হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সৃষ্টিকর্তার ভালবাসায় সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। বিষয়টা অনেকের কাছে পুরাতন হলেও আমার কাছে নতুন। তাই শেয়ার করার চিন্তা করলাম। শিখার কোন বয়স নেই। শিখার কোন শেষ নেই।
আমি ২০১৪ সালে ঢাকা আসার পর ওয়াইফাই ব্যবহার করা শুরু করি। এর আগে গ্রামে থাকার কারনে ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুযোগ হয়নি। এখন অবশ্য গ্রামেও ওয়াইফাই চলে গেছে। আমাদের গ্রামে প্রায় অনেক বাসাতেই ওয়াইফাই কানেকশন আছে। প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে সবার বাসাথেই ওয়াইফাই চলে যাবে। কারন গ্রামের মানুষও এখন আর পিছিয়ে নেই। প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে চলার চেষ্টা করছে। আর এমনটিই হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
আমি যখন প্রথমে ঢাকায় আসি তখন একটি মেসের মধ্যে উঠি। মেসের অবস্থা কেমন হয় সবাই হয়তো জানেন। পাশের ফ্লাটে একটি ওয়াইফাই রাউটার ছিল। সেখানে প্রতি মাসে একশত টাকা দিয়ে মোবাইলে ওয়াইফাই কানেকশন করিয়েছিলাম। রাউটারের মালিক 1 mbps একটি রাউটারে আট থেকে দশ জনের মোবাইলে কানেকশন দিয়ে ছিল।মাঝে মাঝে নেট স্পিডের যা অবস্থা হতো মনচাইতো মোবাইলটা ডিল দিয়ে ভেঙ্গে ফেলি। মোবাইল ভাঙ্গলে কি হবে। মোবাইলের তো আর দুষ নেই।
এভাবেই চলে গেছে প্রায় বছর খানেক। নতুন ঢাকায় এসেছি এত কিছু তো বুঝি না। যেমন স্পিড পেয়েছি তেমনই চালিয়ে নিয়েছি। দেড় থেকে দুই বছর পরে ঐ স্পিড দিয়ে নেট চালাতে আর ধৈর্য ধরতে পারলাম না। তারপর সে বাসা ছেড়ে নতুন জাগায় দুইজন মিলে একটি বাসা নিলাম। এখন সেখানে তো ওয়াইফাই কানেকশন দরকার। পাশের রুমেই রাউটার ছিল। তার থেকেও প্রতি মাসে একশত টাকা দিয়ে কানেকশন করিয়ে নিলাম। এখানে আরো বড় সমস্যা। তারা ওয়াফাই এর পাওয়ারের লাইনটা যেখান থেকে দিয়েছিল সেখানের পয়েনটা একটু লুজ। যার কারনে যে কোন সময় রাউটারের পাওয়ার চলে যায়। তখন দরজায় নক করে বলতে হয়। এভাবে কয়দিন আর বলা যায়। তাই একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম নিজেই রাউটার কিনে ফেলবো। তারপর কিছুদিন পরে দুই হাজার টাকা দিয়ে TP-Link এর একটি রাউটার কিনে নিলাম। তারপর দুই বছর খুব আরামেই নেট চালিয়েছি।
মাঝে মাঝে TP-Link রাউটারে একটি প্রবেলেম হতো। আর সেটা হলো মাঝে মাঝে TP-Link রাউটার থেকে অটোমেটিক নেট কানেকশন ছেড়ে দেয়। তারপর অফ করে অন করলে আবার ঠিক হতো। গত জানুয়ারীতে মেস লাইফ ছেড়ে ফেমেলি বাসা নিলাম। সেখানে আগের রাউটার টি সেটিং করলাম। ছয় মাস ভালই চললো তেমন কোন প্রবলেম হয়নি। গত মাসে ঈদুল আজহার তিন দিন আগে ওয়াইফাই কাজ করছে না। কি হলো কিছুই বুঝতেছি না। ভাবলাম ওয়াইফাই লাইনে সমস্যা তাই তাদের লোককে ফোন করে বললাম। তাদের লোক এসে দেখে তাদের অফিস থেকে যে তার দিয়ে ওয়াইফাই কানেকশন দিয়েছিল সেই তার নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। তাদেরকে বললাম ভাইয়া তাহলে আপনাদের তার চেন্জ করে দেন। তারা বলে ভাই এখন আর এসব তার আমরা ব্যবহার করি না। আপনি বরং একটি ONU কিনে আনেন। আমরা আপনার কানেকশনটি ফাইবার করে দিবো। মনে মনে ভাবলাম দুইদিন পরে ঈদ। ঈদের পরে বাড়ি থেকে ঘুরে এসেই কিনবো।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে বাসায় এসে তো বিপদে পড়লাম। ওয়াইফাই কানেকশন নেই। মাথা নষ্ট হওয়ার অবস্থা। একবার কিনলাম রাউটার এখন আবার কিনতে হচ্ছে ONU...। কোন ব্যান্ডের ONU কিনা যায় সেটা নিয়ে গবেষণা শুরু করলাম। Huawei ব্যান্ডের ONU কিনার পক্ষেই সবাই মতামত দিলো। ONU কিনতে যাওয়ার পথে ওয়াইফাই অফিসে গেলাম তাদেরকে বলার জন্য যে আমি ONU আনতে যাচ্ছি। সন্ধার সময় ওয়াইফাই কানেকশনটা দিয়ে দিয়েন। তারা বলে আমাদের কাছেও ONU আছে। ইচ্ছা করলে নিতে পারেন। তারপর বের করে দেখালো তাদের কাছে DBC ব্যান্ডের ONU রয়েছে। তাদের ONU দেখে তারপরও মার্কেটে গেলাম যাচাই করতে।
মার্কেটে কোথাও Huawei ব্যান্ডের ONU পেলাম না। সব জাগায় DBC ব্যান্ডের। যায়হোক কয়েকটি দোকান ঘুরে আবার ওয়াইফাই অফিসে আসলাম। এখানে তারা আমার কাছে ১২৫০ টাকা চাইলো। কি আর করা অবশেষে টাকা দিয়ে বললাম কখন লাগিয়ে দিবেন। তারা বললো রাতে তো পারবো না দিনের বেলা গিয়ে লাগিয়ে দিয়ে আসবো। পরের দিন সব কিছু সেটিং করে ২০০ টাকা বকশিস দাবি করে চা পানি খাওয়া জন্য। কি মুশকিল শুধু টাকাই লাগতেছে। পরে একশো টাকা দিয়ে বিদায় করলাম। এখন আগের থেকে অনেক ভাল স্পিড পাচ্ছি। ব্যবহার করে ভালই মনে হচ্ছে।
বন্ধুরা আজকে নতুন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। আশা করে পজেটিভ নেগেটিভ কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। চার দিকে ডেঙ্গু বেড়েছে সবাই সতর্ক থাকবেন। যে কোন জিনিসের ক্ষেত্রে একটু যাচাই বাছাই করবেন। নিজের চারপাশ পরিষ্কার রাখবেন।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি 10C |
শিরোনাম | Wi-Fi সমস্যার সমাধান।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ,ঢাকা। |
তারিখ | ১৪-০৭-২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা এমন এক-যুগে বাস করি যেন আমাদের ফোন ছাড়া এক মিনিট ও চলে না। আর নেট না থাকলে শুধু আপনার নয় আমার মনে হয় সবারই দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা । যাইহোক অবশেষে আপনার ওয়াই ফাই ঠিক হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু এখন অনলাইন ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল। এতিম এতিম লাগে। অবশেষে নেটের সমস্যার সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
TP Link রাউটারে এ সমস্যাটি সবারই রয়েছে। আমার নিজের TP Link রাউটারে একই সমস্যা হয়েছিল। পরবর্তীতে আমি এ রাউটার পরিবর্তন করে Tenda রাউটার ব্যবহার করতেছি এখন। আপনি অনেক পরিশ্রম এবং অনেক টাকা খরচ করে আপনার Wi-Fi সমস্যার সমাধান করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু টিপি লিংক রাউটার অনেক প্রবলেম। শেষে অনো কিনে সমস্যার সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও বেশ কিছুদিন ধরে ওয়াইফাই-এর সমস্যায় ভুগেছি ভাই। শেষ পর্যন্ত মেকার দিয়ে সম্ভব হয়নি নিজেই সমাধান করেছি। আর বর্তমান এমন একটা সময় চলে এসেছে, আমরা যেন অনলাইন ছাড়া চলতে পারি না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া অবশেষে সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit