বাংলা ভাষায় মনের আনন্দে ব্লগ লেখো-
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে হঠাৎ নিমন্ত্রণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো।
মানুষের রিজিক কখন কোথায় কিভাবে লেখা আছে সেটা কেউ জানে না। রিজিকের টানে অথবা রিজিকের সন্ধানে কে কখন কোথায় যায় সেটা কেউ জানে না। মানুষের জীবন বড় অদ্ভুত। মুহূর্তের মধ্যে মানুষের সিদ্ধান্ত, মানুষের অবস্থান পরিবর্তন হয়ে যায়। আর এটাই হলো ভাগ্যের খেলা। যেটা বোঝার কোন সাধ্য নেই।
গতকাল সকাল থেকে সুন্দরভাবেই অফিস করতে ছিলাম। কাজের প্রচুর প্রেসার ছিল। সেজন্য মনোযোগ সহকারে কাজগুলো কমপ্লিট করতে ছিলাম। কিন্তু বিকালের দিকে হঠাৎ করে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন গেলো, শুক্রবারে জরুরি ভিত্তিতে যেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া যায়। আমার এক মামা শ্বশুর বেশ কয়েক মাস আগে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছিল। তিনি প্রায় ১২ বছর পরে বাংলাদেশে এসেছেন। আগামী ১৬ তারিখ তিনি আবার প্রবাসে চলে যাবেন। আবার কখন বাংলাদেশে আসবেন, সেটা তিনি নিজেও জানে না। তিনি ছেলে মেয়ে স্ত্রী সবাইকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাতের দুবাইতে থাকেন। ছেলেমেয়েরা দুবাই স্কুলেই পড়াশোনা করে। সেজন্য তারা বাংলাদেশে আবার কবে আসবে সেটা কেউ সঠিক ভাবি বলা যাচ্ছে না । যেহেতু মামা শ্বশুর প্রবাসে চলে যাবেন, সে জন্য তিনি ভাগ্নি এবং ভাগ্নির জামাতাকে দেখতে চেয়েছেন। মানে আমি এবং আমার ওয়াইফ কে দেখতে চান।
আমার শশুর শাশুড়ি আমি এবং আমার ওয়াইফ কে জরুরী ভিত্তিতে শুক্রবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য বললেন। কারণ শুক্রবারে মামা শ্বশুর তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসবেন। আর সেই সাথে আমাদেরকেও দেখতে চাচ্ছেন। গতকাল বিকালের দিকে এই খবরটি পাওয়ার পরে আমার প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আমার ওয়াইফ বলতেছে তার মামা তার মামি, নানি তাকে বারবার ফোন করে বলতেছে আমরা যেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাই।
একদিকে অফিসে কাজের চাপ, অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির রিকুয়েস্ট। অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার জন্য রাজি হলাম। রাতের বেলা সবকিছু গুছিয়ে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। আজকে শুক্রবার হওয়ার কারণে রাস্তায় তেমন কোন জ্যামে পরতে হয়নি। খুব সুন্দরভাবে কমলাপুরে এসে পৌঁছেছিলাম।
আমাদের ট্রেন ছিল ৯ঃ৪৫ মিনিটে। কিন্তু সেই ট্রেন কমলপুর ছেড়েছে প্রায় এগারোটার সময়। মানে আজকের ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে এক ঘন্টা লেট করে। আর আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছতে সময় লেগেছে তিন ঘন্টার উপরে। যাইহোক তারপরও আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসতে পেরেছি, সেজন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট শুকরিয়া আদায় করছি।
বাসায় এসে মামাশ্বশুর মামী শাশুড়ি সবার সাথে দেখা হলো। আরো অনেক আত্মীয়-স্বজন এসেছে। সবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়ে খুবই ভালো লেগেছে। আমার শ্বশুর ভোজন প্রিয় মানুষ। ব্যাপক খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছে। সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করেছি। বিকালটা খুবই সুন্দর ভাবেই কেটেছে। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে আগামীকাল সন্ধ্যা ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো, ইনশাআল্লাহ।।
বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আমার আগামীকাল আপনাদের সাথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।।
Device- Realme-53
Location, Brahmanbaria, Dhaka.
Date- 13-12-2024
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Task Done
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আবার কবে বিদেশ থেকে আসবেন এবং স্বচক্ষে দেখতে পারবেন তার কিন্তু নিশ্চয়তা নেই। তাই এই মুহূর্তে সুযোগ করে দেখা করাটাই বেটার। যাই হোক অনেক কিছু কিন্তু জানার সুযোগ করে দিয়েছেন পোস্টের মাঝে। বেশ ভালো লাগলো আপনার অফিসের ব্যস্ততার বিষয় সহ সবকিছু জানতে পেরে। তবে অফিসে বিভিন্ন কাজের চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। চেষ্টা করেন গুছিয়ে আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু।সেই জন্যই অফিসের কাজ ফেলেও গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি যে অফিসের কাজের উপরেও শ্বশুর বাড়ি যাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন তাতে ভালো কাজ করেছেন ভাই। মামাশ্বশুর বহুদিন পরে এসেছেন, আর তিনি দেখতে যখন চেয়েছেন তখন একবার আপনার স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া অবশ্যই উচিত ছিল। তাই আপনি একেবারে উচিত কাজ করেছেন। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া সে জন্যই গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit