মোবাইল ফোন মানুষের জীবনে আশীর্বাদ না অভিশাপ? একটি প্রতিবেদন।

in hive-129948 •  2 months ago 

মোবাইল ফোন - আশীর্বাদ না অভিশাপ?

💮💮💮💮💮💮💮💮💮


train-track-2507499_1280.jpg
সোর্স


🙏 নতুন বছরের শুভেচ্ছা 🙏


আজ যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে চলেছি তা সমাজে এক গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে এটি ড্রাগের নেশার থেকেও ভয়ংকর। আমি আপনাদের সামনে বর্তমান প্রজন্মের মোবাইল ফোনের প্রতি নেশা নিয়ে কথা বলব। মোবাইল ফোন এখন আর শুধু মোবাইল ফোনের জায়গায় নেই। বর্তমানে এটি সমস্ত কাজের সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর ভালো এবং মন্দ উভয় ব্যবহারে এই ডিভাইসটিকে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু বর্তমান যুগে নবীন প্রজন্মের কাছে এই যন্ত্রটি যেন সবথেকে ভালো বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু মোবাইল ফোনের প্রতি নেশা কিভাবে একটি প্রজন্মকে শেষ করছে তা আমরা কখনো ভেবে দেখেছি কি?

বহুবছর বিদ্যালয় কাজ করার সুবাদে চোখের সামনে থেকে এমন কিছু ঘটনা দেখেছি যা শিহরিত করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। একে আমরা কয়েকটি বছর সম্পূর্ণ ঘরে বসে কাটিয়েছি লকডাউন পরিবেশ। করোনা ভাইরাস যখন পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল, তখন আমরা সমস্ত কাজ ফেলে শুধু ঘরে বসে গেছিলাম। আর সেই সময়টা নবীন প্রজন্মের কাছে একটি অভিশাপের মত হয়ে উঠেছিল। হয়তো তারা ঘরে বসে সমস্ত স্কুল কলেজ বা পড়াশোনা ছেড়ে আনন্দে দিন যাপন করেছিল। কিন্তু ভেতরে ভেতরে একটি প্রজন্মের যে অভিশাপ তখন থেকে বহন করা শুরু হয়েছে তা আজও অব্যাহত। আমরা সেই পরিবেশ থেকে আজও নিজেদেরকে সম্পূর্ণভাবে বের করে উঠতে পারিনি। আর সেই সময় থেকেই নবীন প্রজন্মের মধ্যে মোবাইল এর ব্যবহার ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি হয়। তারপর পড়াশুনায় বা অন্যান্য কাজে মন বসানো তাদের পক্ষে এখনো পর্যন্ত ঠিক মত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মোবাইলের মারণ নেশা তাদের বিভিন্ন কাজ থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। পড়াশোনায় সময় দেওয়া বা ঘরে বসে বাবা-মায়ের সঙ্গে দুটি কথা বলা তো দূরস্থ, তারা এখন বন্ধুদের সঙ্গেও ঠিকমতো মিশতে পারছে না। সৌজন্যে সেই মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের গেম এবং অ্যাপ যেভাবে ধীরে ধীরে মানুষের মগজটাকে যন্ত্রে পরিণত করছে তা অদূর ভবিষ্যতে এক ভয়াবহ দিনের সূচনা করছে, সে কথা মেনে নিতে কোন অসুবিধা নেই। আজ দুজন বন্ধু একসাথে গল্প করতে বসলেও তারা ব্যস্ত থাকে মোবাইলের মধ্যে। সেখান থেকে বেরিয়ে তাদের অবচেতন মন কখনোই মিশতে পারছে না একটি স্বাভাবিক সম্পর্কের মধ্যে। এই বিবর্তন মানুষের জীবনে যে কিভাবে ক্ষতির সঞ্চার করছে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন।

smartphone-1184883_1280.webp
সোর্স

বর্তমান যুগে একটি শিশুর কাছে মোবাইল ফোন অত্যাবশ্যক একটি যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। একেবারে খাদ্য বস্ত্র ও বাসস্থানের মত যদি আমরা তাকে যদি একদিন মোবাইল না দিই, তবে সে ড্রাগের নেশার মত ছটফট করছে প্রতিনিয়ত। এর থেকে কি প্রমাণিত হচ্ছে? ছোটবেলায় আমরা একটি প্রবাদ পড়েছি। বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ? বন্দুক বা বোমা আবিষ্কার হয়েছিল আত্মরক্ষার জন্য। কিন্তু এখন সেটি কি কাজে ব্যবহৃত হয়? বন্দুক দিয়ে অবাধে মানুষ খুন করা হয়। আর বোমা দিয়ে দেশের উপর অযথা আক্রমণ করা হয়। তবে বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ এই তর্কের সত্যিই কি অবসান আছে? মোবাইল ফোন বর্তমানে তেমনই একটি যন্ত্রে পরিণত। এটি আসলে তৈরি হয়েছিল মানুষের সুবিধার জন্য। সমস্ত কাজকে একত্রে একটি যন্ত্রের মধ্যে নিয়ে আসার কারণে এই যুগান্তকারী আবিষ্কার একটি নতুন যুগের সূচনা ঘটিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে নবীন সমাজের কাছে এই যন্ত্র যে পরিমাণ ক্ষয়ের সূচনা করেছে, তা সত্যিই বর্তমানে একটি ভাববার বিষয়। মোবাইল ফোনে অবাধে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট যেভাবে খোলা যায়, সেখান থেকে বহুল পরিমাণে মূল্যবোধের অভাব ও অপরাধপ্রবণতা সৃষ্টি হচ্ছে নবীন মনের মধ্যে। আর তার থেকেই সমাজের আজকের অবক্ষয়। সামাজিক মূল্যবোধগুলি বর্তমানে প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যা এবং সম্পর্কজনিত ক্ষয়ক্ষতি।

এছাড়া সবশেষে শারীরিক সমস্যার কথা তো বলতেই হয়। মোবাইল ফোনের ব্যবহার থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যার সূত্রপাত হচ্ছে। মানসিক সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে এইসব শারীরিক সমস্যা বিভিন্নভাবে মানবসমাজে ছেয়ে যাচ্ছে। আর তার থেকেই বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক তীব্র প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।

এই সমস্ত সমস্যার মূল কারণ মোবাইল ফোন। যদিও মোবাইল ফোনের ব্যবহার আসলে সুবিধার জন্যই প্রচলিত হয়েছিল। কিন্তু আমরা কতটা তাকে ভালো কাজে লাগাতে পারছি সেটা নিয়ে পর্যালোচনা প্রয়োজন। মোবাইল ফোনের ব্যবহারে যদি লাগাম না টানা যায়, তবে একটি প্রজন্ম ধীরে ধীরে অতল গহ্বরের দিকে তলিয়ে যাবে। তখন আর সমাজের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। স্বাভাবিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এখন মানবজাতির কাছে এক চ্যালেঞ্জের সমতুল্য হয়ে গেছে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জটা আমাদের নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে ছাত্র সমাজের মধ্যে এই বক্তব্য যদি ছড়িয়ে না দেওয়া যায়, তবে অচিরেই আমাদের সামনে এক কালো অধ্যায় হাজির হবে। আর আমরা সেই প্রজন্মকে সেই অন্ধকূপ থেকে টেনে বের করতে পারবো না।

সকলের কাছে আর্জি রইল একটু ভেবে দেখার। আপনার সন্তানের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করুন। ছেলেবেলা থেকেই যদি এই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হয় তবে ভবিষ্যতে এটি ড্রাগের নেশার থেকেও ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে পড়াশোনা থেকে শুরু করে সুস্থ স্বাভাবিক ব্যবহারে তার পরিবর্তন আসা খুবই স্বাভাবিক। আমার পোস্ট যদি যথাসঙ্গত এবং প্রাসঙ্গিক মনে হয় তবে অবশ্যই মন্তব্য এবং রিপোস্টের মাধ্যমে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন।


🙏 ধন্যবাদ 🙏


(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)



1720541518267-removebg-preview.png

Onulipi_07_27_10_21_22.jpg


Yellow Modern Cryptocurrency Instagram Post_20240905_213048_0000.png

new.gif

1720541518267-removebg-preview.png


--লেখক পরিচিতি--

IMG_20240303_181107_644.jpg

কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।

Drawing_11.png

44902cc6212c4d5b.png

First_Memecoin_On_Steemit_Platform.png

hjh.png


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Daily tasks-

Screenshot_20250105-124047.jpgScreenshot_20250105-124014.jpgScreenshot_20250103-204516.jpgScreenshot_20250105-124309.jpg

বর্তমানে বাড়ির সন্তানরা যারা মোবাইলের প্রতি নেশাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে তার জন্য কেবলমাত্র বাবা-মাই দায়ী। মোবাইলটা যে কাজের জিনিস তা বাচ্চাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া এবং বাচ্চার সামনে নিজে থেকে এন্টারটেইনমেন্ট গুলো মোবাইলে না করাই বাঞ্ছনীয়। অনেক বাবা মা এই বর্তমানে নিজেরা সারাদিন মোবাইলে বুঁদ হয়ে বসে থাকে। তাই প্রজন্ম নষ্টের জন্য বিজ্ঞান কতখানি দায়ী তার থেকেও বড় কথা আমাদের সংযম কতখানি দায়ী সেই দিকে আলোকপাত করা। খুব সুন্দর আলোচনা করেছো।

একদম ঠিক কথা। মোবাইল ফোনটিকে কাজের হিসেবে ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা গুলিকে এড়ানো অনেকটা সুবিধা হয়ে যায়। শিশুদের থেকে মোবাইল ফোন দূরে রাখাই ভালো।

মোবাইল ফোন নিয়ে দারুণ আলোচনা করেছেন দাদা।আমার কাছে তো মনে হয় এটি একই মুদ্রার এপিট ওপিট।বন্ধু হিসেবে নিলে বন্ধু আবার অন্যভাবে নিলে তা নেশা।বর্তমান প্রজন্ম যদিও সেই নেশারই ঘোরে, তাই বাচ্চাদের থেকে মোবাইল ফোন দূরে রাখাই শ্রেয়।ধন্যবাদ দাদা।

একদম ঠিক কথা বলেছো বোন। যে কোন জিনিসের ভালো দিকটা যদি আমরা দেখাতে পারি তবে খারাপ দিকটা অনেকটা পিছন দিকে থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।

দাদা আজ আপনি খুবই বাস্তবসম্মত একটি টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যা সম্পূর্ণ পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আসলে বর্তমানে মোবাইল কিন্তু আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি সামগ্রীতে পরিনিত হয়েছে। বা আপনি মৌলিক চাহিদারও একটি অংশ বলতে পারেন। তবে করোণা পরবর্তী সময় এটা এমনভাবে বিরূপ প্রতিক্রিয়াতে দাঁড়িয়েছে যা এখন একটি প্রজন্মকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। যদিও এই ধ্বংসের জন্য অনেক পিতা-মাতাও দায়ী।আপনি হয়তো জানবেন আমরা যখন আগে ছোট ছিলাম তখন একটু রিলাক্স হলেই একে অপরের সাথে কুশলাদি বিনিময় করতাম। আর এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে এমন কি যে কোন প্রতিষ্ঠানে একটু রিলাক্স হলেই হাতে মোবাইল । আমরা যারা বড় আছি আমাদের হাতে এখনো সময় আছে মোবাইলটাকে নেশার মত ব্যবহার না করে ভালো কাজে ব্যবহার করার জন্য ছোটদেরকে উৎসাহিত করতে হবে । সবশেষে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার অত্যন্ত সচেতন মূলক একটি টপিক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দারুন প্রাসঙ্গিক একটি কমেন্ট করে পোষ্টের মান বাড়িয়ে দিলেন। পিতা মাতারাই দায়ী বর্তমানে এই পরিস্থিতির জন্য। দারুন সুন্দর মন্তব্যটি করবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

মোবাইল অবশ‍্যই একটা অতিব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের জন্য। তবে ইদানিং অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েরা যেভাবে এই মোবাইলে আসক্ত হয়ে গিয়েছে এটা বেশ ভয়ের কারণ। তারা যেন মোবাইল ছাড়া কিছু বোঝে না। আমি নিজেও প্রত‍্যক্ষভাবে এমন কিছু ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছি।।

ঠিকই বলেছেন ভাই। অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস বর্তমান প্রজন্মের হাতে পড়ে খারাপ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর সেটিকে এত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ করা উচিত। সমাজের জন্য সেটাই হয়তো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।

বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারে না। আসলে মোবাইল এখন আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। মোবাইল কিন্তু সত্যিই বেশ জরুরী একটি জিনিস। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ মোবাইলে একেবারেই আসক্ত হয়ে যায়। এটা মোটেই উচিত নয়। বিশেষ করে উঠতি বয়সের অনেক যুবক যুবতীরা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি।

আপনি ঠিক বলেছেন ভাই। মোবাইল কাজের জন্য ব্যবহার করাই ভালো। এর প্রতি আসক্তি এসে গেলে তা ভীষণ ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকলেন বলে ধন্যবাদ।