আমাদের ফার্মিসীর সামনে একটি মরা লাশ পড়ে আছে, তবে ফার্মিসী বন্ধ। সবার মনে একটি প্রশ্ন লাশটা কার..? এখানে কোথায় থেকে আসলো।
আমি দ্বীপ ভাইয়ার মোবাইলে কল দিলাম। আমি যার ফার্মিসীতে সময় দেয় তিনির নাম হলো দ্বীপ রায়। আর ফার্মেসীর নাম হলো দ্বীপ ফার্মেসী। ভাইয়া নারায়নগঞ্জ ভিক্টোরয়া সদর হাসপাতালে সকাল এগারোটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত সময় দেয়। দুইটার পরে বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেস্ট নিয়ে সন্ধা ছয়টার সময় ফার্মিসী অপেন করে। ভাইয়া ফার্মিসী খুলতে এসেই দেখে দোকানের সামনে একটি মরা লাশ পড়ে আছে। এই লাশ কোথায় থেকে আসলো,কিভাবে আসলে কেউ জানে না। অথচ আশে পাশে মাছ বাজার,তরকারির বাজার,শত শত দোকান,ব্যাংক,ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথ রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়ার করছে। কেউ একজন দেখলো না এখানে লাশটা কোথায় থেকে কিভাবে আসলো।
মাকের্টটা নতুন করা হয়েছে। মাকের্টের মালিক মার্কেট তৈরী করে এখনো সিসি ক্যামেরাও লাগায়নি। কিছুদিন আগে রায় ফার্মসীতে চুরি হয়েছে। সিসি ক্যামেরা না থাকায় কোন তথ্যও পাওয়া যায়নি। ঔষুধের দোকানেও চুরি হয় সেটা আমার জানা ছিল না। কত বড় খারাপ মানুষ হলে ঔষুধের দোকানেও চুরি করে। যায়হোক চুরি হওয়ার পরে রায় ফার্মেসীর মালিক দ্বীপ রায় নিজের টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। এখন সিসি ক্যারায় দেখা যায় দুপুর সাড়ে তিনটার সময় একটি অটোরিকশা দিয়ে দুইটি বাচ্ছা আর একজন লোক লাশটাকে দোকানের সামরে রেখে তারা চলে যায়। বাচ্ছাদের বয়স তেমন বেশি না। দশ থেকে বারো বছর হবে। তবে লাশ ও উক্ত ব্যাক্তি এবং বাচ্ছাদের কাউকে এই এলাকায় কেউ কোন দিন দেখে নি। কাউকে চিনেও না।
পাচঁটার সময় মার্কেটের মালিক এবং এলাকার ব্যবসায়ী সমিতির লোক পুলিশকে ফোন দিয়ে বেওয়ারিশ লাশ সম্পর্কে জানায়। তারপর সাড়ে ছয়টার সময় পুলিশ এসে কয়েকজনকে স্বাক্ষী রেখে লাশটাকে নিয়ে যায়। ভাইয়া প্রায় আটটার সময় ফার্মেসী অপেন করে। বেচারা এখনো বিয়ে শাদী করে নাই। তার মধ্যে কোন ঝামেলায় পড়ে কি না সেই টেনশনে রয়েছে।
আমার কথা হলো কে বা কারা এমন কাজ করলো। মানুষ মরনশীল, মরতেই পারে। তাই বলে এভাবে লাশ ফেলে চলে যাবে। মরে গেছে গ্রামে অথবা সরকারি গোরস্থানে করব দিয়ে দিবে। এখানে লোকচুরি খেলার কি আছে। মানুষের মন-মানুষিকতা দিন দিন কি হচ্ছে বুঝতেছি না। যায়হোক সৃষ্টিকর্তা যেন সব ধরনের জামেলা থেকে আমাদের মুক্ত করে সেই কামনা করি। সবাইকে ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভালো একটি পোস্ট করলেন। হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলেছেন দিনে দিনে মানুষের মন মানসিকতার যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুনিয়া থেকে দায়িত্ব কর্তব্য ভালোবাসাগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে। আর স্বার্থপরতায় যেন লোকজন ভরে গেছে। দেখুন ভাইয়া কে বা কার কেউ বলতে পারেনা।আবার যে,সাহায্য করবে তারও মন মানসিকতা কারো নেই। যাইহোক আল্লাহতালা যেন আমাদের এই সকল কিছু থেকে ভালো রাখে। আমরা সবাই যেন সবসময় সকল বিপদ আপদ ও ঝামেলা থেকে ভালো থাকতে পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু দুনিয়া আর আগের মত নেই। সবাই স্বার্থপর হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা আজ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, মানুষের মন-মানসিকতা দিন দিন একদমই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা অহরহ দেখা যাচ্ছে বর্তমানে। খুবই খারাপ লাগে এসব কাহিনীগুলো শুনলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু ঘটনাটা দেখে আমি অবার হয়ে গেছি। মানুষ কত স্বার্থপর । লাশ ফেলে চলে যায়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit