প্রথম ম্যাচে হেরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি শুরু করলো বাংলাদেশ।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সামনে একটি খেলাধুলা বিষয়ক ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।

আপনারা সবাই জানেন যে আমি খেলাধুলা একটু পছন্দ করি, খেলাধুলার খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করি। আপনারা সবাই জানেন যে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর শুরু হয়ে গেছে। এ বছর ৮ দলের মধ্যে এ গ্রুপে রয়েছে - বাংলাদেশ, পাকিস্তান ভারত এবং নিউজিল্যান্ড আর বি গ্রুপে রয়েছে - সাউথ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। অলরেডি তিন থেকে চারটি খেলা শেষ হয়ে গেছে। গত পরশুদিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার ম্যাচ। সে খেলাটি আমরা দারুন উপভোগ করেছিলাম। যদিও খেলাটিতে বাংলাদেশ হেরেছিল, তবে বাংলাদেশ মোটামুটি ভালই লড়াই করেছে।

screenshot from cricket hd

প্রথমে টেস্ট জিতে বাংলাদেশ ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠে নামে। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিং জুটিতে ছিল সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান। বাংলাদেশের কয়েকজন খেলোয়াড় খুবই বাজে খেলেছে, যাদেরকে দিয়ে বাংলাদেশ আশা করেছিলাম তারা সবাই বাংলাদেশকে হতাশ করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে সৌম্য সরকার, নাজমুল হাসান শান্ত, মেহেদী মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। তারা খুবই বাজে খেলেছে। তাদের কারো ব্যাটে তেমন কোনো রান আসে নাই। যার ফলে বাংলাদেশে প্রথম দিকে খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে।

কিন্তু মনে সাহস যুগিয়ে কিছুটা রান করেছিল তানজিদ হাসান। সে চারটি চারের বাউন্ডারি দিয়ে ২৫ বলে ২৫ রান সংগ্রহ করেছে। তবে তৌহিদ হৃদয় ও জাকের আলী দারুন একটি ইনিংস উপহার দিয়েছে। তাদের উপর ভর করে বাংলাদেশ দল লড়াই করার মত কিছুটা পুঁজি পেয়েছিল। ঐদিন হৃদয় ১১৮ বলে ১০০ রান তথা সেঞ্চুরি মেরে সাথে সাথে আউট হয়ে যায়। মোহাম্মদ সামি হৃদয়ের উইকেটটি নিয়েছিল। হৃদয় ছয়টি চার ও দুটি ছয় মেরেছিল। অন্যদিকে জাকের আলী ১১৪ বলে ৬৮ রান সংগ্রহ করে।

শেষের দিকে রিশাদ হাসান ১২ বলে ১৮ রান করার পরে আর কারো ব্যাটে তেমন রান আসে নাই। সব মিলিয়ে ৪৯.৪ বল মোকাবেলা করে দশ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।

screenshot from cricket hd

ইন্ডিয়ার পক্ষে ওপেনিং ব্যাট করে রোহিত শর্মা ও সাবমান গীল। তাদের এই ইনিংসটি তারা খুব সুন্দর ভাবে শুরু করেছিল। রোহিত শর্মা খুবই দায়িত্ববান খেলোয়ার। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলে, সে সাতটি চার মেরে ৪১ রান সংগ্রহ করে। বিরাট কোহেলি ৩৮ বলে ২২ রান, সেয়ার্স লায়ার ১৭ বলে ১৫ রান ও আক্সার প্যাটেল ১২ বলে ৮ রান করলে আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত।

তবে শক্ত হাতে দলের হাল ধরে রেখেছিল সাবমান গীল। সে ১২৯ বলে ১০১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল। তার ব্যাট থেকে নয়টি চার ও দুইটি ছয় দেখতে পাই। অপর পাশে ৪৭ বলে ৪১ রান করে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে দলকে জয়ের বন্ধরে পৌঁছে দিয়েছিল কে এল রাহুল। গিল আর রাহুল দুইজন মিলে খেলার সমাপ্তি ঘটিয়েছে।

screenshot from cricket hd

বাংলাদেশ দলের বোলিং বিবেচনা করলে তেমন কেউ বল হাতে কারিশমা দেখাতে পারে নাই। যেমনটা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে চাপের মধ্যে রেখেছিল মোহাম্মদ সামি। ইন্ডিয়ার পক্ষের দারুন একজন বোলার মোঃ সামি। সে একাই দশ ওভার বল করে ৫ উইকেট স্বীকার করেছিল। আর সামির বলে বাংলাদেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। দেখা যাক পরের খেলায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে কেমন লড়াই করে।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।