আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা - ৬৩ ||শেয়ার করো তোমার শরতের সেরা ফটোগ্রাফি

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা - ৬৩ ||শেয়ার করো তোমার শরতের সেরা ফটোগ্রাফি। গতকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। গতকালকে আমাদের বাড়িতে একটা বড় বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সেখানেই বেশ সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম। তবে গতকালকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম আপনাদের মাঝে। সেই ধারাবাহিকতায় চলে আসলাম আজকেও আপনাদের মাঝে প্রতিযোগিতার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। চেষ্টা করি নিজের অতি ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের সাথে কিছু সময় ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। প্রথমে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সিলেটের একটি নদীর ফটোগ্রাফি। সিলেটের মধ্যে যখন আমরা নৌকায় ভ্রমণ করতে ছিলাম সেখানে আমি ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছি। সেখান থেকে আমি আজকে একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। চেষ্টা করব আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার ফটোগ্রাফির মধ্যে শরতের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকার ভাবে দুটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছি। সময়োপযোগী শরৎকালের দুইটি ফটোগ্রাফি। প্রত্যেকটা কৃষক শরৎকালে মাঠে নতুন ধান লাগায় তাদের জমিতে সেখান থেকে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের মাঝে একটি ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলে ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শরৎকালে প্রত্যেকটা কৃষক সোনালী আঁশ গুলো ধোয়ার পরে তাদের খড়ি রোদে শুকাতে ছিল সেখান থেকেও আমি একটি ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে রেখে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। সত্যি কৃষকেরা প্রতিদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনেক পরিশ্রম করে দুমুঠো পেটে ভাত তুলতে পারে। তাই কৃষকদের প্রতি আমাদের সব সময় সম্মান দেখানো উচিত আমি মনে করি। আকাশের দৃশ্যটাও দেখতে আমার কাছে সত্যি বেশ চমৎকার লেগেছিলো। চেষ্টা করতেছি আমি আমার জায়গা থেকে শরৎকালের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও দুটি চমৎকার ফটোগ্রাফি আমার ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। বিকেল বেলায় আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায় প্রতিনিয়ত বিলের ধারে পুলের উপরে বসে আড্ডা দিয়ে থাকি। সেখান থেকে আমি প্রথম ফটোগ্রাফি টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আকাশের দৃশ্যটা সেই সময় বেশ চমৎকার লেগেছিল আমি যখন ফটোগ্রাফি ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি হচ্ছে সিলেট ভোলাগঞ্জ থেকে তোলা হয়েছিল। আমরা যখন সিলেট জাপানে গিয়ে পৌঁছেছিলাম সেখানেই শুধু বালি আর বালি দেখতে পেয়েছিলাম আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। দেখলে মনে হবে যে শুধু মরুভূমি। আশা করি আপনাদের কাছে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগবে।

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে কিছু কাশফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আসলে আমরা যখন বন্ধুরা বসে বিলের ধারে আড্ডা দিয়ে থাকি তার পাশেই কিছু কাশফুল ফুটেছিল। আমি সেখান থেকে কাশফুল গুলো আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে শরৎকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুল হচ্ছে কাশফুলের ফটোগ্রাফ। আসলে এই কাশফুল শুধুমাত্র শরৎকালে ফুটে থাকে আর কোন সময় কাশফুলের ফোটে না। তাই কাশফুল দেখার জন্য শরৎকালে মানুষ অনেক ভিড় জমায়। আমিও গতবছর কাশফুল দেখার জন্য আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় অনেক দূরে গিয়েছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি আমার নিজের জায়গা থেকে অনেক সুন্দর ভাবে কাশফুলের ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে সাদা রঙের কাশফুল দেখতে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে বেশ ভালো লাগে। শরতকালে বিভিন্ন জিনিসের ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আসলে এই ফুল মানুষের অপছন্দ না হওয়ার কোনো কারণ নেই আমার কাছে মনে হয়।

আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি খুবই চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে আরও দুটি ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছি। আসলে এই দুইটি ফটোগ্রাফি হচ্ছে সিলেট থেকে আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করা হয়েছিল। সিলেট জাফলং যখন আমরা ঘুরে দেখেছিলাম তখনই এই ফটোগ্রাফি গুলো ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম। প্রথম ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি বাংলাদেশ বিজিবি ক্যাম্পের উপর থেকে পুরা পাহাড়ের ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করার চেষ্টা করেছিলাম। তারপরে আপনারা দেখতে পারবেন ইন্ডিয়ার ঝুলন্ত ব্রিজ আমি অনেক সুন্দরভাবে আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছি। চেষ্টা করেছি আমি আমার জায়গা থেকে আমার শরৎকালের সেরা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য। আসলে সিলেট ভ্রমণে আমি যখন গিয়েছিলাম তখন ও শরৎকাল ছিল। আশা করি আজকের শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।