বাংলা নাটক রিভিউ || আজকের নাটক জামাই আদর ||১০% বেনিফিসিয়ারি shy-fox এর জন্য

💕আমার বাংলা ব্লগ।💖

হা_{ই, আমার বাংলা ব্লগ বাসি।}

আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশাকরি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমি একটি নতুন নাটকের রিভিউটি নিয়ে হাজির হলাম। নাটকটির নাম হচ্ছে জামাই আদর। নাটকটি একটি ভালোবাসার কমেডি নাটক। নাটকটি দেখে সত্যিই আমার খুব ভালো লেগেছে। নাটকটি দেখে আমি অনেক আনন্দ পেয়েছি। আশাকরি আপনাদের ওই নাটকটা খুব ভালো লাগবে। আশা করি নাটকটি আপনাদেরও ভালো লাগবে। এই নাটকটি গোল্লাছুট এর তৈরি ভাইসব প্রোডাকশন নির্মিত নাটক। এই নাটকটি হাসিব হোসেন রাফি এর ডিরেকশন এ নির্মিত হয়েছে।

নাটকটির ঘটনা বর্ণনাঃ

নাটকটি একটি ঘটনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। যেখানে দেখা যায় একটি লোক সকালবেলা রাস্তায় জগিং করতে বেরিয়েছিল। রাস্তায় একজন বোবা মানুষ লোকটিকে আটকিয়ে জগিং করার লোকটির কাপ পরনের কাপড় নিতে চাচ্ছিল। কিন্তু এই লোকটি কিছুই বুঝতে পারছিল না যে প্রভা লোকটি তার কাছে থেকে কি চাচ্ছে। পাশ থেকে আরেকজন লোক এসে ওই লোকটিকে বলছিল যে বালকটি আপনার কাছ থেকে কি চাচ্ছে তা আপনি দিচ্ছেন না কেন? উত্তর বলে, আমি কিছু বুঝতে পারছিনা। পরে অন্য লোকটি ধমক দিয়ে বলে, সে আপনার কাছ থেকে আপনার পরনের টি-শার্ট চাচ্ছে। পরে জগিং করা লোকটি দ্বিতীয় সম্মত হলে অন্য লোকের ধমকে সে দিতে বাধ্য হয়। কিন্তু পরে আবার সে পরনের প্যান্ট চেয়ে বসে।

এখানেই শুরু হয় মূল ঝামেলা। সে তার প্যান্ট কোনমতেই খুলবে না এবং দিবেওনা। অন্যদের থেকে আরেকজন লোক এসে এই দুইজন লোকের হাত থেকে ওই অসহায় লোকটিকে বাঁচিয়ে দিল। কিন্তু যাবার সময় অন্য লোকগুলো একটু ধমক দিয়ে গেল।

এই ধমকের জেরি সে দাবি করে বসে সে এখন কি করবে। কারণ হিসেবে বলে যে ওই লোক গুলো মনের সন্ত্রাসী লোক গুলো তাকে ছাড়বে না। এটা শুনে সহজ সরল জগিং করা লোকটি বিভিন্ন বুদ্ধি দিতে থাকে। কিন্তু কোনো মধ্যেই এই নাটকের এই অন্য লোককে মেনে নিচ্ছে না কারণ সেতো চাচ্ছিল সে তার বাড়িতে গিয়ে উঠবে।

শেষমেষ এই নাটকের নায়িকা রোজির বাবা হৃদয়কে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বাড়িতে গিয়ে হৃদয় কে দেখে রোজি ইতস্তত হয়। সে তো কোনমতেই হৃদয়কে তার বাড়িতে থাকতে দেবেনা তাই সে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রোজির বাবা ছেলেটিকে তার ছোট ছেলের টিউটর হিসেবেই তার বাড়িতে থাকতে দিল।

এবারের প্রতি তার বন্ধুকে ফোন করে বলে যে, উৎপাত হৃদয় তার বাড়িতে এসে হাজির হয়েছে এখনো পার্মানেন্টলি থাকার ব্যবস্থা করে ফেলেছে। এমন সময়ে হৃদয়ে এসে হাজির হয়েছে সুরোজিত রীতিমতো বিরক্ত। রোজি তার বাবাকে সব কিছু খুলে বলতে চায় এমন সময়ে হৃদয় তাকে ভিডিও দেখে তাকে দমিয়ে রাখে।

হৃদয় এখানে রোজির ও তার একদিনে কথোপকথন ভিডিও করে রাখে। যেখানে দেখা যায় রযু তাকে গত তিন বছর ধরে শর্তের পর শর্ত দিয়ে গেছে ভালোবাসায় রাজি হবে বলে। কিন্তু হৃদয়ের সব শর্ত পূরণ করলেও যে কোনভাবেই হৃদয়ের ভালোবাসা সারা দেয় না। এদিকে প্ল্যান করছে হৃদয়কে বাড়িতে থাকে করে দেয়ার জন্য।

এবারের রোজি তার প্লান মত তার ছোট ভাইকে দিয়ে দেখে তাড়ানোর ব্যবস্থা করেছে। সে তার ছোট ভাইকে বলতেছিল যে, যখন তোর ওই ছাড়ে সে তোমাকে পোড়াবে তখন তুই না পড়ে শুধু কান্দে আর কান্দে। আর বাবার সামনে ভুল বুঝেছে শুধু তোমাকে মারে আর মারে পড়া বুঝাতে পারেনা। কোনভাবে হৃদয়ে কথাটি শুনতে পারে।

হৃদয় এবারে কিভাবে বাচা যায় সেই প্রাণ খুঁজে বের করে। এমন সময় দেখতে পাই রোজির ছোট ভাই অন্য একটি মেয়ের সাথে টাংকি মারছে। বিদেশি ভিডিও তার মোবাইলে ধারন করে। এবং এটা নিয়েই সে তার ছোট ভাইকে নিয়ে আসে। এভাবে হৃদয় রোজের প্রাণকে ভেস্তে দেয়।

রোজী আবার প্লান মতো হৃদয়ের বিছানায় উল্টাপাল্টা কিছু ছিটিয়ে দেয়। যার কারণে হৃদয়ের গায়ে চুলকানি উঠে। কিন্তু এতেও হৃদয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় নি। রোজি আবারও নতুন একটি প্লান করে খাবারের সাথে হৃদয়কে কিছু খাইয়ে বাড়ি থেকে বের করা চিন্তা করে। এবং এটাও হৃদয় শুনতে পারে এবং সেই প্রান্তীয় রোজী ভেঙ্গে যায়।

রোজী এবার চিন্তা করি কিভাবে যেতে হবে বাড়ি থেকে বের করা যায়। এবার সে রিদয় ও তার ওই প্রথমে যে দুজন লোক রোজী বাবাকে বিরক্ত করেছিল তাদের সাথে হৃদয়কে দেখতে পায় ও ছবি তুলে। এবং এই ছবিটা রোজী তার বাবাকে দেখায় এবং বলে যে এটা ছিল হৃদয়ের একটি প্লান। কিন্তু হৃদয় এটাতেও রোজের বাবাকে এদিক সেদিক ম্যানেজ করে ফেলে।

রোজী এবার হৃদয়ের মাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং হৃদয় এটা দেখে চমকে যায় ও তার মাকে বলে যে তুমি কেন এখানে এসেছ। হৃদয়ে এখানে রীতিমতো মতো অস্বস্তি বোধ করে এবং ভাবে যে এবার তার সব প্লান ভেস্তে যাবে।

এরপর দেখা যায় রোজি ও হৃদয়ের মা তারা দুজনেই ছোট কালের বান্ধবী এবং হৃদয় এতে খুশি হয়। কিন্তু তারপরেও সেভাবে যাচ্ছে তার প্লান আর সাকসেস হবে না। এরপর হৃদয় বিভিন্নভাবে রোজীকে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং রোজী বলে যে তোমার মাকে আনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তুমি শুধু প্রাণ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছ কিন্তু মূল কাজের কথা কিছুই বলতেছ না তাই আমি আন্টিকে নিয়ে আসছি আমাদের বিয়ের কথা বলতে। আর এটা শুনে হৃদয় খুশি হয়ে যায়। এখানে নাটকের সমাপ্তি ঘটে।

প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী

বিভাগ	বিবরণ
নাটকের নাম	জামাই আদর
রচনা	অনামিকা মন্ডল।
ডিরেক্টর	হাসিব হোসেন রাফি
অভিনয়ে	নিলয় আলমগীর, সারিকা সাভা, আব্দুল্লাহ রানা, মৌশিখা ও আরো অনেকে
নিবেদন	আফি
প্রোডাকশন ও পরিবেশনা	গোল্লাছুট

বন্ধুগণ এতক্ষণ আমার জামাই আদর নাটক রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আমার নাটকের রিভিউ আপনাদের ভাল লেগেছে। আশা করি আপনারা সকলে আজকে জামাই আদর নাটক দেখবেন এবং উপভোগ করবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও কমেন্ট করে পাশে থাকবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার নাটকের রিভিউ পোস্ট এখানে শেষ করছি।