আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৬-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি শৈশবের স্মৃতিময় একটি ঘটনা। আসলে আমি প্রতিদিন চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সকাল সকাল পোস্ট করার জন্য। আসলে দিনের বেলায় লেখাপড়ার জন্য বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। আজকেও ঠিক ভোর ছয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তারপরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট লেখা শুরু করি। তখনো ভেবেছিলাম না কি বিষয়ে পোস্ট করব। তারপরে মনে পড়ে গেল শৈশবের সেই স্মৃতির ঘটনা। তাই পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। পোস্ট লেখা শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেব। আসলে ঘটনাটি আমার কাছে এখন শুনলে বেশ মজা লাগে কিন্তু ঘটনাটি বেশি দুঃখজনক। তবে চলুন আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
ঘটনাটি ঘটেছিল আমার বয়স যখন ছয় থেকে সাত বছর আনুমানিক এই সময়ে। আমি তখন ক্লাস দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তাম। আমাদের বাড়ির পাশে একটি পুকুর রয়েছে। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে প্রত্যেকদিন পুকুরে গোসল করতাম বেশ ভালই লাগল সেই সময়। আসলে সেই সময় আমি খুবই ছোট ছিলাম তাই সাঁতার কাটতে পারতাম না। পুকুরটি ছিল সানের পুকুর। পুকুরের এক দিকে অর্ধেক ইট দিয়ে গাঁথা সেই সাইডে অল্প একটু পানি সেখানে আমরা দাঁড়িয়ে গোসল করতাম। স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পরে আমরা তিনজন বন্ধু সেখানে গোসল করতে নেমেছিলাম। আসলে সেই সময় যেহেতু সাঁতার কাটতে পারতাম না তাই সাথে করে একটা মোটরসাইকেল টিউব নিয়ে যেতাম। সেই টিউবের মধ্যে বাতাস থাকতো সেই টিউবে করে আমরা ভেসে বেড়াতাম। আসলে সেই সময়ের স্মৃতিগুলো আজও বেশি মনে পড়ে। এভাবে একসময় ভাসতে ভাসতে পুকুরের এক কর্ণের দিকে চলে যায় আমরা তিনজন। সেখানে অল্প কিছু জঙ্গলমন্ত এবং গাছড়া ছিলো। সেখানে যাওয়ার পরে আমার হাতে একটি সাপে কামড় দেয়। আমি সাপটি তখন স্পষ্ট দেখতে পেয়েছিলাম।
তারপরে পুকুর থেকে আমরা সবাই তাড়াহুড়া করে ওঠে বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে আম্মুকে জানানোর পরেই অনেক বকাবকি শুরু করে দেয়। তারপরে আমাদের পাশের দুই এক গ্রাম পরে সাপের বিষ নামানো উজার বাড়ি রয়েছে সেখানে আমাকে নিয়ে যায়। উজা হাত চালান দিয়ে দেখে আমাকে সত্যি সত্যি সাপে কামড়িয়েছে। তারপরে উজা বলে কুলীম সাথে কামড়েছে। তারপরে আমি তো তখন অনেক ভয় পেয়ে যাই। আমার আম্মু তখন আমার পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করতেছিল। সাথে আমার আব্বু গিয়েছিল আমার আব্বু আমাকে ধরে বসে ছিল সেখানে। তারপরে উজা হাত চালান দিয়ে বিষ নামানোর পরে এক গ্লাস পানি দিয়েছিল খেয়ে নেওয়ার জন্য পানি আমি সম্পূর্ণ খেয়ে নিয়েছিলাম। উজার বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে ফিরতে প্রায় রাত আটটা বেজে গিয়েছিল। উজা বলেছিল আজকে রাতে ঘুমানো যাবে না। তারপরে আমাকে এক মাসের জন্য কিছু খাবার খেতে নিষেধ করেছিল।
তারপরে যখন রাতে বাড়িতে ফিরলাম বাড়ির মানুষ সবাই আমাকে নিয়ে এক জায়গায় বসে আছে। আসলে রাত যখন বারো একটা বাজে তখন আমার দুচোখ বুঝে আসছিল ঘুমের জন্য। কিন্তু ঘুমাতে নিষেধ করেছে উজা। এজন্য আব্বু আমার হাত ধরে বাইরে হাঁটতে নিয়ে গেল। এভাবে আমি আর আব্বু রাতে বেশ কিছুক্ষণ বাইরে হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। দোকানে নিয়ে গিয়েছিল সেখান থেকে কিছু মিষ্টি কিনেছিলাম খাওয়ার জন্য। আসলে এই ঘটনায় আমার আম্মু অনেক টেনশন করছিল আমার জন্য। আসলে রাতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছিল যেহেতু ঘুমাতে পারছিলাম না এজন্য। পরের দিন সকালবেলায় আমি ঘুমিয়ে ছিলাম বেলা দশটা পর্যন্ত। তারপরে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করেছিলাম। প্রথম দুই একদিন মাথায় একটু ঘুরছিল তারপরে সবকিছু আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যায়। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন কারো সাথে না ঘটে এই দোয়াই করি। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/GKibreay/status/1695264640329224630?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাপরে এতো দেখি সাপের কামড়। বেশ বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছিলো আপনার। আর মা বাবা রা একটু বেশি চিন্তা করে আমাদের জন্য। তাই তো আপনার মা কেঁদে ফেলেছিলেন।
সাপে কামড়েছে হবে সম্ভবত। ঠিক করে নিয়েন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই মা আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে তাই আমার কষ্ট সহ্য করতে পারছিল না। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সাপের কামড় মারাত্মক হতে পারতো এজন্য আপনার আম্মু বেশি টেনশন করেছিলেন। সারারাত ঘুমাতে পারেননি এজন্য আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে। যাই হোক পরে পুরো সুস্থ হয়েছেন এটাই অনেক। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে সন্তান অসুস্থ থাকলে মা বাবার কারো চোখে আর ঘুম থাকে না।আপনি অনেক ছোট বয়সে ভয়ংকর এক কাহিনীর সাক্ষী হয়েছে।সাপ আমি অনেক ভয় পাই। তাই আপনার এই কাহিনীটা পড়ে আমার গা শিন শিন করে উঠেছে।আপনার ছোটবেলায় সাপের কামড় খাওয়ার ঘটনাটি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে সন্তান যদি অসুস্থ থাকে কখনোই মা-বাবার চোখে ঘুম আসে না। ধন্যবাদ এত সুন্দর মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধু তোমার শৈশবে দিনগুলো খুবই ভালো কেটেছিল তোমার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। হ্যাঁ আমিও ছোটকালে অনেকবার এভাবে পুকুরে গোসল করেছি। কিন্তু পুকুরে গোসল করাই তোমাকে কুলিম সাপে কমড়েছিল খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার। তবে পরবর্তীতে উজার বাড়ি থেকে তোমার বিষ নেমে গিয়েছিল শুনে বেশ ভালো লাগলো। তবে সবকিছুর জন্যই আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত। শৈশবের এ স্মৃতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু। সবসময় নিজের খেয়াল রাখবা এবং হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করবা এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ বন্ধু পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে তোমার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাপ আমার খুব ভয় লাগে। যদিও জীবনে কখনো সাপের কামড় খাইনি। তবে এটা ঠিক মায়ের ভালোবাসা অপরিসীম। তাই আপনার কষ্ট সহ্য না করতে পেরে আপনার মা কেদে ফেলেছিল। তবে বর্তমানে এমনও ইনজেকশন রয়েছে যে ইনজেকশন অনেক বিষাক্ত সাপের কামড় কেউ বা বিষাক্ত সাপের বিষ ধ্বংস করে দিতে পারে। যাই হোক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে আমার কষ্ট আমার মা সহ্য করতে না পেরে শুধুমাত্র কান্না করেছিল। ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাপ এর নাম শুনলেই আমার ভয় করে।এই প্রাণী টা কোনোভাবেই আমি সহ্য করতে পারিনা।আপনি এটার কামড় খেয়েছেন,আল্লাহর রহমতে কোনো ক্ষতি হয়নি আপনার।আর আপনার মা কেঁদে ফেলেছিল। আসলে মায়েরা তো তার সন্তানদের একটু বেশিই ভালোবসেন তাই।আপনার শৈশবের স্মৃতির একটি সুন্দর পোস্ট আপনি শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু আপনি মায়েরা সন্তানদের একটু বেশি ভালোবাসে তাই হয়তো আমার কষ্ট দেখে আমার মা কেঁদে ফেলেছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটাতো মারাত্মক ঘটনা ভাই। সাপের কামড় যেনতেন কথা নয়। যাইহোক এরকম ঘটনা আমাদের সাথে কখনো ঘটেনি। আর এমনিতে আমি সাপ দেখলে অনেক বেশি ভয় পাই। তবে এটা ঠিক প্রত্যেক বাবা-মা তাদের ছেলে সন্তানের জন্য অন্যরকম। আর আপনার কষ্ট হচ্ছে সেটা অনুভব করেই আপনার মা কাঁদতে লাগলো। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার গল্পটি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit