আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৪ঠা আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বর্ষা-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
ঈদ নিয়ে গতকালকে পোস্ট শেয়ার করতে চেয়েছিলাম কিন্তু ঈদের দিন পুরোটা সময় এত ব্যস্ত ছিলাম যে ঈদের দিনের গল্পটা শেয়ার করার মতো সময় হয়ে ওঠেনি। সাধারণত মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার কাঁধে দায়িত্ব বাড়তে থাকে ঠিক একইভাবে যেহেতু বয়স বাড়ছে তাই বড় কোন অনুষ্ঠান বা আয়োজনে নিজের কাঁধে কমবেশি দায়িত্ব নিতে হয়। ঈদের দিন সকাল থেকেই অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করেছি। পর্যায়ক্রমে কাজগুলো কমপ্লিট করে গোসল শেষ করে খাওয়া দাওয়া করলাম তখন ঘড়ির কাঁটায় সকাল আটটা বাজে। আমাদের ঈদগাহে ঠিক নয়টার সময় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কারণ ঈদের নামাজ শেষে সকাল সকাল যেন পশু কুরবানী করতে পারে। আমরা সবাই রেডি হয়ে ঈদের দিনের মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখতে পরিবারের সবাই পর্যায়ক্রমে একসাথে ছবি উঠছিলাম যেহেতু মামাতো ভাই আবির ঢাকা থেকে এসেই আমার সাথে থাকে তাই সর্বপ্রথম আমার রুম থেকে দুজন সেলফি উঠলাম। পরবর্তীতে আব্বু রিফাত সবাই একসাথে বেশ কয়েকটি সেলফি নিয়েছিলাম যেগুলো নিচে শেয়ার করেছি।
মোটামুটি কয়েকটি ছবি ওঠার পরে আব্বু বলছিল দ্রুত শেষ করতে যাতে একটু দ্রুত গেলে সামনের কাতারে জায়গা পাওয়া যায়। সামনের কাতারে জায়গা পাওয়ার পাশাপাশি গাছের নিচে ছায়ায় বসা যায়। আমরা সবাই একসাথে ঈদ্গাহ ময়দানের দিকে এগোতে থাকলাম। আমাদের ঈদগাহ ময়দান মাঠের মাঝা মাঝি জায়গায় অবস্থিত তবে যাতায়াতের জন্য মোটামুটি ভালো রাস্তা আছে তাই খুব একটা সমস্যা হয় না। অনেকেই হেঁটে হেটে যাচ্ছিল আবার যারা একটু বয়স্ক এবং ছোট তারা গাড়িতে করে যাচ্ছিল। এক কথায় যে যার সুবিধা মতো ঈদগা ময়দানের দিকে যাচ্ছিল ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য। যেহেতু ঈদের দিনটা স্পেশাল তাই এই ঈদ নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করার ইচ্ছা আগে থেকে ছিল তাই আমি সবার সাথে কথা বলা সালাম দেওয়ার পাশাপাশি ছবিও তুলছিলাম যেন এই বিষয়টা নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করতে পারি। যেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় তার কাছাকাছি জায়গায় গিয়ে দেখতে পেলাম এখনো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতে অনেক দেরি কারণ ঘড়ির কাঁটায় সবে মাত্র সাড়ে আটটা বাজে সেই সাথে ঈদের নামাজের অনুষ্ঠিত হওয়ার যে কাতার গুলো আছে সবেমাত্র তার অর্ধেকটা পূরণ হয়েছে সব অঞ্চল থেকেই কম বেশি লোক সেখানে আসছে আর জায়গা দখল করছে। আমরা একদম বড় একটি গাছের নিচে জায়নামাজ বিছিয়ে সবাই একসাথে বসলাম।
একদম মাঝামাঝি অবস্থানে বসে ছিলাম তাই মিনারের উপর থেকে যখন আলোচনা হচ্ছিল বিষয়টা বেশ ভালোভাবেই শুনতে পাচ্ছিলাম। বসে বসে কোরবানির বিষয়ে বিস্তারিত সবকিছু ধারণা দেওয়া হচ্ছিল কোরবানির গোশত কিভাবে বন্টন করতে হয় সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সার্বিক বিষয়ে সম্পর্কে সবাইকে অবগত করার পরে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সবার থেকে কমবেশি টাকা উঠানোর কাজ চলছিল। কেউ ১০০০ কেউ ২০০০ কেউ ৫০০০ এরকম টাকা দিচ্ছিলেন। আব্বু আমাকে কিছু টাকা দিয়ে পাঠিয়ে দিল যেন সেখানে গিয়ে দিয়ে আসি আর শর্ত বলে দেওয়া হল মাইকে যেন আব্বুর নাম উল্লেখ করা না হয়। কারণ দান করার ক্ষেত্রে সব সময় গোপন রাখা উত্তম। ডান হাত দিয়ে দান করলে বাম হাত ঠিক পাবে না বিষয়টা এরকম। যাই হোক আমি টাকাটা সেখানে পৌঁছে দিলাম আর বললাম আব্বুর নাম যেন মাইকে না বলা হয়। যাই হোক তার কিছু সময় পরেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলো জামাতের সাথে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ঈদের নামাজ আদায় করলাম। নামাজ শেষ করে ঈদগা গোরস্থানের অর্থাৎ যেখানে কবর দেয়া হয় সেখানে গিয়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে অনেক বিষয় চিন্তা করলাম। যাই হোক সেই বিষয়ে আর কথা না বলি যদি ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন আমাদের ঈদগাহ গোরস্থানের এরিয়াটা কতটা বড় আমাদের খোকসা ও উপজেলার সবচেয়ে বড় ঈদগাহ গোরস্থান।
যেহেতু ঈদের নামাজ শেষে বাসায় গিয়ে আবার কুরবানী করতে হবে তাই নামাজ শেষ হওয়ার পরেই সেখানে খুব বেশি দেরি না করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। শুধু আমরা নয় সবাই পর্যায়ক্রমে বাসায় ফেরা শুরু করল কারণ সবাইকে তো পশু কুরবানী করতে হবে। তবে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে ছোট আকারে মেলা বসেছিল সেখানে মিষ্টি জাতীয় খাবার ঝাল জাতীয় খাবার সহ বিভিন্ন খাবারের আইটেম সেই সাথে বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের খেলনা সহ বিভিন্ন ধরনের দোকান বসেছিল। যারা বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছিল তাদের বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে সবাই বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী কিনছিল। কেউ পরিবারের অন্যান্য লোকদের জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার আবার ঝাল জাতীয় খাবার সহ বিভিন্ন খাবার কেনাকাটা করছিল। একইভাবে আমাদের বাড়ির জন্য কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার কেনা হয়েছিল সেগুলো নিয়ে আমি ধীরে ধীরে বাসার দিকে এগোচ্ছিলাম।
যেহেতু একটু আগে আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম তাই রাস্তার শেষ প্রান্তে এসে খুব একটা ভিড় ছিল না। ফাঁকা রাস্তায় বেশ দ্রুতই বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে এসে আবার হালকা সেমাই খেয়ে দ্রুত আমাদের পুরাতন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। কারণ আমাদের সব কোরবানির আয়োজন আমাদের পুরাতন বাড়িতেই হয়। সেখানে যাওয়ার পর বাকিটা সময় কাজের ওপর দিয়ে গিয়েছে।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | জুন,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

https://x.com/KaziRai39057271/status/1803080198721556775
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আব্বুর সেন্স অফ হিউমার প্রক্ষর। আসলেই দান করার ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখাই উত্তম খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টা পরে ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের দিনের অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ঈদের নামাজে যাওয়ার পূর্বে সেলফি গুলো সত্যি অসাধারণ ছিল। ঈদের দিনের অনুভূতিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদুল আযহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো বন্ধু। ঈদের দিনে বেশ আনন্দের সময় উপভোগ করেছ দেখছি সবার সাথে। ঈদের দিনে তোমার দেখছি অনেক দায়িত্ব ছিলো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit