ব্যাচেলার লাইফে বাসা খোঁজার অভিজ্ঞতা

in hive-129948 •  last year 

হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (৩১-০৭-২০২৩)

house-1836070_1280.jpg

Source

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ব্যাচেলার লাইফে বাসা খোঁজার অভিজ্ঞতা। আসলে বেশ কয়েকদিন ধরেই খুবই ব্যস্ত সময় পার করছি। সব থেকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় লেখাপড়ার জন্য। গতকালকে স্টিমের টাকায় নতুন ফোন কিনেছি তাই বেশ আনন্দিত। আসলে ফোন কিনা বিষয়টি পোস্ট করেছিলাম। এমনিতেই হাসতে হাসতে ফোন কিনেছিলাম কোন আইডিয়া ছিল না যে ফোন কিনব। তাই আগের ফোন থেকে সবকিছু নতুন ফোনে নেওয়ার জন্য বেশি ব্যস্ত এখন। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট শেষ করে মেসে আসার পর সবকিছু নতুন ফোনে নেওয়া শুরু করলাম। বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে আজকেই আগের ফোনটি নিতে আসবে। তাই সবকিছুই বেশ ভালোভাবে লগইন করার চেষ্টা করলাম। আল্লাহর রহমতে সবকিছু ভালোভাবে ঠিকঠাক করতে পেরেছি। তারপরে গোসল শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে একটি নাটক দেখেছিলাম। আসলে নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তারপরে ভাবলাম আজকে একটা পোস্ট করা দরকার তাই আপনাদের মাঝে চলে আসলাম পোস্ট শেয়ার করতে। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে ধাপে ধাপে শেয়ার করা যাক........

house-540796_1280.jpg

Source

আপনার সবাই জানেন লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে আমি বাইরে থাকি। আসলে আমরা যেই মেসে রয়েছি এখানে আমরা বন্ধুরা প্রায় ৬ জন রয়েছি। আসলে মেসের খাবার খুব একটা বেশি উন্নত না। তাই আমরা ছয় জন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাইরে একটা ফ্ল্যাট নিয়ে থাকবো। আমরা সবাই ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার জন্য রাজি হয়ে গেলাম তারপর থেকে ফ্ল্যাট খোঁজা শুরু করলাম। কয়েকদিন আগের ঘটনা আমরা তিনজন বন্ধু বের হয়েছিলাম ফ্ল্যাট খোঁজার জন্য। পুরো এলাকা খোঁজার পরে আমরা প্রায় ছয় থেকে সাতটি ফ্লাটে গিয়েছিলাম। প্রত্যেক বাড়িওয়ালা ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে চাচ্ছে কিন্তু ব্যাচেলার ভাড়া দিতে যাচ্ছে না। তাই আমরা সবাই প্রায় ভোগান্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। ঐদিন আমরা ফ্ল্যাট খুলতে বের হয়েছিলাম চারটার দিকে আর বাড়ি ফিরছিলাম প্রায় রাত এগারোটার দিকে। আসলে সেই দিন খুবই কষ্ট হয়েছিল তাও কোথাও ফ্ল্যাট খুঁজে পেয়েছিলাম না। তারপর আমরা বন্ধুরা সেখান থেকে সবাই মেসে ফিরে আসি। তারপরের দিন আবারো সকাল দশটার দিকে আমরা বের হয়েছিলাম ফ্ল্যাট খোঁজার উদ্দেশ্যে। একজন বাড়িওয়ালা অবশ্যই আমাদের ভাড়া দেওয়ার জন্য আমাদের সাথে কথা বলেছিল। সেখানে দুইটা রুম আমাদের সবারই অনেক পছন্দ হয়েছিল। বাড়িওয়ালার সাথে আমরা কথা বলে সবকিছু ঠিকঠাক করে বাড়িতে এসেছিলাম। আমাদের নাম্বার বাড়িওয়ালা আমাদের কাছ থেকে নিয়েছিল। হঠাৎ দেখি তার দুইদিন পরে ফোন দিয়ে আমাদেরকে বলছে তিনি আর আমাদেরকে ফ্ল্যাট ভাড়া দিবে না। আসলে কয়েকদিন হল ফ্ল্যাট খোঁজার জন্য লেখাপড়ায় খুব একটা ভালো মন দিতে পারছি না।


তারপরে আমার আবার ফ্ল্যাট খোঁজার উদ্দেশ্যে বের হলাম। সেদিন ঠিক বের হয়েছিলাম সন্ধ্যা ছয়টার দিকে। শহর পুরা তন্ন তন্ন করে খুঁজে কোন ফ্ল্যাট ব্যাচেলারদের ভাড়া দিতে চাচ্ছে না। আসলে ব্যাচেলার কি দোষ করেছে আমি এখনো খুঁজে পাইনি। তারপরে প্রায় মাস শেষ ঘনিয়ে আসলো তাও আমরা কোন ফ্ল্যাট খুঁজে পেলাম না। তাও আমরা ফ্ল্যাট খোঁজার হাল ছেড়ে দিন এখনো আমরা ফ্ল্যাট খোলা চালিয়ে যাচ্ছি। গত পরশুদিন আমরা একজন ফ্ল্যাট এর মালিক এর কাছে ২০০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে এসেছিলাম ফ্ল্যাট ভাড়া নেবো বলে। ফ্ল্যাট দেখে আমারও অনেক পছন্দ হয়েছিল। সে আন্টি ফ্ল্যাটের ভাড়া চেয়েছিল আমাদের কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা। তাও আমরা থাকতে রাজি হয়েছিলাম। আন্টির ছেলে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তারপরের দিন আন্টির ছেলে বাড়িতে এসে নাকি আন্টিকে বলে গিয়েছে ব্যাচেলারদের বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। তাই আন্টি আমাদের ফোন দিয়ে সবকিছু জানায়। তারপরে সেই আন্টি আমাদের টাকাগুলো আবারও ফিরিয়ে দেয়। অবশেষে আর ফ্ল্যাটে যাওয়া হলো না মেসে থাকতে হলো। আসলে ভাগ্যে আছে এই মেস তাহলে কি ফ্ল্যাট আর খুঁজে পাওয়া যায়। সকলো পোস্টি পাড়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবেন। আপনাদের সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
💞আমার নিজের পরিচয়💞


IMG-20230321-WA0007.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

ভাইয়া শহর অঞ্চলে আসলে ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না বাড়িওয়ালারা। আর তাই তারা বাধ্য হয়ে ম্যাচে থাকতে হয়। এত চেষ্টা করেছেন তাও বাসা ভাড়া নিতে পারেননি এটা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। তবুও বলছি আবারো চেষ্টা করে দেখেন হয়তো পেতেও পারেন।

আপু কি আর বলবো পাঁচ দিন পুরো শহর ঘুরে দেখা শেষ বাসা পেয়েছিলাম কিন্তু বাসা ভাড়া দিতে চাই না। আসলে ব্যাচেলার যে কি সমস্যা করেছে এটাই তো আমি খুঁজে পাই না।

ভাই আসলে ঢাকা শহর ছাড়া অন্যান্য সকল শহরগুলোতে ব্যাচেলর ভাড়া দেয় না। আমি একটি ব্যাচেলার হয়ে গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আবার যদি গল্পটি আপনার জীবনে সঙ্গে মেলাতে চাই তাহলে সত্যি এটি খুবই দুঃখের একটি গল্প।

ব্যাচেলার ঢাকা শহরে ভাড়া দিতে চায় না এটাই বাস্তব একটি বিষয়।

তবে অবশেষে আপনার জন্য শুভকামনা রইল

আসলে ভাই পাঁচদিনে পুরো শহর ঘুরে দেখা শেষ তাও কোন বাসা ভাড়া পাইনি। আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই ঢাকা শহর ছাড়া কোথাও ব্যাচেলর ভাড়া দিতে চাই না। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

স্টিমের টাকায় ফোন কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে ঢাকা শহর ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না। আপনি অনেক চেষ্টা করার পরেও এখনো বাসা পাননি। ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান হয়তো বাসা পেয়েও যেতে পারেন। দোয়া করি যাতে আপনি খুব তাড়াতাড়ি একটি সুন্দর বাসা পেয়ে যান। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু ধৈর্য তো আজ ছয় সাত মাস ধরে রয়েছি মেসে আর ভালো লাগে না এই মেসে থাকতে। তাই ধৈর্য ধরে এখনো বাসা খোঁজা চালিয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

স্টিমের টাকা দিয়ে নতুন ফোন কিনেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। ছয় বন্ধু মিলে তাহলে ব্যাচেলার রুম নেওয়ার চেষ্টা করতেছেন। তবে অনেক জায়গাতে ব্যাচালার রুম দিতে রাজি হয় না। অনেকগুলো রুম খুঁজলেন কিন্তু বাসার মালিক ব্যাচেলার কথা শুনে দিতে চাইতেছে না। একটি অবাক করা বিষয় হচ্ছে এক বাসা ওয়ালা আন্টি বাসা ভাড়া দেবে বলে অগ্রিম ২০০০ টাকা নিলেন। তার ছেলের কথা শুনে টাকাগুলো রিটার্ন করে দিলে। আসলে মহিলাটি বাসা ভাড়া না দিলে টাকাগুলো অগ্রিম কেন নিলেন। যাইহোক ছয় বন্ধু মিলে আরো বাসা খুঁজতে থাকেন এক সময় মিলে যাবে বাসা।

ঠিক বলেছেন আপু আপনি অগ্রিম টাকা নিয়েছিল কিন্তু বাড়িওয়ালা তার ছেলের কথামতো টাকাগুলো আবারো আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে তবুও বাসা ভাড়া দিতে চায় না।

নতুন মোবাইল কিনেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। তবে ব্যাচেলার লাইফে বাসা পাওয়া অনেক কষ্টকর। এই পরিস্থিতি আমারও কলেজ জীবনে ঘটেছিল। যদিও আপনারা ৬ জন বন্ধু মিলে সাইলেন একটি বাসা নেওয়ার জন্য। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক জায়গাতে বাসা মোটামুটি ফেলেন। যদিও বাসার মালিক আন্টি কে দুই হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছেন। তার ছেলে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করে তার মানাতে সে বাসাটি পেলেন না। তবে অনেক ভাষার মালিক ব্যাচেলার দের ভাড়া দিতে রাজি হয় না। এবং তাদেরকে ঝামেলা মনে করে। যাইহোক আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। আশা করি বাসা কোথাও না কোথাও মিলে যাবে।

আসলে ভাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ৬ জন বন্ধু মিলে বাসা নেওয়ার জন্য দেখা যাক অবশেষে কোন বাসা কপালে মেলে কিনা। ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

দারুন একটি অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছো মামা কারণ এই লাইফে বাইরে কোথাও লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে গেলে বাসা ভাড়া করা বেশ কঠিন এবং অনেক হিমশিম খেতে হয়। অনেকেই বাসা ভাড়া দিতে চায় না ব্যাচেলর বলে। যাইহোক এই সুন্দর অভিজ্ঞতাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

আসলে মামা এই অভিজ্ঞতা আগে কখনোই ছিল না নতুন এই অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে বেশ খারাপ লাগছে। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

ভাইয়া ম্যাস খোঁজা খুব প্যারার একটা কাজ। বিশেষ করে কোথাও বাসা দেখতে চাইলে পছন্দ হলে সবকিছুই ঠিক হলে ব্যাচেলরদের বাড়া দিতে চাইনা। আসলে কিছু কিছু বাড়িওয়ালা ব্যবহার দেখলে মনে হয় তারা জীবনে ম্যাচে থাকে নাই।এমন একটা ভাব দেখায় বাড়িওয়ালারা।ছাএ অবস্থায় এই কাজটা খুব প্যারা দিত। যাইহোক সর্বশেষ পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।