জেনারেল রাইটিং // আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৭ তম পর্ব

in hive-129948 •  9 months ago 

হ্যালো.........
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-০২-২০২৪)

IMG20231222161100.jpg

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৭ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে কোচিং এ আমাদের মাসিক পরীক্ষা ছিল তাই সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেই বেশ কিছু সময় লেখাপড়ার জন্য বসে ছিলাম। তারপর নাস্তা না খেয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে মাত্র ১ ঘন্টা কোচিং ছিল। কোচিং শেষ করে হোটেলে অল্প একটু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ কোচিং এর পরীক্ষা বেশ মোটামুটি ভালোই হয়েছে। বন্ধুরা সকলে যখন একসাথে হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম বেশ আনন্দের সাথে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। খাবার সময় আমাদের সাথে আমাদের দুইটা বান্ধবী সহ খাওয়া দাওয়া করেছিল। তারপর আমরা সেখান থেকে বাজারে গিয়েছিলাম পায়ে হেঁটে। সকলে মিলে একত্রিতভাবে পায়ে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগে। তারপর সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেখান থেকে। বাড়িতে এসে আবারো আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য বসে গেলাম। তবে চল আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....


আপনার উপরের ছবি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপুকে যখন আপুর মেজ দাদা ক্ষীর খাওয়ানোর জন্য বসেছিল তখন আপু হেঁসে দিয়েছিল সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আসলে দাদা নাতির সম্পর্ক বেশ দারুণ। প্রথমে আপুর দাদা আপুকে ক্ষীর খাওয়াতে গিয়ে আপুকে না দিয়ে দাদা নিজে খেয়ে ফেলেছিল সত্যি মুহূর্তটা ভালো লেগেছিল আমার কাছে। আসলে আপুর বিয়েতে আমি বেশ মজা করেছিলাম।

IMG20231222160535.jpg

IMG20231222162556.jpg

আপনার ওপরে ছবি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আপুকে যখন ক্ষীর খাওয়ানো আসনে নিয়ে এসে বসানো হয়েছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আপুকে আসনে বসানোর পরে অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীরের প্লেট নিয়ে এসে আপুর সামনে রাখা হয়েছিল। আপুর সাথে পাড়ার মেয়েরা অনেক সুন্দর ভাবে একই সারিতে ক্ষীর খাওয়ার জন্য অপর পাশে সকলে বসে ছিল সত্যি দেখতে বেশ দারুন লেগেছিল। আসলে একই শাড়িতে অনেকগুলো মেয়েকে একসাথে দেখার কারণে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। এবার ক্ষীর দিতে এসেছিল আপুর মেজো আম্মু। আসলে আপুর বিয়ে তো অনেক আগে হয়েছিল সেজন্য সবথেকে বেশি মজা হয়েছিল। যখন প্রথম বিয়ে হয়েছিল তখন বয়স না পুজার কারণে অনুষ্ঠান করতে পেরেছিলাম না তাই এই সময় অনুষ্ঠান করতে পেরে সত্যি বেশ ভালো লাগলো।

IMG20231222160855.jpg

IMG20231222161734.jpg

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি পিঠার প্লেটের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এবার আপুর মুখে ক্ষীর দেয়ার জন্য ক্ষীরের আসনে বসেছিল আপুর ছোট আব্বু। আসলে পিঠা তৈরি করা হয়েছিল শুধুমাত্র ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানে রাখার জন্য। আসলে পিঠা খেতে তেমন একটা ভালো লেগেছিল না। পিঠার মধ্যে কোন চিনি বা লবণ দেওয়া হয়েছিল না শুধুমাত্র আটা দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু আমি না জেনে না বুঝে সেই পিঠা খেতে বসেছিলাম দু এক বার খাওয়ার পরে জানতে পারি যে পিঠা চিনি লবণ দেওয়া হয়নি।

IMG20231222181116.jpg

IMG20231222174147.jpg

আপনারে এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে আরো দুইটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপুর গায়ে হলুদের দিন এবং ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানের রাতে আপুর বেশ কয়েকজন বান্ধবী এসেছিল। আমিও আপুর বান্ধবীদের বেশ আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম। তাই সব মিলিয়ে বিয়ের আগে থেকেই বেশ দারুন সময় কাটিয়েছিলাম আপুদের বাসাতে। আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সবার শেষে আপুকে ক্ষীর খাইয়েছিল আপুর বড় মামার ছেলে। ক্ষীর খাওয়ানোর পর আপুকে মাত্র এক টাকার একটি নোট দিয়েছিল তখন সবাই বেশ হাসাহাসি করেছিল সেখানে। সত্যিই এই বিষয়গুলো আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল। আশা করি আজকের পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্টানের মুহূর্ত গুলো দেখে ভাল লাগলো। দাদা নাতির মুহূর্ত টা দারুন ছিল। পিঠার কালার গুলো বেশ লোভনীয় ছিল। আর সবাই তো অনেক আনন্দ করেছেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

পিঠার কালার গুলো আপনার কাছে লোভনীয় ছিল যেন বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।

বন্ধ তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছো তোমার বোনের বিয়ের সপ্তম পর্ব। তোমার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে তুমি তোমার আপুর বিয়েতে দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছ। তোমার এর পর্ব গলো ও আমি আগে দেখছি আজকে আবার এই পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ তোমাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর ভাবে তোমার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।

বিয়ে বাড়ি মানেই আনন্দ।আর মেয়েদের বাড়িতে বিয়ের আগের রিচুয়াল গুলো বেশ ভালো লাগে ছেলেদের বাড়ির তুলনায়।বেশ মজা করেছেন বোনের বিয়েতে। গায়ে হলুদ ও ক্ষির খাওয়ানোর রাতে আপনার আপুর বড় মামার ছেলে এক টাকা দিয়েছিল,হাহাহা,।আসলে ভাই বোন মানেই আনন্দের একটা জায়গা।😁😁।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু আপনি বিয়ে বাড়ি মানে আনন্দ ।গায়ে হলুদের রাতে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছিলাম সকলের সাথে।