আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। জেনারেল রাইটিং // বন্ধুদের সাথে রাতে পিকনিকের আড্ডা ।আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। প্রত্যেকদিনের ন্যায় আজকেও সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। আসলে দুইটা পুকুরে মাছের খাবার দিতে অনেক সময় প্রয়োজন হয় প্রায় বেলা 9 টা বেজে গিয়েছিল পুকুরে খাবার দিতে দিতে। বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় পরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটু যুক্ত হব। কিন্তু তারপরে আব্বু বলেছিল একটু মাঠে যেতে তাই আব্বুর সাথে মাঠে গিয়েছিলাম। মাঠ থেকে বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় পর আবারও হাতমুখ ধুয়ে তখন রুমে ঢুকলাম তখনই পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। বেশ কিছুদিন আগে আমরা বন্ধুরা মিলে রাতে আমাদের বাড়িতে পিকনিক করেছিলাম সেই পোস্ট আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......

আমরা বন্ধুরা মিলে বেশিরভাগ সময় রাতের বেলায় পিকনিক করে থাকি। আসলে দিনের বেলায় সবাই সবার কাজে ব্যস্ত থাকে সেই কারণে রাতের বেলায় পিকনিক করলে বেশি মজা হয়। কিছুদিন আগে আমরা সন্ধ্যাবেলায় আমি এবং আমার দুই বন্ধু আমাদের পাশের গ্রামে পাতি হাঁস কেনার জন্য গিয়েছিলাম। আসলে আমরা পাতি হাঁস কেনার জন্য বেশ কয়েকটা বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেছিলাম তারপরেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে ভাবলাম হয়তো আজকে পিকনিক হবে না তারপরে আমাদের বাড়ি ফেরার পথে একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তারা হাঁস বেচতে রাজি হয়েছিল। তারপর আমরা সেখান থেকে হাঁস কিনে বাড়ি ফিরেছিলাম। বাড়িতে এসে আমার আপু আমাদের পিকনিকের খাবার রান্না করে দিয়েছিল। আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাদের একসাথে দুইটা চুলা এক চুলায় খিচুড়ি এবং এক চুলায় পাতি হাঁসের মাংস রান্না করা হচ্ছে। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।

আপনার এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে হাঁসের মাংস ও খিচুড়ির ছবি দুই সাইডে দিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমি যখন এই ছবিগুলো তুলেছিলাম তখন পিকনিকের রান্না প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিল। তখন আমি দেখতে গিয়েছিলাম রান্না কতদূর সেই সময় গিয়ে ছবিগুলো তুলেছিলাম। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সাথে চেষ্টা করি পিকনিকের আড্ডা দেওয়ার জন্য। রান্নার জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন ছিল সবকিছু আমাদের বাড়ির পাশের দোকান থেকে কিনে নিয়ে এসে দিয়েছিলাম। তারপরে পিকনিকের রান্না শুরু হয়েছিল। যেহেতু খিচুড়ি রান্না করেছিলাম তাই খিচুড়ি জন্য আমরা এই বুটের ডাল দিয়েছিলাম। আসলে বুটের ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আশা করি আপনার সকলে এই ধরনের রেসিপি খেতে বেশ পছন্দ করেন।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। হাঁসের মাংস রান্না যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিলাম তখন আমি একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আমার যখন হাঁসের মাংস রান্না করছিলাম মাংস যখন রান্না শেষ পর্যায়ে চলে এসেছিল তখন হঠাৎ আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। তখন আমি আমার মোবাইলের লাইট নিয়ে চুলার পাড়ে আপুকে সাহায্য করেছিলাম। সে সময় মূলত পাশে বসে আমি এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। হাঁসের মাংস রান্না খেতে সত্যি বেশ সুস্বাদু হয়েছিল বেশ মজা করে আমরা বন্ধুরা মিলে রাতে আমার রুমের মধ্যে আড্ডা দিয়েছিলাম এবং খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। প্রায় দিন আমরা বন্ধুরা মিলে এমন আড্ডায় মেতে উঠি।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন খিচুড়ি রান্না শেষে। হাঁড়ির মধ্যে থেকে অনেক সুন্দরভাবে একটি গামলার মধ্যে নামিয়েছিলাম। তারপরে রুমে নিয়ে আসার পরে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। সেই ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বুটের ডালের খিচুড়ি খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তাই আমি সকলের কে বলেছিলাম আজকে খিচুড়ি এবং হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করা হবে। তাই আমরা সকলে মিলে খিচুড়ি এবং হাসির মাংস রান্না করেছিলাম। সত্যি খিচুড়ি খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল।

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। পিকনিকের খাবার খাওয়ার আগে আমি রুমের মধ্যে নিয়ে এসে খাবারগুলো যখন অনেক সুন্দরভাবে এক জায়গায় রেখেছিলাম। তখন আমাদের বন্ধুদের মধ্য থেকে একজন সবার প্লেটে খাবার গুলো বেড়ে দিচ্ছিল। সে সময় অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি নিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আসলে আমরা প্রায় প্রত্যেক মাসে এক দুইবার এমন পিকনিক করে থাকি। আসলে আমাদের প্রত্যেক বন্ধুদের মধ্যে বেশ দারুন একটা মিল রয়েছে সেই কারণে আমরা মাঝেমধ্যে পিকনিক করতে পারি। খিচুড়ি এবং হাঁসের মাংস একসাথে খেতে সত্যি আমার কাছে বেশ সুস্বাদু লেগেছিল আমি তো শুধুমাত্র হাঁসের মাংসের ঝোল দিয়েই অনেক খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।