জেনারেল রাইটিং // ভাইয়ের বিয়ের জন্য কেক কেনার অনুভূতি

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি জেনারেল রাইটিং // ভাইয়ের বিয়ের জন্য কেক কেনার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সবাই পার করছি। আসলে কয়েকদিন বেশ কিছু কাজের জন্য অনেক ব্যস্ততার মধ্যেই দিন পার করতে হচ্ছে। ঘুম থেকে উঠে হালকা একটু নাস্তা খেয়ে প্রথমে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার জন্য চলে গিয়েছিলাম। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে এসে বেশ কিছু সময় আপনাদের সাথে যুক্ত ছিলাম। আসলে দায়িত্ব বেড়ে গেলে চাপ অনেকটাই বেড়ে যায় এটা সত্য কথা। তাও আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি আমার সব কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।$PUSS প্রমোশনের সকল কাজগুলো শেষ করার পরে বেশ কিছু কমেন্ট করেছিলাম তারপরেই ভাবলাম আজকে সকাল সকাল একটা পোস্ট শেয়ার করি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........

আমি ইতিমধ্যেই আপনাদের মাঝে আমার ভাইয়ের বিয়ের বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছি। আজকেও সেই ধারাবাহিকতায় ভাইয়ের বিয়ের জন্য কেক কেনার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। আমার ভাইয়ের বিয়ের কেক কেনার জন্য বিয়ের দিন সকাল বেলায় আমরা কেক অর্ডার করার জন্য গিয়েছিলাম। আমাদের গাংনী বাজারে একটি কেকের দোকানের মধ্যে প্রবেশ করার পরে আমাদেরকে বেশ কিছু কেকের মেনু দেখানো হয়েছিল। আসলে সেই মেনু বই থেকে আমি প্রায় প্রত্যেকটি কেকের ছবি তুলে রেখেছিলাম। আমার কাছে প্রত্যেকটি কেকের ছবি বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে কেক অর্ডার করার জন্য গিয়েছিলাম আমরা তিনজন। আমরা তিনজন মিলে সেখানে ডিসিশন নিলাম এবং কয় পাউন্ডের কেক এবং কি ধরনের কেক হবে সকল ডিসিশন আমরা তিনজন মিলেই সেখানে নিয়েছিলাম। এবং মেনু বই থেকে আমরা একটি কেক সিলেক্ট করেছিলাম সিম্পুল এর মধ্যেই। আপনাদের কেউ দেখাবো কেকের ছবি। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে বেশ ভালো লাগবে।

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমাদের মধ্য থেকে আমাদের বড় ভাই কেক বেকারি দোকানদারকে বুঝিয়ে দিয়েছিল কেকটা কিভাবে তৈরি করা হবে এবং কয় পাউন্ডের কেক হবে সমস্ত কিছু আমাদের সাথে থাকা বড় ভাই ডিসিশন নিয়ে ফাইনাল করেছিল। আমরা সকলে বড় ভাইয়ের সাথে একমত পোষণ করেছিলাম। এবং কেক অর্ডার করার জন্য আমরা সেখানে অগ্রিম ৫০০ টাকা জমা দিয়ে এসেছিলাম। আমরা মূলত দুই পাউন্ডের কেক অর্ডার করেছিলাম। প্রত্যেক পাউন্ড কেকের দাম ৪০০ টাকা। তাই দুই পাউন্ড কেকের দাম আমাদের কাছ থেকে মোট ৮০০ টাকা নিয়েছিল। সমস্ত কিছু কথা বলার পরে আমরা কেক আজকে সন্ধ্যা বেলায় নিতে আসবো এ সমস্ত কথা বলে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে পড়লাম আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে ।

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। কেকের উপরে শুধুমাত্র বউ এবং বরের নাম লেখা হয়েছিল কিন্তু প্লাস চিহ্ন দেওয়া হয়েছিল না। তারপরে আমাদের মধ্য থেকে বড় ভাই অনেক সুন্দর ভাবে চিহ্ন দিয়ে দিয়েছিল তখনও আমি একটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম। তারপরে কেক এর সব কিছু রেডি করার পরে আমি বেশ দারুণভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে রাতের বেলায় যখন আমরা কেক কেটে ছিলাম তখন ছবি তোলা হয়নি। আসলে এত ব্যস্ততার মাঝে মনে ছিল না। তাও চেষ্টা করেছি সব মিলিয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।