আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২১-০৯-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি শৈশবে পিকনিকে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়ার গল্প । আসলে আজকে সকালবেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে আজকে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল তাই সকাল বেলায় আপনাদের মাঝে যুক্ত হতে পারিনি। পরীক্ষা শেষ করে এসেই পোস্ট লেখা শুরু করে দিয়েছি। প্রথমে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ভেবেছিলাম কি বিষয়ে পোস্ট লিখব। তারপরে হঠাৎ করে শৈশবের স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল। তবে চলুন পোস্টে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....
যখন আমি পিকনিকে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম তখন আমি সবেমাত্র মাধ্যমিক স্কুলে উঠেছিলাম। তখন আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম। প্রত্যেক বছর প্রত্যেক স্কুল থেকে কোথাও না কোথাও পিকনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের স্কুল থেকে সেই সময় পিকনিকের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মহাস্থানগড়। আমার জীবনে আমি এখন পর্যন্ত স্কুল লাইফে কোনো পিকনিক থেকে বিরত থাকিনি যেকোনো কাজে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সেই পিকনিকের চাঁদা ছিল মাত্র 900 টাকা করে। আমাদের ক্লাস থেকে সবার আগে পিকনিকের টাকা দিয়েছিলাম আমি। আসলে প্রথম মাধ্যমিক স্কুলে এসেছি পিকনিকে যাব সবমিলিয়ে বেশ ভালোই লাগছিল সে সময়ের অনুভূতি। সম্ভবত আমরা ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখে পিকনিকে গিয়েছিলাম। আমাদের স্কুল থেকে মোট পাঁচটি বাস গিয়েছিল মহাস্থানগড় পিকনিকে। আমাদের স্কুলের সকল স্যার ম্যাডাম সহ আমরা অনেক ছাত্র-ছাত্রী সেই পিকনিকে অংশগ্রহণ করেছিলাম। স্যারদের কথা মনে হওয়া মাত্রই খুবই খারাপ লাগলো তার মধ্য থেকে কিছুদিন আগে আমাদের একজন স্যার মারা গিয়েছে।
পিকনিকের দিন সকাল ভোর বেলায় ৫.৩০ মিনিটের দিকে আমরা স্কুল থেকে গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম। আমাদের এখান থেকে প্রায় ছয় ঘন্টা লেগেছিল মহাস্থানগড় যেতে। সেখানে গিয়ে আমরা প্রথমেই হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে অল্প একটু ঘোরাফেরা করি। সেখানে আমাদের দুপুরের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল আমাদের স্যাররা। দুপুরবেলায় সবাই আমরা একসাথে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম আসলে বেশ মজাই হয়েছিল। এভাবেই ঘোরাফেরা করতে করতে প্রায় আসরের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। তখন যেহেতু অনেক ছোট আমার সাথে আমার আরো দুইজন বন্ধু ছিল। আমরা তিনজন একসাথে সব সময় ঘোরাফেরা করেছিলাম। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগেই স্যাররা সবাইকে বাসে তুলে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে তখন আমরা তিনজন বন্ধু বাসে উঠতে পেরেছিলাম না তখনো ঘোরাঘুরি করতে ছিলাম আমরা সেই সময়।
তারপর আমরা বাসের কাছে এসে দেখি আমাদের বাস নেই তিনজন অনেক ভয় পেয়ে যায়। তারপরে আমরা আশেপাশে তাকানোর পরে দেখি আমাদের স্যার এবং বন্ধু বান্ধব দের কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। তখন আমাদের তিনজনের কাছে কোনো মোবাইল ফোনও ছিল না। তারপরে তো আমরা তিনজন অনেক কান্না করেছিলাম সেখানে। আশেপাশে থেকে লোক এসে আমাদের জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে। আমরা তখন এসব ঘটনা খুলে বললাম। তারপরে আমি সেখান থেকে এক আঙ্কেলের মোবাইল ফোন থেকে আমি বাড়িতে ফোন দিয়েছিলাম। বাড়িতে এই ঘটনা খুলে বলার পরে কান্নাকাটি করতে নিষেধ করল। আমার আব্বু বলল তুমি ওখানেই থাকো আমি তোমার স্যারদের কাছে ফোন দিচ্ছি। তারপরে আব্বু স্যারদের কাছে ফোন দিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। তারপরে একটি বাস থেকে একজন স্যার নেমে আবারো আমাদের নিতে আসে। সত্যি বলতে সেইদিন আমি তো খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে সেই স্যারের সাথে আমরা তিনজন বাড়িতে ফিরেছিলাম। তার দুইদিন পরে স্কুলে এসে স্যাররা অনেক বকাবকি করছিলাম আমাদের। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Twitter link
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এরকম পিকনিকে যেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে । সবাই মিলে পিকনিকে অনেক আনন্দ করা হয়। কিন্তু আপনারা ওখানে বাস এবং স্যার ম্যাডাম না দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। যাক আপনাদেরকে একটা আংকেল আপনার আব্বুকে সব বলেছিল এবং আপনার আব্বু স্যার ম্যাডামদের কে ফোন দিয়ে বলার কারনে খুব তাড়াতাড়ি স্যার ম্যাডামদের কে পেয়ে গিয়েছিল। এটা আপনার স্যার ম্যাডামদের উচিত ছিল সব বাচ্চা উঠেছে কিনা তা একটু চেক করে নেওয়ার। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আপু সেই দিন পিকনিকের কথা মনে পড়লে এখনো অনেক ভয় লাগে । সেখানে কাউকে না দেখতে পেয়ে দুজন বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে ভাগ্নে সেদিনের সেই ঘটনা গুলো আজকে তুমি শেয়ার করেছো দেখছি। তোমার এই ঘটনা গুলো পড়ে আমার মনে পড়ে গেল। আসলে ঐদিন যদি তুমি হারিয়ে যেতে তাহলে আমরা তোমাকে এখানে দেখতে পেতাম না। বুদ্ধি করে আশেপাশে মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছিলে বলেই তোমরা বাড়িতে আসতে পেরেছ। তোমার হারানোর গল্পটা আমি আগেই শুনেছি আজকে নতুন করে আবারও জানতে পারলাম ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মামা হারিয়ে গেলে তো আপনাদের সাথে আর কখনোই দেখা হতো না হয়তো। বাড়িতে আসতে পেরেছি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এমন ঘটনা অনেকের জীবনে ঘটে থাকে পিকনিকে গিয়ে হারিয়ে যায়। তবে বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন থাকায় যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা হয়ে গেছে। হয়তো মোবাইল ফোন না থাকলে বাড়ি ফেরা বেশ শুধু সাধ্য হয়ে যেত। যাই হোক ঘটনাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মামা সেই সময় মোবাইল ফোন আমাদের কাছে ছিল না অন্যের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে ফোন দিয়েছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit