আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২রা ফাল্গুন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
রানীর জীবনের ঘটনা নিয়ে অলরেডি আপনাদের সাথে তিনটি পর্ব শেয়ার করেছি সেই ধারাবাহিকতায় আজকে চতুর্থ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। ছেলে পক্ষ যখন রানীর বাবার কাছে যৌতুকের বিষয়টি খুলে বলে তখন রানের বাবা যে করেই হোক টাকা জোগাড় করে এই ছেলের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের কথা চিন্তা করে। কিন্তু রানী যখন জানতে পারলো তার বিয়েতে অর্থ আদান-প্রদান হবে তখন রানী এই বিয়েতে অমত প্রকাশ করে। রানী চায় না সে তার বাবা এবং ভাইদের কাছে বোঝা হয়ে থাকুক কেননা তার বিয়ের সময় যদি বেশ কিছু টাকা যৌতুকের জন্য দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে অনেকটাই তার বাবা এবং ভাইদের কাছে নিজেকে বোঝা মনে করবে।
এক পর্যায়ে যখন যৌতুকের বিষয়টি পুরোপুরি রানীর পরিবার না করে দেয় তখন ছেলেপক্ষ বিয়ে করতে অস্বীকার করে কিন্তু ছেলেটি যথেষ্ট ভদ্র। ভালো চাকরি করে এবং শিক্ষিত সে পুরো বিষয়টা বুঝলেও কিছু বলতে পারেনা কারণ ছোট থেকেই ছেলেটি তার পরিবারের সবাইকে যথেষ্ট সম্মান করে আসছে যার কারণে তাদের উপেক্ষা করে কোন কথা বলবে এমন বেয়াদবি সে করতে চাইছে না। কিন্তু রানীর বাবার মাধ্যমে যখন ছেলেটি জানতে পারলো যৌতুক না দেওয়ার প্রথম বাধা রানী নিজেই তখন ছেলেটি বুঝতে পারল আসলে এই মেয়েটির মন মানসিকতা অনেক ভালো। যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া কতটা অপরাধ সেটা সবাই জানে কিন্তু অনেকেই নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য যৌতুক প্রথা সচল রাখার চেষ্টা করে। ছেলেটি বুঝতে পারল আর আমি মেয়েটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে সেই সাথে তার মন মানসিকতা অনেক উদার।
ছেলেটি মনে মনে চিন্তা করছিল মেয়ে পক্ষ থেকে সবাই যৌতুক দিতে রাজি হয়েছিল কিন্তু হঠাৎ রানী কেন যৌতুক প্রথার বিপরীতে গিয়ে তার পরিবারের সবাইকে যৌতুক দিতে বারণ করল এবং তারা যৌতুক চেয়েছে বলে রানী এখানে বিয়েই করবে না। কিন্তু রানীর বাবা বুঝতে পারল এই পরিবারের ছেলেটা অনেক ভদ্র তাই ছেলে পর্যন্ত গিয়ে পুরো বিষয়টা খুলে বলল আর তাতেই ছেলেটি আরো খুশি হয়ে গেল। ছেলেটি চিঠির মাধ্যমে রানীর সাথে যোগাযোগ করল। পরবর্তীতে যখন ছেলেটি রানীর পাঠানো চিঠি পড়ল তখন পুরোপুরি প্রাণীর সম্পর্কে জানতে পারল। ছেলেটি একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিল সে রানীকেই বিয়ে করবে। কিন্তু ছেলেটি তার পরিবারের লোকজনের মুখের উপরে না করতে পারছে না তার বাবা-মা যেটা বলছে সেটা চোখ কান বন্ধ করে শুনছে কিন্তু কোন সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। অন্যদিকে রানীর বাড়ি থেকে প্রথম দিকে যৌতুক দিতে রাজি হলেও পরবর্তীতে যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় রানীর সাথে বিয়ের কথাও তার বাড়িতে বা তার বাবা-মায়ের কাছে বলতে পারছে না।
ছেলেটি যথেষ্ট উচ্চ শিক্ষিত হলেও মন মানসিকতার দিক থেকে ছিল খুব নরম শরম। পরবর্তীতে যখন রানী চিঠির মাধ্যমে ছেলেটিকে তার নিজের স্বাধীনতা সম্পর্কে সবকিছু বলার মতো সাহস যোগানো তখন ছেলেটি বুঝতে পারল আসলে আমার বাড়িতে আমার পছন্দের কথা জানানো উচিত। ছেলেটি সিদ্ধান্ত নিল সরাসরি তার বাবা-মায়ের কাছে তার নিজের কথাগুলো বলতে না পারলেও চিঠির মাধ্যমে কথাগুলো পৌঁছে দেয়া সম্ভব। ছেলেটি সিদ্ধান্ত নিল তার বাবা-মায়ের কাছে চিঠি লিখবে এবং চিঠিতে তার মনের কথা প্রকাশ করবে। ছেলেটির পরিবার থেকে নতুন করে কোথাও মেয়ে দেখার পূর্বেই ছেলেটি চিঠিদের মাধ্যমে তার মনের কথাটা প্রকাশ করে দিল। রানীকে তার অনেক পছন্দ হয়েছে সেই সাথে রানীর মন-মানসিকতা তার খুবই ভালো লেগেছে সেটা চিঠির মধ্যে উল্লেখ করে দিল।
ছেলেটির বাড়িতে যখন চিঠি এসে পৌঁছালো তখন চিঠির বাক্য গুলো পড়ার পরে তার বাবা-মা সহ পরিবারের সবাই বেশ রেগে গেল। ছেলেটির দাদি চিৎকার করে বলতে থাকলো আমার নাতি ছেলে একদম কাদা মাটির মত তাকে রানীর বাড়ির লোকজন কুবুদ্ধি দিয়েছে। ঠিক তার দুইদিন পরে আবারো আরেকটি চিঠি আসলো যে চিঠিতে ছেলেটি উল্লেখ করেছিল যে আমি বড় একটি চাকরি করি এখন আমি যদি যৌতুকপ্রথা অনুযায়ী বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি থেকে অর্থ নিয়ে আসি সেক্ষেত্রে আমি যেখানে চাকরি করি সেখানে আর কোন মূল্যায়ন পাবো না। এখন তোমরা যদি চিন্তা করো যে আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুক নিয়ে এসে যেখানে চাকরি করি সেখানে আজীবন ছোট হয়ে থাকি সে ক্ষেত্রে তোমাদের কথামতো আমি বিয়ে করবো। আর তোমরা যদি চাও আমি যেখানে চাকরি করি সেখানে আমি আমার যোগ্যতা অনুযায়ী চলি সেক্ষেত্রে আমাকে তোমরা যৌতুক নিতে বাধ্য করো না।
(..........চলবে)
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit