আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২১শে কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | হেমন্তকাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি মজার গল্প শেয়ার করব। সাধারণত বন্ধুদের সাথে মজার একটি গ্রুপ থাকে তবে আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ব্যতিক্রম শুধু বন্ধু নয় বন্ধু , বড় ভাই এবং মামাদের নিয়ে আমাদের মজার একটি গ্রুপ আছে যেটা বন্ধুদের চেয়েও অনেকটা ক্লোজ বলা চলে। সেই গ্রুপে আমরা প্রতিনিয়ত আড্ডা দেই আর আমাদের কাটানো মজার মুহূর্ত গুলো সেখানে শেয়ার করি। কারো বাড়িতে যদি স্পেশাল কিছু রান্না হয় বা কারোর কোন সমস্যা হয় বা কারো কোন ফানি মোমেন্ট থাকে সেগুলোর ছবিতে তুলে গ্রুপে শেয়ার করা আমাদের কাছে কমন বিষয়। গত কালকে রাতে আমাদের বাড়িতে দেশি মুরগির মাংস আর চাউলের রুটি তৈরি করা হয়েছিল। বিকেল বেলায় আম্মু বলল আজকে নাকি রাত্রে বাসায় দেশি মুরগি আর চাউলের রুটি করা হবে তাই আমি যেন সকাল সকাল বাড়িতে ফিরে আসি আর বাইরের কোন খাবার না খাই। সাধারণত আমাদের যে গ্রুপ আছে সে গ্রুপের সবাই যখন খুশি তখন বিভিন্ন জায়গায় বাইক নিয়ে ঘুরতে চলে যাই আর সাথে তো খাওয়া দাওয়া আছেই। বাইরে থেকে খাবার খেয়ে আসলে সেদিন রাতে আর বাসায় খাই না এজন্যই আম্মু আগে থেকেই আমাকে বলে দিল আর বাইরের খাবার খেতে নিষেধ করেছিল।
বিকেল বেলায় অবশ্য আমাদের দোকানের একটু ঝামেলা থাকার কারণে আর সবার সাথে কোথাও যাওয়া হয়নি সারাদিন দোকানেই ছিলাম যদিও বাড়ি ফেরার আগে সবার সাথে একটু দেখা করে কথা বলে তারপরে বাড়িতে আসলাম। বাড়ি আসার পরে ফ্রেশ হয়ে গিয়ে খাবার টেবিলে খেতে বসলাম দেখলাম আম্মু আমার জন্য আগেই মাংস আর চাউলের রুটি প্লেটে পরিবেশন করে রেখেছে। ভাবলাম ছবিটা তুলে রাখি গ্রুপে সবার দেখাবো আর লোভ জাগাবো মনে। অবশ্য আমি যখন ছবি তুলতে গিয়েছিলাম আম্মু অনেকটাই রেগে গিয়েছিল যে খাওয়ার সময় কেন আবার ছবি তোলা, ফোনটা কেড়ে নিয়ে বলল আগে খেয়ে নাও তারপরে যা খুশি তাই করবে। চাউলের রুটি আর দেশি মুরগির মাংস আমার তো খুব পছন্দ তাই খেতে খেতে আমি প্রায় পনেরোটা রুটি খেয়ে ফেলেছিলাম। একটু বেশি খাওয়ার পরে ভাবলাম একটু বাড়ির সামনে হাঁটাহাঁটি করব তাই বাইরে গিয়ে হাটাহাটি করতে ছিলাম।
হুট করেই আমি গ্রুপে উপরের এই ছবিটা শেয়ার করলাম। তারপরেই গ্রুপের সবাই বলতে থাকলো একা একা আজকে গোপনে এরকম বাসায় খাচ্ছিস আমাদের তো দাওয়াত দিলি না। আমাদের বাড়ির পাশেই আরেকটা ভাই এই গ্রুপে যুক্ত আছে তখন ভাই আমাকে বলল রায়হান আমি কিন্তু রুম থেকে তোমার এই মাংস রান্না ঘ্রাণ পাচ্ছি চলে আসবো নাকি। আমি যখন তাকে বললাম ভাইয়া আমি তো বাইরেই আছি আপনি চলে আসুন খেয়ে যান। আমি যে বাইরে আছি তার জন্য রাতের বেলায় ছবি তুলে তাকে দিলাম আর ভাইয়া ও শিওর হয়ে গেল যে আমি বাইরে আছি। ভাইয়া তখন বলল আচ্ছা তুমি রেডি হও আমি আসতেছি সত্যি সত্যি আজকে তোমাদের বাড়িতে মুরগির মাংস আর চাউলের রুটি খাব। আমি ভাবলাম হয়তো ভাইয়া মজা করছে যদি ভাইয়া আসে তাহলে তাকে মুরগির মাংস আর চাউলের রুটি খেতে দিব।
কিছুক্ষণ পরে গ্রুপে মামা বলছে খাবার রেডি কর আমরা আসতেছি। আমি তখন বলতেছি আমরা বলতে কে কে আসতেছেন তখন মামা বলতেছে আমি আর সোহাগ আসতেছি। আমি তখনো ভাবতেছিলাম হয়তো তারা আমার সাথে ফাজলামি করতেছে কেননা এরকম ছোটখাটো ফাজলামি সব সময় গ্রুপে কমবেশি হয়ে থাকে। কিছু সময় পর দেখি তারা বাইক নিয়ে যে আমাদের বাড়ির দিকে আসছে তার একটা ভিডিও গ্রুপে পোস্ট করেছে তখন আমি বুঝতে পারলাম হয়তো তারা সত্যি সত্যি আসতেছে। আমিও ফাজলামি করে আমাদের বাড়ির সামনের যে লাইট দেয়া থাকে সেটা বন্ধ করে দিলাম আর মেইন দরজার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। কিছু সময় পর দেখি তারা দুজন বাইক নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে উপস্থিত।
আমাদের বাড়ির সামনে এসে গ্রুপে বলতেছে যে রায়হান কোথায় তুমি আমরা তো তোমাদের বাড়ির সামনে আমি দরজার আড়াল থেকে মেসেজগুলা সিন করতেছি আর মিটমিট করে হাসতেছি। কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে মামা বাইক থেকে নেমে সোজা দরজার পাশে এসে দাড়াইছে আর আমি তখনই দরজা খুলে ফেলছি। আমি যখনই দরজা খুলেছি তখনই মামা এক দৌড় দিয়ে ছাদে চলে গিয়েছে আর সোহাগ ভাই আমাকে জিজ্ঞাসা করছে মামা কোথায় গেল আমি বললাম মামাতো ছাদে গিয়েছে তখন সোহাগ ভাই ও ছাদে চলে গেল। আমিও সাথে গেলাম গিয়ে মামা আমাকে বলছে প্লেটে খাবার দাবার নিয়ে ছাদে আসো না হলে আমি কিন্তু ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে সুইসাইড করব 😆 আমি তখন তাকে বলতেছিলাম থাক থাক আপনাকে আর সুইসাইড করতে হবে না, চলুন নিচে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। যেহেতু রাত একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল তাই মামা বলল নিচে না তুমি খাবার দাবার নিয়ে ছাদে আসো আমরা ছাদে বসে খাই।
তারা দুজন ছাদে বসলো আর আমি ফ্রিজ থেকে খাবার গুলোকে বের করে আবার গ্যাসে হালকা গরম করে প্লেটে করে তাদের জন্য খাবার নিয়ে খাবার ছাদে গেলাম আর তারা দুজন ছাদের উপর বসেই মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে দেশি মুরগির মাংস আর চাউলের রুটিগুলো খেয়ে নিল। তারা যখন খাচ্ছিল তখন আমি আবার ছবি তুলে গ্রুপে দিয়েছিলাম তখন সবাই বলতেছে ইস ভুল হয়ে গেল যদি সাথে আমরা আসতাম তাহলে আমরাও ভাগ পেতাম হা হা। রাতের বেলায় তাঁরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার বাসায় ফিরে যায়। তবে মজার বিষয় হচ্ছে গ্রুপে ফাজলামো করতে গিয়ে সত্যি সত্যি তাদের দুজনের ভর পেট দেশি মুরগির মাংস আর চাউলের রুটি খাওয়া হয়েছে হি হি হি।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | নভেম্বর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit