আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০১-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস মেহেরপুর। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে গিয়েছিলাম মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় বসে আছি। আসলে কয়েকদিন আমার ছোট চাচা চাকরি থেকে ছুটিতে বাড়িতে এসেছে তাই সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হয় বেশিরভাগ সময় তার সাথেই সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। কয়েকদিন আগে নিজের পাসপোর্ট এর জন্য আমি এবং তুহিন মামা দুজন মিলে গিয়েছিলাম আমাদের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস মেহেরপুরে। আসলে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অল্প বয়সেই যে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আজকে সকাল সকাল পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক...........
কয়েকদিন আগে আমি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছিলাম আসলে কখন কি হয় জীবনে বলে ওঠা যায় না তাই আমি আমার জায়গা থেকে একটা পাসপোর্ট করে রাখছি আশা করি ভবিষ্যতে আমার জন্য অনেক কাজে দিবে। আমরা যেদিন পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলাম তার আগের দিন সন্ধ্যাবেলায় আমি কম্পিউটার থেকে আবেদন করে রেখেছিলাম। আমি এবং তুহিন মামা সকালবেলায় আবেদন পত্র হাতে নিয়ে প্রথমে সোনালী ব্যাংকে গিয়েছিলাম ব্যাংক ড্রপ করার জন্য। আমি মূলত ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করছি পাসপোর্ট এর মেয়াদ ১০ বছর। সেখানে আমার ব্যাংক ড্রপ করতে টাকা লেগেছিল ৫৭৫০ টাকা। ব্যাংকের সীমিত সময়ের কাজ শেষ করে আমি এবং তুহিন মামা দুজন মিলে চলে গেলাম আমাদের পাসপোর্ট অফিসে। আমাদের বাড়ি থেকে পাসপোর্ট অফিস প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। আমরা দুজন সকালবেলায় বের হয়েছিলাম বাইক নিয়ে। আমরা সেখানে গিয়ে পৌঁছানোর পরে বাইক থেকে নামার পরে বাইক পাসপোর্ট অফিসের বাইরে রেখেছিলাম তারপরে সেখান থেকে আমি দুটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। বাইক সেখানে রাখার পরে আমি এবং মামা দুজন মিলে পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। পাসপোর্ট অফিসের চারিপাশে ভিতরের দিকে অনেক সুন্দর ভাবে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগানো আছে সত্যি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। পাসপোর্ট অফিসের ভিতরের পরিবেশটা সত্যি বেশ অসাধারণ ছিল। তারপরে সেখানে আমি এবং তুহিন মামার দুজন মিলে দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি তুলে নিয়ে ছিলাম। আসলে আমার একটি মামা আছে পাসপোর্ট অফিসে চাকরি করে তিনি বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের অনেক বড় একজন কর্মকর্তা। আমি পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পরে মামার কাছে ফোন দিয়েছিলাম। মামা সেখান থেকে আমাদের পাসপোর্ট অফিসে ফোন দিয়ে দেয় আমাদের সেখানে কাজগুলো খুবই দ্রুত হয়ে যায়। আমরা পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে যাওয়ার পরে আমাদের সাথে একজন সিপাহী আমাদেরকে ডেকে উপরের রুমে নিয়ে গিয়ে পাসপোর্ট এর কার্যক্রম খুব দ্রুত সম্পন্ন করে। তারপরে নিচে এসে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু খুব দ্রুত সম্পন্ন হয়ে যায়। তারপরে আমি এবং তুহিন মামা সেখান থেকে আবারও বাইক নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলাম।
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে যখন আমরা বের হয়ে বাড়িতে এসেছিলাম। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি তোলার শেষে আমার হাতে পাসপোর্ট এর একটি স্লিপ দিয়েছিল। নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখে পাসপোর্ট দেওয়ার প্রাথমিক একটা ডেট আছে। ঐদিন আমাকে এই স্লিপটা হাতে নিয়ে আবারও পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে। আশা করা যায় আমি পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাব। বাড়িতে আসার পথে আমি এবং তুহিন মামা দুজন মিলে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মেহেরপুর রোডের একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে কয়েকদিন আগে আমাদের অঞ্চলের এই রোডগুলো অনেক বড় করা হয়েছে। এখন আগের তুলনায় গাড়ি চাপ অনেক কম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
x-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আপনার ভবিষ্যতের জন্য পাসপোর্ট করে রাখতেছেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো। পাসপোর্ট যে কোন সময় লেগে যেতে পারে।তাই আপনি আগে থেকেই সব কিছু প্রস্তুত করে রাখছেন, এটা আসলেই অনেক ভালো করছেন। আপনার এতো সুন্দর একটি কাজ দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পাসপোর্ট করে রাখলাম। কখন কোন সময় প্রয়োজন হয় ঠিক নাই তাই আগেভাগে পাসপোর্ট করলাম। আপনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের বাসা থেকে তো তাহলে পাসপোর্ট অফিস অনেক দূরে। যাইহোক ঠিকঠাক মতো পাসপোর্ট তৈরির সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন এবং তারপর ভিসা ও এয়ার টিকেট নিয়ে বিদেশ চলে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit