রঙিন কাগজ দিয়ে ব্যাঙ তৈরি

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রঙিন কাগজ দিয়ে ব্যাঙ তৈরি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে বেশ কিছু দিন ধরে শুধুমাত্র বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য বেশ ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছি তাই আপনাদের মাঝে আগের মত সেভাবে যুক্ত হতে পারছি না। তা চেষ্টা করছি নিজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করার জন্য। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে প্রথমে বিয়ের বাজার করার জন্য আমি এবং আমার ফুফাতো ভাই দুজন গিয়েছিলাম। বিয়ের বাজার শেষ করে বাড়িতে আসতে প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিল। দুপুরবেলায় খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবারও খালাতো ভাইয়ের সাথে তাদের এলাকার মধ্যে বের হয়েছিলাম কিছু মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য। মানুষদের দাওয়াত দেওয়া শেষ করে বিকেলে বাড়িতে এসে ভাবলাম পোস্ট লিখব। কিন্তু ফুফুদের এলাকায় বাংলালিংক সিমে নেটওয়ার্ক পায়না বললেই চলে। তারপরে আমি বাইক নিয়ে বাইরের দিকে বের হয়ে মাঠের মধ্যে বসে পোস্ট লেখা শুরু করে দিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক........

আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দরভাবে রঙিন কাগজ এবং একটি কাইচি এক জায়গায় রেখে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি রঙিন কাগজ অনেক সুন্দর ভাবে ভাঁজ করে নিয়েছিলাম। তারপরে আবার আমি ভাঁজ গুলো অনেক সুন্দরভাবে খুলে ফেলেছিলাম। তারপরে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি কাইচি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ভাঁজে ভাঁজে কাগজ যখন কাটতে ছিলাম তখন আমার পাশে থাকা বেশ কয়েকজন ছোট ভাই আমার ছবি তুলে দিয়েছিল। সেই ছবিও আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছি।

কাগজ কেটে নেওয়ার পরে আবারো আমি অনেক সুন্দর ভাবে কাগজ ভাঁজ দিয়েছিলাম। তারপরে আমি একটি জায়গায় রেখে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছিলাম। চেষ্টা করেছি প্রত্যেকটি স্টেপ আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য।

এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন কাগজ ভাঁজ দেওয়ার পরে আমি আবারো কাগজের মধ্যে ভাঁজ দিয়েছি। ব্যাঙের পা তৈরি করার জন্য আমি এই দুইটা ভাঁজ দিয়েছি অনেক সুন্দরভাবে।

এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি হাতের উপর ধরে রেখে অনেক সুন্দর ভাবে ভাঁজের উপরে চাপ দিয়েছিলাম যাতে ভাঁজগুলো অনেক সুন্দর ভাবে দাঁড়িয়ে যায় আর না খুলে যাই।

এবার আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন রঙিন কাগজ দিয়ে ব্যাঙ তৈরির জন্য কাগজের মধ্যে অনেক ভাঁজ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমি সবগুলো ভাঁজ ঠিকঠাক মত দিয়েছিলাম তারপরেও ভাঁজ গুলো সব দাঁড়িয়ে ছিল না খুলে যাচ্ছিল তারপরে ভেবেছিলাম আঠা দিয়ে লাগাতে পারলে ভালো হতো কিন্তু সেখানে আঠা ছিল না। তারপরেও অনেক কষ্টের মাধ্যমে চেষ্টা করেছিলাম ভাঁজ গুলো দাঁড় করানোর জন্য।

সবার শেষে যখন কোলা ব্যাঙ তৈরি সম্পন্ন করেছিলাম তখনই আমি একটি ফাইনাল লুক এর ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচের কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।