আশাকরি সকলেই সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন। সেই সাথে আশা করি আপনারা যেখানেই থাকুন না কেন পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বান্দরবান শহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৈনিক সমাবেশের কিছু স্থিরচিত্র দেখাবো যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল এবং আমার শৈশবের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বর্তমান সময়ে আমি বান্দরবান শহরে বান্দরবান শহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণের জন্য কিছুদিন ক্লাস নিচ্ছি। আমরা আট জন প্রশিক্ষণার্থী সেখানে ক্লাস পর্যবেক্ষণ এবং ক্লাস নিচ্ছি এবং সেই কারণে দৈনিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করে তাদের দৈনিক সমাবেশ উপভোগ করছি। দৈনিক সমাবেশের এই মুহূর্তটি সত্যিই অসাধারণ দেখায়। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সারিবদ্ধ ভাবে এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রয়াস যোগায়। যা খুবই মনমুগ্ধকর। বিশেষ করে ছোট ছোট বাচ্চারা যখন সকলের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের দৈনিক সমাবেশ করে থাকে তখন এই দৃশ্যগুলো আসলেই খুব ভালো লাগে। এই দৃশ্যগুলো দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। কারণ আমরাও এক সময় এরকম দৈনিক সমাবেশ করতাম। যদিও গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করার কারণে সেখানে দৈনিক সমাবেশ ততটা ভালো মানের ছিল না এবং সবসময় ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু শহরের প্রতিটি স্কুলে দৈনিক সমাবেশ দৃষ্টিনন্দিত এবং চোখে পড়ার মতো।
সকালে এসে প্রথমেই বাচ্চারা লাইনে দাঁড়িয়ে যায়। তারপর বিভিন্ন নির্দেশনা তথা শারীরিক কমান্ডের মাধ্যমে আরামে দাঁড়ানো কিংবা সোজা হয়ে দাঁড়ানোর দৃশ্যটিও একসাথে করার কারণে খুব সুন্দর দেখায়। অবশ্য এখানের বাচ্চারা অনেক চটপটে। যার কারণে তাদের কমান্ড এবং নির্দেশনাগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। তারপর একসাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা সত্যিই অসাধারণ। এখানে যতজন অভিভাবক কিংবা শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রী আছে সকলেই আমরা সম্মিলিতভাবে উচ্চস্বরে জাতীয় সংগীত গেয়ে থাকি। এছাড়াও সাউন্ড বক্স এর মাধ্যমে স্পিকারে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় যেন ছোট ছোট বাচ্চারা এই স্পিকারে বাজানো জাতীয় সংগীতের সাথে তাল মিলিয়ে গাইতে পারে।
তারপর শপথ বাক্য পাঠ। এটিও সম্মিলিতভাবে বলার কারনে আশেপাশের পরিবেশটা অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। যাই হোক ছোটবেলা যখন আমরা লাইনে দাঁড়াতাম তখন অনেক সময় শিক্ষকরা লাইন সোজা করার জন্য সকলকে বেত দিয়ে পিটাতেন এবং আমরা যারা ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করতাম কিংবা ক্লাসে লুকিয়ে থাকতাম তাদেরকে বের করে আনতেন। বিশেষ করে রোদে দাঁড়ানোর কারনে অনেক সময়ই ফাঁকি দিতাম এবং ইচ্ছে করে বিলম্ব করে বিদ্যালয়ে যেতাম। এগুলো কেবলই স্মৃতি এবং আনন্দের স্মৃতিচারণা। কিছুদিন আগে যখন দাঁড়িয়ে ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে এরকম দৃশ্য উপভোগ করছিলাম তখন বেশ ভালো লেগেছিল এবং এখন যখন লিখছিলাম তখন অতীতের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল।
ছবির ধরন | দৈনিক সমাবেশের কিছু ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইসের নাম | স্যামসাং গ্যালাক্সি জে ৭ |
ফোকাস দূরত্ব | ৩.৬ মি.মি. |
ফটো লোকেশন | বান্দরবান শহর |
লোকেশন | W3W লোকেশন |
ফটোগ্রাফার | kawsar8035 |
আমি মোঃ কাউছার হাসান। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশী নাগরিক। তাই নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি। কেননা এদেশের প্রকৃতির মাঝে আমার বেড়ে ওঠা এবং এদেশের বুকে আমার বসবাস। পেশায় একজন শিক্ষক। সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পাই এবং সেইসাথে প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করার মাধ্যমে নিজেকে খুঁজে পাই।
জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন ছবিগুলো দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। অবশ্য ছোটবেলা কেন গত চার বছর আগেও আমি এগুলো করেছিলাম। ক্লাস টেনে ওঠার পরে আমাদেরকে পিটি করানো হতো। আপনি ঠিকই বলেছেন শপথবাক্য পাঠের সময় চারদিকের পরিবেশ টা অন্য রকম লাগতো। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি যেন ছোটবেলার সমাবেশের স্মৃতিগুলো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। এমনিতেই তো মাঝে মাঝে ছোটবেলার বিভিন্ন স্মৃতি আবেগপ্রবণ করে তোলে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্ট পড়ে এবং ছবিগুলো দেখে সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল ।দশটার সময় এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাইতাম তারপর পিটি করতাম ।আসলে দিনগুলো অনেক ভালো ছিল ।এখনো মিস করি । ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট ভালো থাকবেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit