লাইফ স্টাইল // শুক্রবারের দিনে স্পেশাল ক্লাস

in hive-129948 •  6 months ago 

হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৭-০৬-২০২৪)

IMG20240603113942.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি শুক্রবারের দিনে স্পেশাল ক্লাস। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বেশ কিছু সময় লেখাপড়া করেছিলাম। তারপরে বাড়ির পাশে একটি পুকুর রয়েছে সেখানে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। আসলে আজকে শুক্রবার ছিল তাও আমাদের কোচিংয়ে স্পেশাল ক্লাস নেয়া হয়েছিল আজকে। আসলে আমাদের কোচিংয়ে স্পেশাল ক্লাস নেওয়ার জন্য ঢাকা ইউনিভার্সিটির দুইজন বড় ভাইদের নিয়ে আসা হয়েছিল। আসলে কোচিং এর সকল ছেলেমেয়েরা এই বিষয়ে অনেক আগে থেকে অবগত ছিল। আজকে আমাদের কোচিং শুরু হয়েছিল সকাল আট্টার দিকে। আমাদের একজন জি কে স্যার নিয়ে আসা হয়েছিল এবং আরেকজন বাংলার স্যার নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....

IMG20240603101042.jpg

আসলে আজকে কোচিংয়ে সকালবেলায় যাওয়ার পরে সত্যিই আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। আমাদের কোচিং সেন্টারের সামনে প্রায় আড়াইশো জন স্টুডেন্ট রয়েছে। আসলে আমাদের ব্যাচে এত স্টুডেন্ট আগে আমি কখনো একসাথে দেখিনি তাই বেশ অবাক হয়েছি। পরবর্তীতে আমি জানতে পারি আজকে প্রত্যেক ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের ডাকা হয়েছে স্পেশাল ক্লাসের জন্য। তারপরে আমাদের কোচিং এর স্যার সহ ঢাকা ইউনিভার্সিটির দুইজন বড় ভাই সবাই একসাথে কোচিং শুরু হওয়ার বেশ কিছু সময় আগেই কোচিং সেন্টারে প্রবেশ করেছিল। আসলে আমাদের কোচিংয়ে বেশ কয়েকটি রুম আছে কিন্তু যেহেতু দুইজন স্যার এসেছে তাই সকল ছেলে-মেয়েদের দুইটা রুম এই বসতে হবে এজন্য গরমে একটু কষ্ট হয়েছিল আজকে। প্রত্যেকটা রুমে আমরা প্রায় ২২০জনের উপরে ছাত্র-ছাত্রী বসে ছিলাম। আমাদের রুমে প্রথমে আমাদের কোচিং এর একজন ম্যাডাম এসেছিল। আমাদের দিকনির্দেশনা মূলক কিছু কথা বলেছিল তারপরে আমাদের সামনে জি কে স্যারকে নিয়ে আসা হয়েছিল। জি কে স্যারের নাম হচ্ছে অর্ণব। তিনি বাংলাদেশের বেশ কিছু কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেই আসলে তার বোঝানোর ধরন সত্যিই প্রত্যেক স্টুডেন্ট কে বেশ মুগ্ধ করেছিল।

IMG20240603100655.jpg

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে কোচিং শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে বন্ধুদের সাথে বেশ দারুন ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। প্রত্যেকটি বেঞ্চিতে আমরা প্রায় চারজন স্টুডেন্ট বসে ছিলাম। প্রথমে জি কে স্যার এসে আমাদের সাথে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সম্পর্কে আলোচনা করেছিল। প্রত্যেক স্টুডেন্ট কে কিভাবে ক্লাসের দিকে মনোযোগী করা যায় এই বিষয়ে অর্ণব স্যার সত্যি বেশ দারুন দিকনির্দেশনা মূলক কথা বলেছিল। আসলে অর্ণব স্যারের কথা বলার স্টাইল প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী বেশ ভালোভাবে নিয়েছিল। আসলে অর্ণব স্যার কে দেখে আমরা সবাই মনে করছিলাম হয়তো তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে পড়ে। পরে স্যার যখন তার নিজের পরিচয় দিয়েছিল আমরা সকলেই বেশ অবাক হয়েছিলাম। অর্ণব স্যার ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৮ সালে মাস্টার্স শেষ করেছে। আমরা স্যারকে দেখে মনে করছিলাম হয়তো স্যারের বয়স ২০ থেকে ২১ বছর হবে আমাদের কিছুটা বড় এরকম। তবে আমাদের মধ্য থেকে বেশ কিছু স্টুডেন্ট স্যারের সম্পর্কে আরো কিছু জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

IMG20240603120914.jpg

আজকের এই স্পেশাল ক্লাসের প্রথম দুই ঘন্টা ক্লাস নিয়েছিল অর্ণব স্যার। আসলে এই অল্প সময়ে আমরা অর্ণব স্যারের কাছ থেকে অনেক কিছু দিকনির্দেশনা মূলক বিষয় জানতে পেরেছিলাম। অর্ণব স্যার ক্লাস নেওয়ার শেষ নিজের একটি প্রশ্ন তৈরি করে নিয়ে এসেছিল সেই প্রশ্নের উপর পরীক্ষা দিতে হয়েছিল ক্লাস শেষে শুধুমাত্র ১৫ টি টিক। টিকের প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পরে আমি তো বেশ আনন্দিত ছিলাম। প্রশ্ন পড়েই দেখি এতক্ষণ আমাদের যে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে ক্লাস নিয়েছে সেগুলোই সম্পর্কে স্যার প্রশ্ন করেছিল। স্যার প্রশ্ন আমাদের হাতে দেওয়ার পরে বলছিল এই প্রশ্নটা পরীক্ষা নেওয়ার আমি বুঝতে পারবো এই ক্লাসে কে কতটা মনোযোগী ছিলে।১২০ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে আমি এই পরীক্ষাতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম। সবার শেষে স্যার আমাদের সাথে একটি সেলফি তুলেছিল। এভাবে আজকের দিনে সুন্দর ভাবে স্পেশাল ক্লাস শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ইন্টারমিডিয়েট লাইফ মানেই দৌড়াদৌড়ি স্যার দের কাছে।এরকম আমাদের শুক্রবার ব্যাককাপ ক্লাসগুলো প্রায় নেওয়া হতো।আপনার পোস্টটি পড়ে পূর্বের স্মৃতি গুলো মনে পড়ল ভাইয়া।এরকম ক্লাস ভর্তি লোকের মাঝখানে আমিও পড়তে যেতাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু আসলে ইন্টার লাইফের শেষ দিকে এসে সত্যি বেশ দৌড়াদৌড়ির উপরে থাকতে হচ্ছে।

শুক্রবারের স্পেশাল কোচিং ক্লাস নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আপনার পোস্টটি ভালো লেগেছে। আরো ভালো লেগেছে ক্লাস শেষে পরীক্ষায় আপনি তৃতীয় হয়েছেন জেনে। আশাকরি সামনে আরো ভালো করবেন। পোস্টের ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

চেষ্টা করেছিলাম ক্লাসে বেশি মনোযোগী থাকার তাই হয়তো তৃতীয় স্থান অধিকার করতে পেরেছিলাম।

সামনে পরিক্ষা থাকলে শুক্রবার স্পেশাল ক্লাস হতো। আজকে আপনার পোস্ট দেখে আমার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আপনি এতো গুলো ছাত্র ছাত্রীদের থেকে পরিক্ষায় তৃতীয় স্থান হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো এভাবেই এগিয়ে যান। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

এখন কিন্তু শুক্রবারেও বন্ধ থাকে না। যে কোন কোচিং সেন্টার কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসের জন্য খোলা রাখে। বেশ ভালো হলো তাহলে গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্লাস করে নিলেন। যেহেতু ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে বড় ভাইদের কে নিয়ে আসা হয়েছে তাহলে ক্লাস স্পেশাল ছিল। আর ২০০/২৫০ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকা মানে বেশ ভালো একটি ক্লাস চলছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটি পড়ে।

ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে শিক্ষার্থীদের একটু বেশি ক্লাসের ব্যবস্থার জন্য এখন শুক্রবারে প্রত্যেকটা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।

আসলে আমাদের সময়ও এরকম হতো। যখন পরীক্ষা ছিল তখন শুক্রবারও স্পেশাল ক্লাস হতো৷ আপনাদেরও আজকে স্পেশাল ক্লাস হয়েছে৷ যা দেখে খুবই ভালো লাগছে এবং আপনি সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন৷ আপনার জন্য শুভকামনা রইল৷

ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।