আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১লা অগ্রহায়ণ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | হেমন্ত-কাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
পোস্টের টাইটেল পড়ে অদ্ভুত লাগছে তাই না?? সবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে একজন মানুষ যদি কোন কাজে থাকে তাহলে সে ব্যস্ত থাকতে পারে কিন্তু কোন কাজ ছাড়া একজন মানুষ কিভাবে ব্যস্ত হতে পারে?? হ্যাঁ একজন মানুষ কাজ ছাড়াও ব্যস্ত থাকতে পারে যেমনটা আজকে সারাদিন আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। সকাল ১১ টার আগেই আমি রাহুল রাজু আর ভাই একসাথে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই মূলত রাহুল কুষ্টিয়া যাবে তার বাইকের কিছু কাজ করাবে আর ভাই কুষ্টিয়া যাবে একটা সাইকেল কেনার জন্য। কিন্তু আমার আর রাজুর তেমন কোন কাজ নেই আমি আর রাজু আমার বাইকে রাহুল আর ভাইয়া রাহুলের বাইকে। আমি বাড়িতে একটা কাজ করছিলাম রাহুল আর ভাই ফোন করে বলার পরে আমি আর না করতে পারলাম না তাই যেতে রাজি হয়ে গেলাম। সকাল সকাল রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম অলরেডি আমি অনেক দেরি করে ফেলেছি।
বাইক নিয়ে সোজা বাজারে গেলাম গিয়ে দেখলাম রাহুল আর রাজু আমার জন্য বসে আছে যাইহোক সবাই একসাথে আবার কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। গিয়ে দেখলাম ভাই রেডি হয়ে আমাদের জন্য ওয়েট করছে যাই হোক বারোটার আগেই আমরা কুষ্টিয়া পৌঁছে গেলাম। রাহুলের বাইক সার্ভিসিং করানোর জন্য সোজা শোরুমে নিয়ে যাওয়া হলো। মূলত রতন মামার সাথে শোরুমের লোকজনের ভালো সম্পর্ক যার কারণে এখান থেকে বাইক সার্ভিসিং করানোর জন্য রাহুলকে পাঠিয়েছে। কিন্তু সার্ভিসিং এর যে ম্যানেজার সে এই দিনে ছুটিতে ছিল যার কারণে ভারপ্রাপ্ত যে নতুন লোক ছিল সে খুব একটা এই বিষয়ে অভিজ্ঞ না তাই আমাদেরকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারছিল না। রাহুল তখন চিন্তা করলো টাকা দিয়ে যেহেতু সার্ভিসিং করানো লাগবে সেহেতু আমি ঢাকা থেকে করাবো আরো ভালো সুবিধা পাব।
প্রথম আমার কথা অনুযায়ী সেখানে ভারপ্রাপ্ত যে লোকটি ছিল তার সাথে বিস্তারিত সবকিছু নিয়েই আলোচনা হল কোন বিষয় সার্ভিসিং করতে কি রকম টাকা খরচও হবে এ বিষয় নিয়েও কথা চলছিল। আশ্চর্যজনক বিষয় বাইকের ব্যাটারি চেঞ্জ করতে ৩৬০০ টাকা চেয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো বাইকের ব্যাটারির দাম ২০০০ টাকা হতে পারে কিন্তু এতটা বেশি হবে সেটা চিন্তা করিনি তাই রাহুল বলল সামান্য ব্যাটারি চেঞ্জ বাইরে থেকে করে নিব। বাইরে থেকে ভালো ব্র্যান্ডের ব্যাটারি কিনলেও তুলনামূলক অনেক কম দামে পাওয়া যায় তাই সেটাই আপাতত লাগিয়ে চালিয়ে নিব এটা বলে সেখান থেকে বাইক নিয়ে চলে আসলাম। আর সিদ্ধান্ত হল সব কাজ ঢাকা নিয়ে গিয়ে করানো হবে।
সেখান থেকে সবাই মিলে চলে আসলাম পাঁচ রাস্তার মোড়ে। এখানে এসে বাইকের নতুন একটা বাম্পারের জন্য খোঁজ করলাম আমার ছোট চাচার পরিচিত যে দোকান আছে সেখানে গিয়ে বাম্পারের জন্য খোঁজ করার পর তিনি আমাদেরকে সুন্দর একটা বাম্পার দেখালেন। রাহুলের গাড়ির নীল কালারের সাথে বাম্পারের কালার এটাও বেশ ম্যাচিং করেছিল সবারই মোটামুটি বেশ ভালোই পছন্দ হলো কিন্তু যখন ১৭৯০ টাকা দাম চাইলো তখন আর পছন্দের বিষয়টা বেশি সময় টিকলো না অর্থাৎ দামের সাথে পছন্দ মিলল না। তখন আমি রাহুলকে বললাম তুমি যেহেতু ঢাকা গিয়ে বাইকের কাজ করাবে তাহলে সবকিছু ঢাকা থেকে করানো ভালো তুলনামূলক অনেকটা কম খরচেই হয়ে যাবে আবার বিভিন্ন আইটেমের বিভিন্ন জিনিস পাবে তার মধ্যে থেকে পছন্দ করে ইচ্ছামত লাগিয়ে নিতে পারবে। রাহু তখন চিন্তা করে বলল আসলে বাইকের যেহেতু অনেক কাজ বাকি আছে তাই ঢাকা গিয়ে পর্যায়ক্রমে সবগুলো কাজ করে নিব এরকম হুটহাট করে আর কিছুই লাগাবো না। শুধু ব্যাটারিটা চেঞ্জ করলেই আপাতত চলবে।
আমরা আবার বড় বাজারের দিকে রওনা হলাম। মূলত বড় বাজারের মেইন রাস্তার অবস্থা আমাদের আগে থেকে জানা কারণ সেখানে দিনের বেলায় জ্যাম লেগেই থাকে যেতে অনেক সময় লাগে। বড়বাজার দিয়ে ঘুরে এসে আমাদেরকে সাইকেল কিনতে হবে তাই আমরা ভেতরের রাস্তা দিয়ে চলে এলাম অর্থাৎ বাইক নিয়ে শর্টকাট পথ অবলম্বন করলাম। যারা বাইক নিয়ে চলাচল করে তারা অবশ্য এই বিষয়টা ভালো জানে সব সময় শর্টকাট পথ অবলম্বন করলে অনেকটাই ভোগান্তি ছাড়া নির্দিষ্ট টার্গেটে পৌঁছানো যায় তাই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য শর্টকাট পথ অবলম্বন করে সাইকেলের শোরুমে চলে আসলাম। সেখানে এসে বেশ কয়েকটি সাইকেল দেখলাম তবে দুইটা সাইকেল পছন্দ হলো একটা দাম একটু বেশি চাইল আরেকটার দাম তুলনামূলক একটু কম। আমরা লোকটার সাথে দাম দর করে সাইকেলটা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
যে সাইকেলটা পছন্দ করলাম সেই সাইকেলটার দাম মোটেকালেও মুরুব্বি লোকটা কমানোর কথা বলছিল না। একপর্যায়ে আমরা যখন চলে আসবো তখন ২০০ টাকা কমানোর কথা বলল কিন্তু মাত্র ২০০ টাকা কমানো আমাদের কথা কাজের সাথে মিল হচ্ছিল না। তবে বুঝতে পারছিলাম হয়তো সাইকেলের দামটা এরকমই। দোকানের যে মেইন মালিক তিনি বিস্তারিত শোনার পরে আরো ১০০ টাকা কমানোর কথা বললেন তখন চিন্তা করে দেখলাম এনারা কুষ্টিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় দোকানদার আর এনারা যদি এই দামে সাইকেল দিতে না পারে তাহলে অন্য দোকানদাররা তো দিতে পারবে না। পরবর্তীতে কথাবাত্রা কমপ্লিট করে আমরা সাইকেলটা নিয়ে নিলাম আর টাকা পরিশোধ করে সাইকেল পাঠানোর জন্য একটি গাড়ি ঠিক করে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে আমরা সবাই বাইক নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মূলত প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল তাই দেরি না করে সোজা বাসায় চলে এসেছিলাম আর সাধারণত বাইরের খাবারটা খুব কম খাওয়া হয় তাই বাইরে থেকে আর খাওয়া হয়নি।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | নভেম্বর,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কাছ ছাড়া কেউ কখনো ব্যস্ত থাকে না আপনার ধারণার সাথে একমত নই।যে কোন কাজের মাধ্যমেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে মানুষ । আপনি বাড়িতে বসে মোবাইল চালানোর মাধ্যমেও ব্যস্ত সময় পার করতে পারেন সেটাও কিন্তু ব্যস্ততা। সেজন্য আপনার সাথে আমি একমত হতে পারিনি। যাই হোক কুষ্টিয়াতে নিজের ব্যক্তিগত কাজ বাদে বন্ধুদের সাথে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit