বাংলা ভাষাভাষীদের মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার বৃক্ষ মেলা পরিদর্শনের অন্তিম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি ব্লগটি সবার কাছেই অনেক ভালো লাগবে।
বিভিন্ন কাজের জামেলার কারনে আজকে ব্লগ লিখতে কিছুটা দেরি হয়ে গেলো। তবে ব্লগ লিখতে আমার কোন সমস্যা নেই। ব্লগ লিখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যেমন ভালো লাগে প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে ঠিক তেমনি ভালো লাগে প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে। আজকে আমি প্রকৃতির রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা কয়েকটি ফটোগ্রাফির বর্ণনা দিবো। প্রকৃতি সম্পর্কে যতই লিখি ততই যেন কম হয়ে যায়। কত মানুষকে দেখেছি তারা প্রকৃতিকে ভালোবেসে নগর জীবন ছেড়ে জঙ্গলে চলে গেছে। খুব কাছে থেকে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে, প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে জঙ্গলের ভিতরেই জীবন শুরু করেছেন। আসলে সত্যি কথা হলো আপনি প্রকৃতিকে যতটা ভালোবাসবেন, প্রকৃতি আপাকে তার থেকে শত গুন বেশি ফিরিয়ে দিবে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি অলকান্দা গাছে একটি ফুল ধরে আছে। আর অনেক গুলো কলি আছে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই সেই কলি গুলো ফুলে পরিনত হবে। অলকান্দা ফুলের কালারটা সব থেকে বেশি সুন্দর। এছাড়াও বড় বড় পাতা বিশিষ্টি আরেকটি গাছের চারা দেখা যায়। সেটা সম্ভবত কোন ফুল গাছের চারাই হবে। এমন একটি ফুলের গাছ আমি দেখেছিলাম। তবে এই মুহর্তে নামটা মনে পড়ছে না।
এই ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এখানে দেখতে পাচ্ছেন ছোট ছোট বিভিন্ন টবের মধ্যে গাছ লাগিয়েছে। সব থেকে সুন্দর দৃশ্য হলো টবের মধ্যে রঙ বেরঙের ছোট ছোট নুঁড়ি পাথর দেওয়া আছ। সাদা, লাল, নীল, কালো অনেক ধরনের পাথর দেখা যায়। মাঝখানের ছোট গোল টবটা আমার কাছে খুবই পছন্দ হয়েছে। যেমন দেখতে সুন্দর তেমন দামও আগুন।
আমার খুবই প্রিয় একটি ফল গাছের চারা। আমড়া আমার খুবই ফেবারিট একটি ফল। আমাদের বাড়িতে এমন একটি আমড়া গাছের চারা লাগানোর চিন্তা করতেছি। এই গাছ গুলো আবার তেমন বেশি জায়গা লাগে না। অল্প জায়গাতেই বড় হয়ে ফল দিয়ে থাকে। এখানে বড় দুইটি আমড়ার সাথে ছোট ছোট অনেক গুলো আমড়া দেখতে পাচ্ছেন। হয়তো কিছু দিনের মধ্যেই সে গুলো বড় হয়ে খাওয়ার উপযুক্ত হবে।
এই জায়গাটা দেখে তো আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। দৃশটা আমার কাছে এত ভালো লেগেছে বলে বুঝানো যাবে না। মনে হচ্ছে ছোটখাটো একটি জঙ্গলের মধ্যে এসে পড়েছি। আপনারা লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা দেখা যায়। বন-জঙ্গলে যেমন বিভিন্ন গাছ দেখা যায় এখানেও ঠিক তেমন লাগছে। হঠাৎ করে দেখলে জঙ্গল ভেবে ভুল করবে।
এই দৃশ্যটা দেখে আমি নার্সারীর মালিকদের চিন্তা ভাবনা কেমন সেটা ধারনা করেছি। তাদের ভিতরে আসলে অনেক প্রতিভা রয়েছে। এখানে দেখতে পাচ্ছেন কত ধরনে টব আর কত ধরনের গাছের চারা। পিছনের টব গুলো দেখলে বেশি অবাক হবেন। তাদের চিন্তা ভাবনা আসলেই অনেক সুন্দর। কচু গাছও বৃক্ষ মেলাতে বিক্রয় করে, আজকেই প্রথম দেখলাম।
এটাকে আবার কেউ পুরাতন জঙ্গল বাড়ি ভেবে ভুল করবেন না। আমি এই ফটোগ্রাফিটা নিয়েছি নারায়গঞ্জ চাষাড়ার জিয়া হলের সামনে থেকে। ভাঙ্গা দরজা জানালো গুলো সেই জিয়া হলের। এই ফটোগ্রাফিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতে পাচ্ছেন। সব থেকে মজার বিষয় হলো এখানে একটি কলা গাছের চারাও দেখা যায়। অনেকে হয়তো কলা গাছের চারাও বাগানে লাগাতে পারে। সেই জন্যই তারা মেলাতে নিয়ে এসেছে।
বন্ধরা আমার ব্লগটি আজকে আর বাড়াবো না। বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে। আগামীকাল আবার আপনাদের মাঝে হাজির হবো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবার নিকট দোয়া কামনা করি। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন- অন্তিম পর্ব।। |
স্থান | চাষাড়া, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃক্ষ মেলায় ভ্রমণ করলে বিভিন্ন রকমের গাছপালা দেখা যায়। আর বৃক্ষ মেলায় যাওয়ার সুযোগ খুব একটা হয়নি আমার। তাই এই অভিজ্ঞতাও খুব একটা নেই। তবে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সুন্দর সুন্দর গাছ সেখানে পাওয়া যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু বৃক্ষ মেলায় গেলে অনেক ধরনের গাছের বিষয়ে ধারনা পাওয়া যায়। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন করেছেন এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হলাম। আমাদের এখানেও কিছু দিন আগে বৃক্ষ মেলা হয়েছিল। আমি একটি কুল বড়ুই গাছ এনেছিলাম। মেলায় অনেক ধরনের সুন্দর সুন্দর গাছ পাওয়া যায়। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কুল বড়ুই দারুন ফল ভাইয়া। অনেক ভালো কাজ করেছেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit