লাইফ স্টাইল // বিকেলে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার অনুভূতি

in hive-129948 •  4 months ago 

হ্যালো..........!!
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৭-১০-২০২৪)

IMG_20241027_113107.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // বিকেলে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার অনুভূতি। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। বেশ কিছুদিন ধরে ব্যস্ততার মধ্যেই দিন পার করতে হচ্ছে বাড়ির কাজের জন্য সবথেকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় এখন।। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে মাছের পুকুরে খাবার দিতে গিয়েছিলাম। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে এসে বাড়িতে একটি গোডাউন আছে সেখানে অনেক ভুট্টা কেনা ছিল সেই ভুট্টা গুলো আজকে বিক্রয় করা হয়েছে সেই ভুট্টা গুলো মাপা থেকে শুরু করে সবকিছু আমি সেখানে লেখালেখির কাজ করেছিলাম। সেখানে কাজ শেষ করে টাকা পয়সা নিয়ে বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে বেশ কিছু সময় রুমের মধ্যে বসে রেস্ট নিয়ে ছিলাম। তারপরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......

IMG_20241027_113337.jpg

IMG_20241027_113327.jpg

আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। যেহেতু আমার আব্বু বাড়িতে থাকে না তাই প্রায় প্রত্যেকদিন সকালবেলা এবং বিকেল বেলায় মাছের পুকুরের খাবার দেওয়া লাগে আমার। তবে বাইকে মাছের খাবার দিতে যেতে বেশ ভালোই লাগে যেহেতু পুকুর রাস্তার পাশে তাই প্রতি দিন আমি বাইক নিয়েই খাবার দিতে যাই। গত কয়েকদিন আগে আমি বিকেল বেলায় এক বস্তা ভাসমান খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম আমাদের পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য। আসলে সেখানে খাবার দিতে যাওয়ার পরে বস্তার মুখ খোলার জন্য একটি ব্লেড প্রয়োজন ছিল কিন্তু আমি যেখানে ব্লেড প্রত্যেকদিন রেখে এসেছিলাম সেখানে আর খুঁজে পেয়েছিলাম না। তারপরে আমি সেখানে বস্তা রেখে আবারো দোকানে এসে একটি ব্লেড কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপরে বস্তার মুখ খোলার পরে অনেক সুন্দর ভাবে খাবারের একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে যেকোনো পোস্ট সুন্দরভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য।

IMG_20241027_113314.jpg

IMG_20241027_113122.jpg

এবার আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন খাবারের বস্তার মুখ খুলে আমি অনেক দূর থেকে আবারো অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। আসলে আমি যখন খাবার দেওয়ার জন্য পুকুরে আশেপাশে যায় তখন মাছগুলো সব এক জায়গায় এসে হাজির হয়ে যায় আপনারা দেখতে পারছেন আমি এখনো পুকুরের মধ্যে খাবার দেওয়া শুরু করিনি কিন্তু অনেক মাছ এসে হাজির হয়ে গিয়েছে তার আগেই। সত্যি এই সময় মাছগুলো বুঝতে পারে যে খাবার দেওয়ার জন্য পুকুরে এসেছে এ সময় মাছগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। প্রত্যেক বছরের তুলনায় এবার আমাদের পুকুরের পাঙ্গাস মাছ অনেক বড় বড় হয়েছে সত্যি বড় বড় মাছ তৈরি করার পর নিজের কাছে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে প্রত্যেকদিন মাছের খাবার দিয়ে মাছগুলো বড় করার পরে যেদিন মাছগুলো বিক্রয় করা হয় সেদিন সত্যি নিজের কাছে একটু খারাপ লাগে। যেহেতু মাছ গুলো বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে তাই কোন কিছু করার নেই বিক্রয় করতে হবে নির্দিষ্ট সময় শেষ হলো।

IMG_20241027_113301.jpg

IMG_20241027_113248.jpg

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও চমৎকারভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। আমি এক প্লেট খাবার হাতে রেখে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছিলাম। আসলে এই ভাসমান খাবারগুলো পানিতে ফেলার পরে পানির উপরে ভেসে বেড়ায় তখন মাছগুলো খুবই সুন্দর ভাবে খায় দেখতে কি যে ভালো লাগে বলে বোঝানো যাবে না। মাছগুলো যখন খাবার খায় তখন সেখানে মনে হয় পানির মধ্যে ভূমিকম্প উঠেছে পানি অনেক জোরে এদিক-ওদিকে হেলতে থাকে। সত্যি সেই সময় দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে এবং মাঝে মাঝে আমি আমাদের পুকুরে বিকেল বেলায় আমাদের পাড়ার কয়েকজন ছেলেদের কে নিয়ে যায় মাছ দেখার জন্য সত্যি তাদের সাথে মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতিটা বেশ মজার। আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন পানির উপরে ছোট্ট ছোট্ট মাছের ভাসমান খাবার গুলো ভেসে বেড়াচ্ছে তখনই মাছগুলো ধরছিল আর খাচ্ছিল দেখতে খুব ভালো লাগছিল।

IMG_20241027_113233.jpg

IMG_20241027_113138.jpg

এবার আপনাদের লক্ষ্য বলে দেখতে পারবেন আমি আরো দুইটি চমৎকার ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য আমাদের পুকুরে একটি বাঁশের মাচাল তৈরি করা হয়েছে। সেই বাঁশের মাচাল থেকে বেশ কিছু কঞ্চি বের হয়েছিল আমি সেখান থেকে একটি পাতা নিয়ে অনেক সুন্দরভাবে ক্যামেরার সামনে ধরে ছবি তুলেছি। ছবিটা কিভাবে সৌন্দর্য করা যায় শুধুমাত্র এই চিন্তা ভাবনাই হয় আপনাদের মাঝে যখন আমি কোন পোস্ট শেয়ার করি। সবার শেষে আমি আমাদের পুকুরের সাথে একটি নিজের ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨

IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Banner.png

1000061548.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

✨💞আমার লেখা পোস্টটি সকলকে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ💞✨

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার মাছকে খাবার দেওয়ার মুহুর্তগুলোগুলো পড়লাম। পাঙস মাছ শুনেছি সবই খায়৷ তাই দ্রুত বাড়েও৷ সব কটা ছবি বেশ লেগেছে৷ সুন্দর ভাবে তুলেছেন৷ বিকেলের দিকে মাছকে খেতে দিতে গিয়ে আপনি আসলেই প্রকৃতির সাথে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছেন যা স্বাস্থ্যকরও৷ খুব সুন্দর করে লিখেছেন আপনার অনুভূতি৷

ঠিক বলেছেন আপু বিকেল বেলায় সত্যিই বেশ দারুন ভাবে প্রকৃতির সাথে সময় কাটিয়েছিলাম।

আপনি এই রকম অনেক বিকেল বেলা পুকুরে মাছের জন্য খাবার দেওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন।আসলে পুকুরে মাছ চাষ করলে কিন্তু মাছের জন্য অনেক খাবার দাবার রাখতে হয়।আপনার অনুভূতি পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

পুকুরের মধ্যে যখন মাছ গুলো কে খাবার দেয়া হয় তখন মাছ গুলো একত্রিত হয়ে খাবার খায়, এই দৃশ্য টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার খাবার দেয়ার সময় সব গুলো মাছ একত্রিত হয়ে গিয়েছিল, দেখে বেশ ভালো লাগলো। আর আপনার মাছ গুলো বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। আশা করছি আর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আপনার মনের মত ওজন হবে মাছের।

খাবার দেওয়ার সময় সব মাছগুলো যখন একত্রিত হয়ে আসে তখন দেখতে বেশ ভালো লাগে।

আপনি তো দেখছি বড় মাছের খাবার দিচ্ছিলেন। আমাদের বাড়ির দুটো পুকুরে যখন বড় মাছ থাকে তখন খাবার দেই আমি। তবে প্রতিনিয়ত দেওয়া হয়ে ওঠে না ব্যস্ততার জন্য। এখন আমাদের বাড়ির রাস্তার পাশের পুকুরটায় ছোট পাঙ্গাস এর বাচ্চা রয়েছে ওটাতে মাঝেমধ্যে দেওয়া হয়। তবে যাই হোক একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম খাবার দেওয়ার মাচার বাঁশে নতুন পাতা হয়েছে। আমাদের মাঠের একটা পুকুরে এমনটা লক্ষ্য করেছি। যাইহোক পাঙ্গাস মাছের খাবার দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

আপনাদের পুকুরে পাঙ্গাস মাছের বাচ্চা আছে এটা আমি মামার পোস্টে বেশ কয়েকবার দেখেছি।

পুকুরে যখন খাবার দেওয়া হয় তখন পুকুরের মাছগুলো মনের আনন্দে ছোটাছুটি করতে থাকে। আর সেই দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে। ভাই আপনি পুকুরে মাছের খাবার দিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলছেন ভাই খাবার দেওয়ার সময় মাছগুলো যখন ছোটাছুটি করতে থাকে দেখতে বেশ ভালো লাগে।

মাছের খাবার গুলো দেখতে বেশ চমৎকার দেখাচ্ছিলো কারণ দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক পুষ্টিগুনে ভরা। সেই সাথে মাছগুলো অনেক সুন্দর ছিল আজকে আপনি আপনার জীবনের অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর ভাবে তোমার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।

খুবই চমৎকার ভাবে বিকেলে মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনাদের দিকে মাছের চাষ হয় অনেক। তবে আমাদের দিকে তুলনামূলক কমই চাষ হয়। যায়হোক মাছ গুলো দেখতে দারুন লাগছে। ধন্যবাদ।

অত্র জেলার মধ্যে মাছ চাষে আমাদের জেলা বিখ্যাত চলে আসুন আপনাকে মাছ চাষ দেখাবো ভাই।