একটি ছোট শহরের কাহিনী। শহরের কেন্দ্রে ছিল একটি পুরনো বইয়ের দোকান। দোকানের মালিক ছিলেন একজন বৃদ্ধ, যিনি বইয়ের প্রতি বিশেষ প্রেমে ছিলেন। তাঁর দোকানে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসতেন, কিন্তু একজন তরুণী, সারা, ছিল বিশেষ।
সারা প্রতিদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে ওই দোকানে ঢুকতো। তার হাতে ছিল একটি পুঁথি, যেখানে সে কবিতা লিখতো। একদিন, সারা বইয়ের দোকানে ঢুকে দেখে এক নতুন বই এসেছে, যার নাম "প্রেমের রং"। সে বইটি নিল এবং সেখান থেকে অনেক নতুন কথা শিখলো।
দিনের পর দিন, সারা আর বৃদ্ধ দোকানির মধ্যে একটি বন্ধুত্ব তৈরি হলো। দোকানদার তাকে প্রতিদিন নতুন বই পড়ার জন্য সাজেস্ট করতেন, আর সারা তার কবিতা নিয়ে আলোচনা করতো। একদিন, সারা বললো, "আপনার মতো একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে আমার খুব ভালো লাগে।"
বৃদ্ধ হাসলেন এবং বললেন, "প্রেম কখনো বয়স দেখে না।"
সারা ভাবলো, প্রেম কি তবে এই বন্ধুত্বে লুকিয়ে আছে? কিছুদিন পর, সে উপলব্ধি করলো, তার হৃদয়ে একটি বিশেষ অনুভূতি জন্মেছে। কিন্তু সে জানতো, তাদের মধ্যে যে বয়সের ব্যবধান, সেটি কখনো কখনো প্রগাঢ় প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
একদিন, সারা সাহস করে বললো, "আমি আপনাকে ভালোবাসি।" বৃদ্ধ কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। তারপর বললেন, "আমি জানি, কিন্তু আমাদের গল্পটা আলাদা।"
সারা বুঝতে পারলো, প্রেমের অনেক রূপ হয়। তাদের বন্ধুত্বই ছিল এক সুন্দর প্রেমের গল্প। তাদের মাঝে যে গভীর ভালোবাসা ছিল, সেটাই তাদের একত্রে থাকার কারণ।
সারা বইয়ের দোকানে প্রতিদিন যেতো, বই পড়তো, কবিতা লিখতো, আর সেই বন্ধুত্বের কাহিনীকে ভালোবেসে চলতো। প্রেমের গল্প সবসময় রূপ বদলাতে পারে, কিন্তু হৃদয়ের গভীরতা কখনো মিথ্যা হয় না।
