লাইফ স্টাইল // ধান বাড়িতে নিয়ে এসে মাড়াই করার অনুভূতি

in hive-129948 •  8 months ago 

হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৪-০৫-২০২৪)

IMG_20240524_141647.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ধান বাড়িতে নিয়ে এসে মাড়াই করার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বেশ কিছু সময় বাড়ির কাজে সাহায্য করেছিলাম। তারপরে আমি এবং আমার আব্বু দুজন মিলে লিচু কেনার জন্য বাগানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বেশ কিছু লিচু কিনে ছিলাম আজকে। বাড়িতে লিচু গুলো নিয়ে আসার পরে বেশ কয়েকটি আত্মীয় বাড়িতে লিচু দেয়ার জন্য গিয়েছিলাম। প্রথমে আমি গিয়েছিলাম আমার ফুফুদের বাসাতে লিচু দেওয়ার জন্য। বাড়িতে এসে আবারো নানীদের বাসাতে গিয়েছিলাম লিচু দেওয়ার জন্য। নানীদের বাসাতে যাওয়ার পরে মোস্তাফিজুর মামা এবং তুহিন মামার সাথে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে যোহরের নামাজ শেষ করে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করেছি। তারপরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে আজকে একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......

IMG_20240524_142115.jpg

IMG_20240524_142042.jpg

আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। গত কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার আব্বু এবং মহিষের গাড়িওয়ালা ধান নিয়ে আসার জন্য মাঠে গিয়েছিলাম। ধান আমরা দুপুরবেলায় মাঠ থেকে নিয়ে আসতে গিয়েছিলাম। আমি এবং আমার আব্বু দুজন মিলে মহিষের গাড়ির উপরে ধান তুলে সাজিয়ে দিয়েছিলাম। আসলে প্রত্যেক বছর ধানের এই মৌসুমে প্রত্যেক চাষের অনেক কষ্ট হয় ফসল ঘরে তুলে নিয়ে আসতে। আমাদের বাড়ির পাশে একটি খোলা জায়গা রয়েছে সেখানেই ধানগুলো নিয়ে এসে রেখেছিলাম, বাড়ির মানুষ এক জায়গায় পালা দিয়ে রেখেছিল পরের দিন সকাল বেলায় ধানগুলো মাড়াই করব বলে। আমাদের প্রায় এক বিঘা ১৩ কাঠা জমিতে এবার ধানের আবাদ ছিল। চেষ্টা করি প্রত্যেক বছর ধানের আবাদ করার জন্য।

IMG_20240524_141952.jpg

ধান গুলো বাড়িতে নিয়ে আসার পরে সকল ছেলেমেয়েরা এবং আমার আম্মু সহ সকলেই ধানগুলো এক জায়গায় পালা দিয়ে রেখেছিল সেই সময় আমি একটি ছবি তুলেছিলাম। এবার প্রায় আমাদের মহিষের গাড়ির চায়ের গাড়ি ধান হয়েছিল। ধানগুলো বাড়িতে নিয়ে আসার পরে সন্ধ্যার দিকে গোসল করে ঘরে ওঠে খাওয়ার পরেই দেখে আকাশে অনেক মেঘ জমেছে। তখনই তো প্রত্যেকের মনে বেশ আতঙ্ক কাজ করছিল। যদি পানি চলে আসে তাহলে ধানগুলো সব ভিজে নষ্ট হয়ে যাবে এবং প্রত্যেক বছর বাড়িতে গরু পালন করা হয় এই বিচিলি গুলো নষ্ট হয়ে গেলে সব থেকে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই সন্ধ্যার দিকে আবারো ধানগুলো সেখান থেকে বাড়িতে গোডাউনের মধ্যে নিয়ে আসা শুরু করলাম। আসলে ওই পালা ভেঙে আবারো ধানগুলো যখন গোডাউনের মধ্যে নিয়ে এসেছিলাম তখন নিজের কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল অনেক কষ্ট হয়েছিল সেদিন। সন্ধ্যা থেকে প্রায় রাত ১১ টা পর্যন্ত ধান গোডাউনের মধ্যে তুলেছিলাম। আমরা যখন ধানগুলো তুলে ছিলাম তখন হালকায় ফিরফির করে পানি পড়ছিল তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। ধানগুলো বাড়িতে নিয়ে আসার পরে সেই রাতে গোসল শেষ করে ঘুমিয়ে ছিলাম। আসলে ধানের কাজ করলে গা হাত পায়ে বেশ চুলকানি সমস্যা হয়।

IMG_20240524_142011.jpg

IMG_20240524_142025.jpg

পরের দিন সকাল বেলায় ধান মাড়াই করার জন্য অনেক মানুষ এসেছিল বাড়িতে। সেই দিন বাড়ির লোকের তেমন কোন কাজ করতে হয়নি। আমি শুধুমাত্র বাড়িতে বসে থেকে দেখেছিলাম এবং তাদের কাজে হালকা একটু সাহায্য করেছিলাম। ওই লোকগুলো নিজেরাই গোডাউনের মধ্যে থেকে ধানগুলো বের করে নিয়ে এসে মাড়াই করছিল। ধানগুলো মাড়াই করার শেষে বিচিলি ছিল পাশে আমি অনেক সুন্দরভাবে বিচিলির ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সত্যি বলতে প্রত্যেকবারের তুলনাই এবার ধান নিয়ে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল বাড়ির সকল মানুষের। শুধুমাত্র ধানগুলো মাড়াই করে দেওয়ার পরে, যে সকল মানুষ ধানগুলো মাড়াই করে দিয়েছে শুধুমাত্র ৪ ঘন্টা কাজ করে প্রায় ৬ মন ধান নিয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে চেষ্টা করেছি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাড়িতে এভাবে ধান মাড়াই করলে সবারই প্রায় একটু কষ্ট হয়ে যায়। তবে অন্য মানুষ দিয়ে করালে কম কষ্ট হয়। আপনারা শেষের দিন অন্য জনদের দিয়ে ধান মাড়াই করে নিয়েছেন বেশ ভালই করেছেন। তবে আমার কাছে মনে হয় মাঠ থেকে একবারে এগুলো মারাই করে আনলে বেশি ভালো হয়। তবে নিজের কাজ নিজে যতটুকু করা যায় সেটাই বেশি ভালো হয়। কেননা দেখেন ওরা ৪ ঘন্টা কাজ করে ছয় মন ধান নিয়ে চলে গেল। যাইহোক আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

আসলে ঝড় মেঘের সময় সেজন্য মাঠ থেকে এগুলো মাড়াই করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়নি , বাড়িতে নিয়ে এসে মাড়াই করা হয়েছে।

বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছ। আজকে আমাদের মাঝের গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্যবাহী তোমার বন্ধুর মাধ্যমে ফুটে তুলেছ। তোমার পোস্ট করে জানতে পারলাম এবার তোমাদের এক বিঘা তেরকাটা ধান ছিল। এতে ফলন বেশ ভালোই হয়েছে আশা করছি। আরে ধান যখন তোমাদের বাসায় নিয়ে এসে মরাই ঝরায় করছিলো থেকো ওই সময় তুমি বেশ কয়েকটি সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছ। আর সেই সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে দেখে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছ বন্ধু আসলে চেষ্টা করি সব সময় নিজের পোষ্টের মাঝে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য।

গ্রামের দিকে গেলেই এই ধানের কাজ করার দৃশ্য গুলো দেখা যায়। আপনিও অনেক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বুঝতে পারছি ভাইয়া। যাই হোক আপনার এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে এইসব দৃশ্যগুলো গ্রামের দিকে সব থেকে বেশি দেখা যায়।

কৃষক যখন তার ফলানো ধান বাড়িতে নিয়ে আসে, সেই কৃষকের মুখে তখন যে হাসি থাকে তা অসাধরণ। কষ্টের ফসল কৃষক ঘরে তুলেছে গোটা পরিবারেই আনন্দ।পোস্টটি ভালো হয়েছে ভাইয়া। ছবি গুলোও অনেক সুন্দর তুলেছেন। আপনার আজকের পোস্ট ধান বাড়িতে নিয়ে এসে মাড়াই করার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে কৃষক যখন অতি কষ্টের মাঝে তার ফসল বাড়িতে নিয়ে আসে তখন প্রত্যেক কৃষকের মুখে বেশ হাসি থাকে।

বাড়িতে ধান মাড়াই করার সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অনেকদিন পর এত সুন্দর ধান মাড়াই এর দৃশ্য দেখতে পারলাম। অনেক ভালো লাগলো সুন্দর উপস্থাপনা দেখে। এখন সারাদেশব্যাপী কৃষক ফ্যামিলিতে এই কাজগুলো চলছে। মাঠ থেকে শুনারই ফসল ঘরে আনার প্রচেষ্টা।

চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে ধান মাড়াই করার পোস্টটি সুন্দরভাবে উপস্থাপনার করার জন্য।

আমাদের দিকে ধান মাড়াইরের যে মেশিন গুলো আছে, সে গুলোতে দুইজন ধান মাড়াই করতে পারে। আপনাদের দিকে দেখলাম তিনজন ধান মাড়াই করতে পারে। মানে মেশিন গুলো বড়। মাত্র চার ঘন্টা কাজ করে ছয়মন ধান নিলেও তাদের মেশিন খরচ,তেল খরচ ও তাদের প্রারিশ্রকি আছে। তারপরও বেশিই মনে হয়। ধন্যবাদ।

আসলে আমাদের এই মেশিনেও দুইজন ধান মাড়াই করা যায়, কিন্তু অতি ব্যস্ততার কারণে একটু তাড়াতাড়ি জন্য তিনজন মিলে ধান মাড়াই করছিল।

আসলে এই ধানের সীজনে যারা ধান চাষ করে তাদের ব্যস্ততার শেষ থাকে না। তবে নিজের জমির ধান খাওয়ার মজাই আলাদা। এই সময়টা সকলেরই ভীষণ ব্যস্ততায় কাটে ধান নিয়ে! আর যদি সময়ে অসময়ে আকাশে মেঘ দেখা যায় তবে তো আর কথাই নেই, যেমনটি আপনি ও উল্লেখ করেছেন!

ঠিক বলেছেন আপু আপনি কষ্ট হলেও নিজের জমিতে আবাদ করে কোন কিছু খাওয়ার মজাই বেশ আলাদা।