আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৭-০৮-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি একজন লোভী মানুষের ভয়ঙ্কর একটি গল্প। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট থেকে মেসে ফিরে আবারো একটু কলেজে গিয়েছিলাম। কলেজ থেকে আবারও হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আসলে কয়েকদিন ধরে আমার নানী বেশ অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি আছে তাই দেখা করতে গিয়েছিলাম। তারপরে সেখান থেকে মেসে ফিরে এসেছি। গোসল করে জোহরের নামাজ আদায় করে এসে দুপুর বেলার খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। আমাদের পাশের রুমের একজন বন্ধুর খাবার বিড়ালে খেয়ে গিয়েছে কথাটা শুনে আমার কাছে বেশ মজায় লেগেছিল। তারপরে ভাবলাম আজকে একটা পোস্ট করা দরকার তাই চলে আসলাম আপনাদের মাঝে একজন লোভী মানুষের ভয়ঙ্কর একটি গল্প শেয়ার করতে। তবে চলুন নিচে শেয়ার করা যাক..........
আসলে আমরা গ্রামে বসবাস করি। গ্রাম শহরের মতো খুব একটা বেশি উন্নত না। গ্রামের মানুষ সবাই কৃষিকাজ করে খেয়ে থাকে। আমাদের গ্রামে একজন দরিদ্র কৃষক ছিল তার একটি ছেলে ছিল। সেই ছেলেটিকে তিনি অনেক কষ্ট করে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত লেখাপড়া করায়েছিল। তারপর সেই ছেলে ঢাকাতে একটি কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছিল। সেই ছেলেটির নাম হচ্ছে জাহিদ । আসলে ঢাকা শহরে অনেক দিন ধরে থাকতো জাহিদ । প্রায় একই কোম্পানিতে ১০ থেকে ১২ বছর চাকরি করছে। হঠাৎ করে একদিন তার কোম্পানির বস হার্ড স্টক করে মৃত্যুবরণ করে। তারপর কোম্পানির সব দায়িত্ব জাহিদের উপরে এসে পড়ে। জাহিদের বসের তখন একটা মেয়ে ছিল প্রায় তার থেকে ছয়-সাত বছরের ছোট। মেয়ের মা জাহিদের সাথে সেই মেয়েকে বিয়ে দিতে চায়। পরে বাড়ির লোককে না জানিয়ে জাহিদ সেখানে বড় লোকের মেয়েকে বিয়ে করে ফেলে। সেই সময় জাহিদ বাড়ি আসতো কিন্তু একা সেই মেয়েকে গ্রামের বাড়িতে কখনোই নিয়ে আসতো না। জাহিদ যাকে বিয়ে করেছে তার নাম হচ্ছে তারিন। তারপরে জাহিদ গ্রামে একটা বাড়ি করেছে তারপরে তারিনকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। গ্রামের অনেক লোকজন এসেছিল তারিনকে দেখার জন্য।
কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে থেকে আবারো তারা ঢাকায় চলে যায়। এভাবেই তাদের জীবন অতিবাহিত হতে থাকে। কয়েক বছর পর তাদের সন্তান জন্ম নেয়। একসাথে দুইটি যমজ সন্তান হয়েছিল দুইটি সন্তান ছিল ছেলে। এভাবেই তাদের ছেলে দুটির বয়স যখন তিন থেকে চার বছর। তখন ঈদের কয়েকদিন আগে তারা বাড়িতে আসবে আসবে বলে ঢাকা থেকে বের হয়। এবার বাড়িতে আসার আগেই জাহিদ একটা প্রাইভেট গাড়ি কিনেছিল। নিজের গাড়ি নিজেই ড্রাইভ করে বাড়িতে ফিরতেছিল জাহিদ তারিন ও তাদের সন্তানরা। বাড়িতে ফেরার পথে অনেক ঝড় বৃষ্টি হয় সেই রাতে। বাড়ি পৌঁছানোর ঠিক ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাস্তার মাঝখানে কি পড়ে থাকতে দেখেছিল আসলে ঝড় বৃষ্টির কারণে ভালো বোঝা যাচ্ছিল না। তারপরে জাহিদ গাড়ি থেকে নেমে দেখে একটি মানুষের লাশ পড়ে আছে। রাস্তার মাঝখানে আছে বলেই জাহিদ গাড়িটা নিয়ে আসতে পারছিল না। তারপরে জাহিদ লাশটি টেনে রাস্তার পাশে সরিয়ে দেয়। তখন জাহিদ খেয়াল করে লাশটির হাতে একটি হেরার আংটি আছে। জাহিদ তখন আংটি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল কিন্তু আঙুল থেকে বের করতে পারছিল না। তারপরে জাহিদ লাশটি সেখানে রেখে গাড়ি ড্রাইভ করে বাড়িতে চলে আসে তখন রাত প্রায় শেষের পথে। তার ছেলেদের এবং বউকে বাড়িতে নামিয়ে রেখে আবারো গাড়ি ড্রাইভ করে সেখানে চলে যায়। তখন গাড়ি থেকে একটা ছুরি নিয়ে গিয়েছিল জাহিদ। লাশটির আঙুল কেটে আংটি বের করার চেষ্টা করে। তখন সেখানে প্রচন্ড ঝড় আর পানি। জাহিদ ভয়ে তখন সেখান থেকে দৌড় দেয় মাঠের ভিতরে। জাহিদের অনেক পানি তৃষ্ণা পায়। মাঠের ভিতরে একটি বাড়ি দেখতে পাই সেখানে গিয়ে জাহিদ একজন মানুষের কাছে পানি চেয়েছিল। পানি দিতে এসেছিল একজন মহিলা যখন পানি দিতে এসেছিল তখন জাহিদ দেখতে পারে ওই মহিলার একটি আঙুল নেই তখন জাহিদ আরো ভয় পেয়ে সেখান থেকে দৌড় দেওয়া শুরু করে। এভাবে জাহিদ স্টক করে মাঠের মধ্যে পড়েছিল।
সেদিন সকাল বেলার দিকে মাঠের লোকজন জাহিদকে সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি হাসপাতালে নিয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা হওয়ার পরে জাহিদ এখন পুরা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। আসলে এই লোকটির ঘটনা শুনেছিলাম আমি আমার দাদার কাছ থেকে। কিন্তু এই লোকটিকে আমি নিজ চোখে দেখেছিলাম। গত তিন বছর আগে মারা গিয়েছে লোকটি। আসলে এই ব্যাপারটি আমার কাছে বেশ খারাপ লেগেছিল। আশা করি এই গল্পটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলে এই গল্পটি পড়ে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আপনাদের মূল্যবান মতামত শেয়ার করার চেষ্টা করবেন। আপনাদের সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/GKibreay/status/1688473806149697536?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার এই গল্পের মাধ্যমে এটাই স্পষ্ট যে লোভী মানুষের পরিণতি খুব একটা ভালো হয় না। লোকটি নিজে তো যথেষ্ট ভালো অবস্থার মধ্যে ছিল তারপরেও লোভ তার পিছু ছাড়েনি ।যার কারণেই তার ওই পরিণতি হয়েছিল ।যাইহোক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু আপনি লোকটি নিজের যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী ব্যক্তি হয়েছিল। তারপরেও লোভ কখনো তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে লোভের কারণে তার এই করুন পরিণত হয়। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আমাদের কখনো লাভ করা উচিত নয়। লোভে পাপ আর পাপে অনেক সময় মৃত্যু হয়। জাহিদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকার পরও সে হীরার আংটি দেখে লোভ সামলাতে পারেনি। লোভ করার কারণে তার এই পরিণতি হল। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু আপনি লোভে পাপ পাপে মৃত্যু আসলে জাহিদের লোভের কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লোভ মানুষ এর মৃত্যু ডেকে আনে এটা তার একটা প্রমান ঘটনা টা ভোতিক।দারুন ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এমন গল্প আরো চাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশ্যই ভাই পরবর্তীতে আরো নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাহিদ লোকটি লোভ করেছে এই কারণে তার এই অবস্থা হয়েছে। লোভের কারণে মানুষ অনেক সময় অনেক বড় বিপদে পড়ে যায়। কারণ তার ওয়াইফ ছেলে দুটিকে নিয়ে যখন বাড়িতে আসতেছে রাস্তার উপর লাশের হাতে আঙ্গুলের মধ্যে আংটিটা দেখে সে অনেক বড় লোভ করলো। যখন আঙ্গুল কেটে আংটিটি নেওয়ার চেষ্টা করল আবার এসে। তার মনের ভিতরে বয় ছিল। এবং পানি চাওয়ার সময় ওই মহিলাটির হাতে আঙ্গুল নাই দেখে সে আরো বড় ভয় পেল। এবং স্ট্রোক করে তার স্মৃতিশক্তি নিজে নষ্ট করে ফেলেছে। লোকটি তিন বছর আগে মারা গেল। একজন স্মৃতি শক্তি না থাকা মানুষের জীবন অনেক কষ্টকর। আপনি বাস্তব একটি গল্প আপনার দাদার মুখ থেকে শুনলেন। এবং অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে গল্পটি শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে আপু জাহিদ আংটিটি মৃত ব্যক্তির হাতে আংটি দেখার পরে লোভ সামলাতে পেরেছিল না। তাই তার অবশেষে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মতামত প্রদান করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাহিদ লোকটি গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে। একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তার বস মরে গিয়েছে এই কারণে তার কপাল খুলে গিয়েছে। এই কারণে তার বসের মেয়েকে বিয়ে করতে পারলো। কিন্তু সে সামান্য লোভ করার কারণে তার এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। বাড়িতে আসার সময় লাশের হাতের মধ্যে আংটি দেখে সেই লোকটি লোভ সামলাতে পারে নাই। অনেক সময় বয় এবং লোভে মানুষের অনেক বড় ক্ষতি হয়। যেমনটি জাহেদ সাহেবের হয়েছে। এই ভয়ের কারণে তার স্মৃতিশক্তি পর্যন্ত নষ্ট হয়ে গেছে। যাইহোক আপনার দাদার মুখ থেকে সত্য একটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে চাকরি করার সুবাদে সেখানে তিনি তার বসের মেয়ের সাথে বিয়ে করেছিল। তারপরে সেই কোম্পানির সবকিছু তার হয়েছিল কিন্তু তাও তার লোভ কখনো চাপা থাকেনি। অবশেষে অতি লোভের কারণে তিনি ধ্বংস হয়ে গিয়েছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো । খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। আসলে সত্যিই লোভ মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। অতি লোভে মানুষ অন্ধ হয়ে যায় তার হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। গল্পের মাঝে বেশ শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। এত দুর্দান্ত গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি অতি লোভ মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মামা লোভী মানুষ কখনোই সুখে নয় যে যত লোভে করবে তার ভবিষ্যৎ পরিণতি তত খারাপের দিকে এগিয়ে যাবে। ঠিক আজকের গল্পে তেমন পরিণতি খুঁজে পাওয়া গেছে। যাইহোক এই পোস্টটা কিন্তু অনেকের জন্য সচেতন মূলক একটি পোস্ট হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন মামা লোভী মানুষ কখনোই সুখী হতে পারে না। ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লোভ করা ভালো নয় এটা আসলে আমাদের সকলেরই জানা।তারপরেও আমরা লোভে পরে সবকিচুই হারাই।জাহিদের অবস্থা ভালো থাকার পরেও তিনি লোভ করে আজ এই পরিনতির স্বীকার হলেন।সত্যি ই খুব দুঃখজনক। শিক্ষনীয় এই গল্পটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit